‘ন্যাচারাল অর্গানিক রিডাকশন’ নামে পরিচিত এই পদ্ধতিতে কন্টেইনারে যদি কোনো মরদেহ আবদ্ধ অবস্থায় থাকে, তাহলে কয়েক সপ্তাহ পর সেটি পচে যায়। এভাবেই তৈরি হবে জৈব সার। এটি পরিবেশবান্ধব বলেও বিবেচিত হচ্ছে। যেসব শহরে কবরস্থান কিংবা নতুন করে কবর দেয়ার সংকট তৈরি হয়েছে, সেক্ষেত্রে এটি একটি বিকল্প সমাধান হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাটির সঙ্গে মিশে মরদেহ সারে পরিণত হওয়ার পর, সেই মাটি তার প্রিয়জনদের দেয়া হবে বলেও অবহিত করা হয়েছে। খবর ডব্লিউ ডব্লিউ এনওয়াই টিভির।
জৈব সার বানাতে আবদ্ধ জায়গায় মরদেহ রাখা হয়। সেখানে কাঠের গুঁড়া, বিশেষ ধরনের লতাপাতা ও খড়, ঘাসের মতো কিছু উপাদান রাখা হয়। ধীরে ধীরে সেগুলোতে পচন ধরে। প্রায় এক মাস মরদেহটি এভাবে রাখা হয়। জীবাণুমুক্ত করার জন্য এতে তাপ প্রয়োগ করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই মরদেহ জৈব সারে পরিণত হয়।
তবে এই পদ্ধতি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। নিউইয়র্কের ক্যাথলিক বিশপ বলেন, মানবদেহকে গৃহস্থালির বর্জ্য হিসেবে বিবেচনা করা অনূচিত। এছাড়া, এই পদ্ধতিতে জৈব সার রূপান্তরিত করার খরচ নিয়েও আছে ব্যাপক সমালোচনা।