ঢাকা ১১:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধ আর সংঘাতে বিশ্ববাজারে বাড়ছে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম

ইরানে ইসরায়েলি হামলার খবরে বাড়ল তেলের দাম। ছবি: সংগৃহীত

দেশে দেশে সংঘাত আর যুদ্ধের কারণে এমনিতেই বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের বাজার অস্থিতিশীল রয়েছে। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলার বাড়তে পারে। এছাড়া এই সংঘাতে আমেরিকা জড়িয়ে পড়লে তা বেড়ে ১৪০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে শঙ্কা বিশ্লেষকদের।

সম্প্রতি অয়েল প্রাইস ডটকমের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বজুড়ে এমন অস্থিরতায় জ্বালানি তেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রাকৃতিক গ্যাসের দামও। সেইসঙ্গে স্বর্ণ ও অ্যালুমিনিয়ামের দামও বাড়ছে হু হু করে।

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ জ্বালানি তেল উত্তোলনকারী ও জ্বালানির বৈশ্বিক বাণিজ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল মধ্যপ্রাচ্য। হরমুজ প্রণালি দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের রফতানিকারকরা প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরিবহন করে, যা বৈশ্বিক ব্যবহারের এক-পঞ্চমাংশ।

মার্কিন বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক সিটি গ্রুপের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলমান ইরান-ইসরাইল উত্তেজনা জ্বালানি তেলের সরবরাহ ব্যাহত করলে ব্যারেল প্রতি দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আবার ইরান হরমুজ প্রণালি দিয়ে জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার চলাচলে বাধা দিলে প্রতি ব্যারেলের মূল্য দাঁড়াতে পারে ১২০-১৩০ ডলারে। বহুজাতিক আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান সোসিয়েতে জেনারেলের হিসাব অনুযায়ী, ইরান ও ইসরাইলের মধ্যকার সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে পড়লে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি তা পৌঁছতে পারে ১৪০ ডলার পর্যন্ত।

এরই মধ্যে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম চলতি মাসের শুরুতে বেড়ে ৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চে উঠলেও ইসরাইলে ইরানের হামলায় তেমন ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ প্রকাশ না হওয়ায় তা আবার নেমে যায়। উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে আবারও তা বাড়াবে বলে মত বাজার বিশেষজ্ঞদের।

জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেকের অন্যতম বৃহৎ সদস্য দেশ ইরান। দেশটি প্রতিদিন ৩০ লাখ ব্যারেলেরও বেশি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন করে। ইসরাইলের সঙ্গে সংঘাতে ব্যাহত হবে দেশটির উত্তোলন ও রফতানি উভয়ই। যার প্রভাব পরবে বিশ্ববাজারে।

ইউক্রেন রাশিয়া সংঘাতের কারণে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায়, যা ছিল সাত বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ।

ইউক্রেন যুদ্ধের সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে ইরান- ইসরাইল সংঘাত। এতে বিশ্বজুড়ে সৃষ্ট অস্থিরতায় শুধু জ্বালানি তেলই নয়, দাম বাড়ছে প্রাকৃতিক গ্যাস, সোনা ও অ্যালুমিনিয়ামেরও। সেইসঙ্গে বিশ্বব্যাপী শেয়ার ও সূচকের দরপতন হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন>>সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

লাইফ সাপোর্টে স্বামী, দোয়া চাইলেন তনি

যুদ্ধ আর সংঘাতে বিশ্ববাজারে বাড়ছে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম

প্রকাশিত সময় :- ০৩:০৫:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

দেশে দেশে সংঘাত আর যুদ্ধের কারণে এমনিতেই বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের বাজার অস্থিতিশীল রয়েছে। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলার বাড়তে পারে। এছাড়া এই সংঘাতে আমেরিকা জড়িয়ে পড়লে তা বেড়ে ১৪০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে শঙ্কা বিশ্লেষকদের।

সম্প্রতি অয়েল প্রাইস ডটকমের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বজুড়ে এমন অস্থিরতায় জ্বালানি তেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রাকৃতিক গ্যাসের দামও। সেইসঙ্গে স্বর্ণ ও অ্যালুমিনিয়ামের দামও বাড়ছে হু হু করে।

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ জ্বালানি তেল উত্তোলনকারী ও জ্বালানির বৈশ্বিক বাণিজ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল মধ্যপ্রাচ্য। হরমুজ প্রণালি দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের রফতানিকারকরা প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরিবহন করে, যা বৈশ্বিক ব্যবহারের এক-পঞ্চমাংশ।

মার্কিন বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক সিটি গ্রুপের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলমান ইরান-ইসরাইল উত্তেজনা জ্বালানি তেলের সরবরাহ ব্যাহত করলে ব্যারেল প্রতি দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আবার ইরান হরমুজ প্রণালি দিয়ে জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার চলাচলে বাধা দিলে প্রতি ব্যারেলের মূল্য দাঁড়াতে পারে ১২০-১৩০ ডলারে। বহুজাতিক আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান সোসিয়েতে জেনারেলের হিসাব অনুযায়ী, ইরান ও ইসরাইলের মধ্যকার সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে পড়লে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি তা পৌঁছতে পারে ১৪০ ডলার পর্যন্ত।

এরই মধ্যে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম চলতি মাসের শুরুতে বেড়ে ৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চে উঠলেও ইসরাইলে ইরানের হামলায় তেমন ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ প্রকাশ না হওয়ায় তা আবার নেমে যায়। উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে আবারও তা বাড়াবে বলে মত বাজার বিশেষজ্ঞদের।

জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেকের অন্যতম বৃহৎ সদস্য দেশ ইরান। দেশটি প্রতিদিন ৩০ লাখ ব্যারেলেরও বেশি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন করে। ইসরাইলের সঙ্গে সংঘাতে ব্যাহত হবে দেশটির উত্তোলন ও রফতানি উভয়ই। যার প্রভাব পরবে বিশ্ববাজারে।

ইউক্রেন রাশিয়া সংঘাতের কারণে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায়, যা ছিল সাত বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ।

ইউক্রেন যুদ্ধের সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে ইরান- ইসরাইল সংঘাত। এতে বিশ্বজুড়ে সৃষ্ট অস্থিরতায় শুধু জ্বালানি তেলই নয়, দাম বাড়ছে প্রাকৃতিক গ্যাস, সোনা ও অ্যালুমিনিয়ামেরও। সেইসঙ্গে বিশ্বব্যাপী শেয়ার ও সূচকের দরপতন হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন>>সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন