বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়তি থাকায় ভারতের পেঁয়াজ আনা শুরু করেছিল সরকার। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে দেশি পেঁয়াজের দাম তো কমেইনি বরং উল্টো বেড়েছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম। আজকে বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মান ভেদে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ /৮৫ টাকা কেজি। তবে বন্দর থেকে কেনা আগের কিছু ভারতীয় পেঁয়াজ৭২/ ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজের সাথে ভারতীয় পেঁয়াজের দামের পার্থক্য ১৫ থেকে ২০ টাকা। খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে কেউই সদুত্তর দিতে পারেননি। খুচরা বিক্রেতাদের কেউ কেউ বলছেন, কয়েকদিন পূজার কারণে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজের বাজারে।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) হিলি কাঁচা বাজার সরেজমিনে ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।
আজকের বাজারে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৯৫/১০০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০/৮৫ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।
দেশের বাজারে যখন দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে তখন জনসাধারণের স্বস্তির জন্য ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যাতে করে বাজারে কম দামে পেঁয়াজ পাওয়া যায় একইসাথে দেশি পেঁয়াজের দামও কমে আসে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র, দেশি পেঁয়াজের দামতো কমেইনি বরং ভারতীয় পেঁয়াজের দামই বেড়ে গেছে। এই দাম বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে ক্ষোভের।
বেসরকারি চাকরিজীবী কামরুল ইসলাম এসেছিলেন বাজার করতে। পেঁয়াজের দাম শুনে তিনি বিক্রেতার সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এমনিতেই সব কিছুর দাম বেশি তারপরও ব্যবসায়ীদের পেট ভরে না। এখন আরও দাম বাড়িয়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ যদি ৮০/৮৫ টাকা করে খেতে হয় তাহলে আর কই যাবো?
পেঁয়াজ বিক্রেতা মনির হোসেন বলেন, আমার যদি কেনা বেশি পড়ে তাহলে আমি কম দামে কীভাবে বিক্রি করবো? আমার পেঁয়াজ (ভারতীয়) কেনাই আছে ৭৮/৮২ টাকা তাহলে আমাকে তো ৮০/৮৫ টাকা বিক্রি করতেই হবে। আর আগের অল্প কিছু পেঁয়াজ কেনা ছিলো যা ৭২/৭৫ টাকা দরে বিক্রি করেছি। কয়েকদিন পর আরও বেশি দামে বিক্রি করতে হবে।
ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আরেক বিক্রেতা ফারুক হোসেন বলেন, শুনেছি পূজার কারণে ভারত থেকে কম পেঁয়াজ আসছে, তাই দাম বেড়েছে।