ভোলার মনপুরায় পারিবারিক কলহের জেরে ৩ সন্তানের জননী এক গৃহবধু বিষপানে আত্মহত্যা করে। তবে এই ঘটনায় মেয়ের জামাইয়ের পাশবিক নির্যাতন ও জোর করে মুখে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ ওই গৃহবধুর মা মমতাজ বেগমের। এদিকে ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধুর স্বামী নুর হাফেজ পলাতক রয়েছে। বুধবার সকাল ১০ টায় উপজেলার হাজীরহাট ইউনিয়নের চরফৈজুদ্দিন গ্রামে শ্বশুর বাড়ি থেকে ওই গৃহবধুর বাবা মোঃ ফারুক উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে কর্তব্যরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ কাজী ফাহিমুল মৃত ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে ওই গৃহবধুর মরদেহের সুরতহাল রির্পোট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা হাসপাতালে প্রেরণ করে বলে জানান অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ। মৃত্যুবরণকারী গৃহবধু হলেন, উপজেলা হাজীরহাট ইউনিয়নের চরফৈজুদ্দিন গ্রামের বাসিন্দা নুর হাফেজের স্ত্রী ও একই গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ফারুকের মেয়ে রোজিনা বেগম (২৫)। ওই গৃহবধু খাদিজা (৯), জোবাইদা (৭) ও ইউসুফ (২) নামে তিন সন্তানের জননী।
ওই গৃহবধুর মা মমতাজ বেগম মেয়ের জামাইয়ের পাশবিক নির্যাতন ও জোর করে মুখে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ করে জানান, মঙ্গলবার বিকালে হাসপাতালে ছেলে ইউসুফের চিকিৎসা শেষে বাবার বাড়ি যায় ওই গৃহবধু। পরে সন্ধ্যায় বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে আসলে স্বামী নুর হাফেজ ও গৃহবধু রোজিনা বেগম বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে স্বামী ওই গৃহবধুকে পাশবিক নির্যাতন করে। পরে স্বামী জোর করে ওই গৃহবধুকে চাউলে দেওয়া বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেটে খাইয়ে দেয়। বুধবার সকালে ওই গৃহবধুর বাবা মোঃ ফারুক খবর পেয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ওই গৃহবধুর সাথে স্বামীর প্রতিনিয়ত ঝগড়া হতো ও স্বামী মারধর করতো বলে জানান স্থানীয় পাশ্ববর্তী বাসিন্দারা। এনিয়ে একাধিকবার শালিসি হয়েছে বলে জানান তারা। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ কাজী ফাহিমুল হক জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার পূর্বে ওই গৃহবধুর মৃত্যু হয়।
মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, ওই গৃহবধুর লাশ সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোটের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই গৃহবধুর পরিবারের মৌখিক হত্যার অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।