ঢাকা ১২:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রংপুরে আলুর হিমাগারে পুষ্টির ৭ হাজার কেজি মিষ্টি এবং দই

রংপুর শহরের ময়নাকুটি এলাকায় আলুর হিমাগার থেকে ৬ হাজার ৭৮০ কেজি মিষ্টি ও দই উদ্ধার করেছে প্রশাসন। আলুর পরিবর্তে অবৈধভাবে এসব খাদ্যপণ্য মজুত করায় হিমাগার কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (৪ জুন) রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত রংপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোয়ার্দার আসিফ ইকবালের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে সেনাবাহিনী ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কোলেস্টেরল এক কর্মকর্তা বলেন, এখানে পুষ্টি কোম্পানির ঈদে চাহিদা বেশির কারণেই আমাদের কোল্ড স্টোরেজে মিষ্টি মজুদ করেছিল। ওনাদের অনুরোধে আমরা কিছু মিষ্টি রেখেছিলাম। যদিও মিষ্টি রাখার কোনো নিয়ম নেই। এটা আমাদের ভুল হয়েছে।

রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জোয়ার্দার আসিফ ইকবাল বলেন, তথ্য পেয়ে এখানে এসে দেখলাম আলুর পরিবর্তে মিষ্টি মজুদ করে রেখেছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ। তারা আলুর পরিবর্তে মিষ্টি রাখতে পারেন না। এজন্য দুই পক্ষকে ১ লাখ টাকা করে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রংপুরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই ধরনের খাদ্যপণ্য হিমাগারে সংরক্ষণ স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এগুলো মানুষকে না জানিয়ে বাজারজাত করার পরিকল্পনা ছিল, যা প্রতারণার শামিল। উদ্ধার করা সব পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে।

৭২ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম বলেন, ঈদকে সামনে রেখে দীর্ঘ সময় ধরে এসব মিষ্টি হিমাগারে মজুত রাখা হয়েছিল। ঈদের আগে ও পরে বাজারে সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল তাদের।
নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন :-

নিউজ বিজয়ের সম্পর্কে

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার মা-বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।
জনপ্রিয় সংবাদ

রংপুরে আলুর হিমাগারে পুষ্টির ৭ হাজার কেজি মিষ্টি এবং দই

প্রকাশিত সময়:- ০৩:২৯:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

রংপুর শহরের ময়নাকুটি এলাকায় আলুর হিমাগার থেকে ৬ হাজার ৭৮০ কেজি মিষ্টি ও দই উদ্ধার করেছে প্রশাসন। আলুর পরিবর্তে অবৈধভাবে এসব খাদ্যপণ্য মজুত করায় হিমাগার কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (৪ জুন) রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত রংপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোয়ার্দার আসিফ ইকবালের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে সেনাবাহিনী ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কোলেস্টেরল এক কর্মকর্তা বলেন, এখানে পুষ্টি কোম্পানির ঈদে চাহিদা বেশির কারণেই আমাদের কোল্ড স্টোরেজে মিষ্টি মজুদ করেছিল। ওনাদের অনুরোধে আমরা কিছু মিষ্টি রেখেছিলাম। যদিও মিষ্টি রাখার কোনো নিয়ম নেই। এটা আমাদের ভুল হয়েছে।

রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জোয়ার্দার আসিফ ইকবাল বলেন, তথ্য পেয়ে এখানে এসে দেখলাম আলুর পরিবর্তে মিষ্টি মজুদ করে রেখেছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ। তারা আলুর পরিবর্তে মিষ্টি রাখতে পারেন না। এজন্য দুই পক্ষকে ১ লাখ টাকা করে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রংপুরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই ধরনের খাদ্যপণ্য হিমাগারে সংরক্ষণ স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এগুলো মানুষকে না জানিয়ে বাজারজাত করার পরিকল্পনা ছিল, যা প্রতারণার শামিল। উদ্ধার করা সব পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে।

৭২ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম বলেন, ঈদকে সামনে রেখে দীর্ঘ সময় ধরে এসব মিষ্টি হিমাগারে মজুত রাখা হয়েছিল। ঈদের আগে ও পরে বাজারে সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল তাদের।
নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন