ঢাকা ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানবতাবিরোধী অপরাধে খুলনার ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় খুলনার বটিয়াঘাটায় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আমজাদ হোসেন হাওলাদারসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামি হলেন- আমজাদ হোসেন হাওলাদার, সহর আলী সরদার, আতিয়ার রহমান, মোতাছিম বিল্লাহ, কামাল উদ্দিন গোলদার ও নজরুল ইসলাম। এদের মধ্যে নজরুল ইসলাম এখনো পলাতক।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) আসামিদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করা হয়।

ওইদিন ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন কৌঁসুলি (প্রসিকিউটর) মো. মোখলেসুর রহমান বাদল ও সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ান ও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এইচএম তামিম।

প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি বলেন, এ মামলায় প্রাথমিকভাবে মোট সাতজন আসামি থাকলেও একজন মারা গেছেন। ফলে তাকে বাদ দিয়ে বাকি ছয়জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর মামলার তদন্ত শুরু করে ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে সাত ভলিউমের ১ হাজার ২৭ পাতার প্রতিবেদন জমা দেয়া হয় ট্রাইব্যুনালে।

এর মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লিখিত চারটি অপরাধেই অভিযুক্ত হয়েছেন আমজাদ হোসেন হাওলাদার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কনভেনশন মুসলিম লীগ এবং পরে জামায়াতের সমর্থক ছিলেন। অন্য ছয় আসামিও মুক্তিযুদ্ধকালে কনভেনশন মুসলিম লীগ এবং জামায়াতের সমর্থক ছিলেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে ৪ অভিযোগ

প্রথম অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ১০ আগস্ট আমজাদ হোসেন হাওলাদারসহ চার-পাঁচজন রাজাকার বটিয়াঘাটার মাছালিয়া গ্রামের শান্তি লতা মণ্ডলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিনোদ মণ্ডলকে অবৈধভাবে আটক-নির্যাতন, অপহরণ ও গুলি করে হত্যা করেন।

দ্বিতীয় অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ১৫ অক্টোবর বটিয়াঘাটার পূর্বহালিয়া গ্রামের চাপরাশী বাড়িতে হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র হরিদাস মজুমদারকে আটক, নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করেন আসামিরা।

তৃতীয় অভিযোগ: মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২১ অক্টোবর হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করতে বটিয়াঘাটার সুখদাড়া গ্রামে হামলা চালিয়ে নিরীহ ও নিরস্ত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের চারজনকে হত্যা, চার-ছয়টি বাড়ির মালামাল লুট এবং অগ্নিসংযোগ করে আসামিরা।

চতুর্থ অভিযোগ: ১৯৭১ এর ২৯ নভেম্বরে আসামিরা বটিয়াঘাটার বারোআড়িয়া গ্রামে হামলা চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধা জ্যোতিষ মণ্ডল ও আব্দুল আজিজকে গুলি করে হত্যা করে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

সংবাদটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ইতিহাসের এই দিনে: ৭ ফেব্রুয়ারি-২০২৫

মানবতাবিরোধী অপরাধে খুলনার ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড

"নিউজ বিজয়: এক দশকের মাইলফলক" প্রকাশিত সময় : ১২:৪৫:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় খুলনার বটিয়াঘাটায় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আমজাদ হোসেন হাওলাদারসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামি হলেন- আমজাদ হোসেন হাওলাদার, সহর আলী সরদার, আতিয়ার রহমান, মোতাছিম বিল্লাহ, কামাল উদ্দিন গোলদার ও নজরুল ইসলাম। এদের মধ্যে নজরুল ইসলাম এখনো পলাতক।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) আসামিদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করা হয়।

ওইদিন ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন কৌঁসুলি (প্রসিকিউটর) মো. মোখলেসুর রহমান বাদল ও সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ান ও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এইচএম তামিম।

প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি বলেন, এ মামলায় প্রাথমিকভাবে মোট সাতজন আসামি থাকলেও একজন মারা গেছেন। ফলে তাকে বাদ দিয়ে বাকি ছয়জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর মামলার তদন্ত শুরু করে ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে সাত ভলিউমের ১ হাজার ২৭ পাতার প্রতিবেদন জমা দেয়া হয় ট্রাইব্যুনালে।

এর মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লিখিত চারটি অপরাধেই অভিযুক্ত হয়েছেন আমজাদ হোসেন হাওলাদার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কনভেনশন মুসলিম লীগ এবং পরে জামায়াতের সমর্থক ছিলেন। অন্য ছয় আসামিও মুক্তিযুদ্ধকালে কনভেনশন মুসলিম লীগ এবং জামায়াতের সমর্থক ছিলেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে ৪ অভিযোগ

প্রথম অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ১০ আগস্ট আমজাদ হোসেন হাওলাদারসহ চার-পাঁচজন রাজাকার বটিয়াঘাটার মাছালিয়া গ্রামের শান্তি লতা মণ্ডলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিনোদ মণ্ডলকে অবৈধভাবে আটক-নির্যাতন, অপহরণ ও গুলি করে হত্যা করেন।

দ্বিতীয় অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ১৫ অক্টোবর বটিয়াঘাটার পূর্বহালিয়া গ্রামের চাপরাশী বাড়িতে হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র হরিদাস মজুমদারকে আটক, নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করেন আসামিরা।

তৃতীয় অভিযোগ: মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২১ অক্টোবর হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করতে বটিয়াঘাটার সুখদাড়া গ্রামে হামলা চালিয়ে নিরীহ ও নিরস্ত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের চারজনকে হত্যা, চার-ছয়টি বাড়ির মালামাল লুট এবং অগ্নিসংযোগ করে আসামিরা।

চতুর্থ অভিযোগ: ১৯৭১ এর ২৯ নভেম্বরে আসামিরা বটিয়াঘাটার বারোআড়িয়া গ্রামে হামলা চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধা জ্যোতিষ মণ্ডল ও আব্দুল আজিজকে গুলি করে হত্যা করে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন