ভারতের মহারাষ্ট্রে মসজিদের মাইকে লাউডস্পিকার লাগিয়ে আজান দেওয়া নিয়ে বিতর্ক চলছে। এবার সেই বিতর্কে জড়ালেন জনপ্রিয় গায়িকা অনুরাধা পড়োয়াল। এই কণ্ঠশিল্পী বলেন, আজানের জন্য লাউডস্পিকারের ব্যবহারে নিঃসন্দেহে প্রতিবন্ধকতা থাকা দরকার। ভারতে এভাবে আজান দেওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।
জিনিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অনুরাধা বলেন, ‘আমি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গেছি। এমনটা কোথাও দেখিনি। আমি কোনো ধর্মের বিরোধিতা করছি না, ভারতে জোরজরবদস্তি এই বিষয়টি নিয়ে উৎসাহ দেওয়া হয়। এর জেরে অন্য ধর্মের মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে, ওরা করলে আমরা করতে পারব না কেন?’
কণ্ঠশিল্পী আরো বলেন, ‘আমি মধ্য প্রাচ্যের দেশেও যাতায়াত করি। ওখানে লাউডস্পিকারের আজান দেওয়া নিষিদ্ধ। যখন মুসলিম দেশগুলোতে এই বিষয়টিকে উৎসাহ দেওয়া হয় না, তাহলে ভারতে কেন? আগামী দিনে এই প্র্যাকটিস জারি থাকলে আমরা দেখব এবার থেকে লাউডস্পিকারে হনুমান চল্লিশা চলছে।’
সংগীতশিল্পী বলেন, দেশের তরুণ সম্প্রদায়ের উচিত ভারতের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা এবং প্রবীণদের দায়িত্ব সেই সংস্কৃতিকে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সঞ্চারিত করা।
এর আগে ২০১৭ সালে লাইডস্পিকারে আজানের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন কণ্ঠশিল্পী সোনু নিগম। এর জেরে চরম বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন তিনি। পরে শুধু ওই টুইট নয়, নিজের অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দেন সোনু নিগম।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এপ্রিলে মহারাষ্ট্রে ধর্মীয় স্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। অনুমতি ছাড়া বাজানো যাবে না লাউডস্পিকার। অন্যদিকে, শুক্রবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছেন, আজানের জন্য লাউডস্পিকারের ব্যবহার সংবিধানের মৌলিক অধিকার নয়।