বিব্রতকর এক স্বাস্থ্য সমস্যা কোষ্ঠকাঠিন্য। এই সমস্যা হলে পেট, কোমর থেকে শুরু করে মলদ্বারেও ব্যথা শুরু হয়। যার চাপ পড়ে কোলনেও। চিকিৎসকদের মতে, দীর্ঘদিন এই সমস্যায় ভুগলে কোলন ক্যানসারও হতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে পরিপাকতন্ত্র বিঘ্নিত হয়। পাশাপাশি মাথাব্যথা, গ্যাস, ক্ষুধামন্দা, দুর্বলতা ও বমি বমি ভাব, মুখে ব্রণ, কালো দাগ ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ওষুধ সেবন করেন। এতে স্বাস্থ্যের ক্ষতিও হতে পারে। তাই এই সমস্যা থেকে বাঁচতে ভরসা রাখুন পাঁচ খাবারে।

হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে মেথি। রোজ সকালে মেথি ভেজানো পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা কমে। তবে পিত্ত দোষে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এটি না খাওয়াই ভালো। ১ চা চামচ মেথির বীজ সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খেয়ে নিন। এই বীজ গুঁড়ো করেও খেতে পারেন। ঘুমানোর সময় গরম পানিতে ১ চা চামচ মেথি গুঁড়া মিশিয়ে খাওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

ফাইবার সমৃদ্ধ একটি উপাদান কিশমিশ। এটি মলকে আলগা করে এবং মলত্যাগের উন্নতি ঘটায়। আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের মতে, কিশমিশ শুকনো খাবার। তাই এটি আপনার বাত দোষকে বাড়িয়ে তুলতে পারে না। এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও হয় না।

আমলকির রস চমৎকার একটি রেচক। এটি চুল পড়া, ধূসর চুল, ওজন হ্রাস এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাতেও সাহায্য করে। নিয়মিত সকালে খালি পেটে আমলকির রস খেলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে এটি শুকিয়ে গুঁড়ো করেও খেতে পারেন। সমস্ত প্রকৃতির মানুষের জন্য এটি উপকারী।

ভালো মানের ঘি বিপাক ক্রিয়াকে উন্নত করতে সক্ষম। এটি শরীরে ফ্যাট বজায় রাখতে সাহায্য করে যা ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে এর মতো ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিন শোষণের জন্য অপরিহার্য। এক চামচ দেশি গরুর দুধের ঘি এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ভালো কাজ করে।

দুধ একটি প্রাকৃতিক রেচক। এটি মলত্যাগের প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে। শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ- প্রায় সবার জন্য এটি স্বাস্থ্যকর। গর্ভবতী মহিলারাও গরুর দুধ খেতে পারেন। ঘুমানোর সময় এক গ্লাস উষ্ণ দুধ পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি মেলে।