রংপুরের পীরগঞ্জে দুই সতীনের দ্বন্দ্বের জেরে প্রাণ গেলো কৃষক স্বামী দেলদার হোসেনের। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের প্রথম স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও তার ছেলে আনিছার রহমান বাটুলকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। সোমবার দুপুরে উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়নের টুকুরিয়া বন্দরে ওই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও নিহতের ছোট স্ত্রী রেখা বেগম জানায়, দুপুরে দেলদারের প্রথম স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, তার ছেলে আনিছার রহমান বাটুলসহ পার্শ্ববর্তী মিঠাপুকুর উপজেলার দুর্গামতি গ্রামের ৫/৬ জনকে সাথে নিয়ে পীরগঞ্জের টুকুরিয়ায় এসে দেলদারকে তুলে নিয়ে যাবার সময় টুকুরিয়া বন্দরে দ্বিতীয় স্ত্রী রেখার লোকজন বাধা প্রদান করলে দু’স্ত্রীর লোকজনের হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে প্রথম স্ত্রীর পক্ষের দেলদারকে মারপিট করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রমেক মর্গে পাঠিয়েছে।
দেলদারের বাড়ী পাশ্ববর্তী মিঠাপুকুর উপজেলার দুর্গামতি গ্রামে। প্রথম স্ত্রী আনোয়ারা বেগম অসুস্থ হওয়ায় ২০/২৫ বছর আগে টুকুরিয়া গ্রামের রেখা বেগমকে বিয়ে করেন দেলদার। বিয়ের পর থেকেই দু’সতীন ও সন্তানদের নিয়ে তাদের দিনকাল ভালই কাটছিল। রেখার ঘরে ১ ছেলে ও ১ মেয়ে জন্ম নেবার পর থেকে বড় সতীন ও তার ছেলেদের সাথে সম্পর্ক ক্রমেই খারাপ হতে থাকে তার। এক পর্যায়ে স্বামী দেলদারকে ফুসলিয়ে কৌশলে জায়গা জমি প্রথম স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও তাঁর সন্তানরা লিখে নেন। পরে দেলদার হোসেন নিজেই ছোট স্ত্রী রেখা বেগমকে অবশিষ্ট ১২ শতাংশ জমি লিখে দিলে দু’সতীনের বিরোধ আরো বেড়ে যায়। গত রমজান মাসে রেখার বসতবাড়ী ভেঙ্গে দেয়াসহ নলকুপটিও খুলে নেয় প্রথম স্ত্রী ও তার সন্তানরা। এরপর প্রাণ ভয়ে দেলদার ছোট স্ত্রীকে সাথে নিয়ে তার বাবার বাড়ী পীরগঞ্জ উপজেলার টুকুরিয়া গ্রামে পালিয়ে ছোট স্ত্রী রেখার বাড়ীতেই বসবাস করছিলেন।
পীরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, এঘটনায় দেলদারের প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এবিসয়ৈ মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ব্রেকিং :-
রংপুরের পীরগঞ্জে দুই সতীনের দ্বন্দ্বে প্রাণ হারালেন স্বামী
- রংপৃর :-
- প্রকাশিত সময় :- ০২:৪০:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০২২
- 318
জনপ্রিয় সংবাদ