ঢাকা ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

https://www.newsbijoy24.com/

মমতার বক্তব্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি: মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। (পুরনো ছবি)

বাংলাদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে ভারত সরকারের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই মন্তব্যকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার ভোররাতে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, ভারতের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উক্তি করেছেন, তা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি একটা হুমকিস্বরূপ এবং আমরা মনে করি। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ভারতের নেতাদের যে দৃষ্টিভঙ্গি তা কিছুটা হলেও প্রকাশিত হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব লিখেছেন, ‘এ ধরনের কোনো চিন্তা ভারতের নেতাদের মধ্যে থাকা উচিত হবে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে এবং সম্প্রতি একটা বিপ্লবের মধ্য দিয়ে তারা গণতন্ত্রকে ফিরে পেয়েছে। এ দেশের মানুষ যেকোনো মূল্যে এ ধরনের চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।’

ভারতীয় মিডিয়ার সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষুণ্ন হওয়া বা বিপন্ন হওয়ার যে অলীক কাহিনি ভারতীয় মিডিয়াগুলোতে প্রচারিত ও প্রকাশিত হচ্ছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা বারবার বলেছি এখানে ভারতের সাংবাদিকেরা এসেছিলেন, তারাও দেখেছেন, বাংলাদেশে এই ধরনের কোনো পরিস্থিতি নেই। অথচ ভারতবর্ষের মিডিয়া ও তাদের নেতৃবৃন্দ যেভাবে সম্পূর্ণ একটা মিথ্যাকে তারা প্রচার করছেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি দিচ্ছেন, তা কোনোমতেই বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।’

দুই দেশের মধ্যে সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি বিবৃতির ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ, সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ে মাঠে নামা সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে।

সোমবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ চেয়েছেন এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

মমতার এই বক্তব্যে বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সোমবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়। জনমনে ক্ষোভ এবং প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে মমতার মন্তব্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

নিউজবিজয়২৪ডট কম/এফএইচএন

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

এবার মোবাইল ইন্টারনেট নিয়ে সুখবর দিলো বিটিআরসি

মমতার বক্তব্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত সময় :- ০৯:২৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে ভারত সরকারের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই মন্তব্যকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার ভোররাতে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, ভারতের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উক্তি করেছেন, তা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি একটা হুমকিস্বরূপ এবং আমরা মনে করি। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ভারতের নেতাদের যে দৃষ্টিভঙ্গি তা কিছুটা হলেও প্রকাশিত হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব লিখেছেন, ‘এ ধরনের কোনো চিন্তা ভারতের নেতাদের মধ্যে থাকা উচিত হবে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে এবং সম্প্রতি একটা বিপ্লবের মধ্য দিয়ে তারা গণতন্ত্রকে ফিরে পেয়েছে। এ দেশের মানুষ যেকোনো মূল্যে এ ধরনের চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।’

ভারতীয় মিডিয়ার সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষুণ্ন হওয়া বা বিপন্ন হওয়ার যে অলীক কাহিনি ভারতীয় মিডিয়াগুলোতে প্রচারিত ও প্রকাশিত হচ্ছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা বারবার বলেছি এখানে ভারতের সাংবাদিকেরা এসেছিলেন, তারাও দেখেছেন, বাংলাদেশে এই ধরনের কোনো পরিস্থিতি নেই। অথচ ভারতবর্ষের মিডিয়া ও তাদের নেতৃবৃন্দ যেভাবে সম্পূর্ণ একটা মিথ্যাকে তারা প্রচার করছেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি দিচ্ছেন, তা কোনোমতেই বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।’

দুই দেশের মধ্যে সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি বিবৃতির ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ, সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ে মাঠে নামা সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে।

সোমবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ চেয়েছেন এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

মমতার এই বক্তব্যে বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সোমবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়। জনমনে ক্ষোভ এবং প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে মমতার মন্তব্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

নিউজবিজয়২৪ডট কম/এফএইচএন