ভারতে ক্ষমতাসীন ১৫১ জন সংসদ সদস্য (এমপি) এবং বিধায়কের (এমএলএ) বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা রয়েছে। বিগত লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে নির্বাচনগুলোতে নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের পেশ করা হলফনামা থেকেই এই তথ্য সামনে এসেছে।
সম্প্রতি অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর) নামে একটি সংস্থা ভারতে ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের নির্বাচনগুলোর সময় নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামাগুলো নিয়ে জরিপ চালায়। জরিপে দেখা যায়, ভারতের ১৬ জন এমপি এবং ১৩৫ জন এমএলএ’র বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা রয়েছে।
এই তালিকায় সর্বোচ্চ ২৫ জনের নাম এসেছে পশ্চিমবঙ্গের নেতাদের। এর বাইরে অন্ধ্র প্রদেশের ২১ জন এবং উড়িষ্যার ১৭ জন এমপি-এমএলএ নারী নির্যাতন মামলার আসামি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ভারতের দু’জন এমপি এবং ১৪ জন এমএলএ ধর্ষণ মামলার আসামি। ভারতীয় দণ্ডবিধিতে এ ধরনের অপরাধের সাজা সর্বনিম্ন ১০ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, এমপি-এমএলএ’দের বিরুদ্ধে এসব মামলায় কারও কারও বিরুদ্ধে একই ভুক্তভোগীকে বারবার নির্যাতনেরও অভিযোগ রয়েছে।
নারী নির্যাতন মামলার আসামি এমপি-এমএলএ’দের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৪ জন নেতা ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি)। এরপর কংগ্রেসের ২৩ জন এবং তৃতীয় তেলেগু দেশম পার্টির নেতা রয়েছে ১৭ জন। বিজেপি-কংগ্রেস উভয় দলেরই পাঁচজন করে আইনপ্রণেতা রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।
জরিপের এই ফলাফলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এডিআর। তারা জোর দিয়ে বলেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর অপরাধমূলক অতীত থাকা প্রার্থীদের টিকিট দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত, বিশেষ করে যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে তরুণীর চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় উত্তাল পুরো দেশ। মুম্বইয়ের থানের একটি নার্সারি স্কুলে দুই পড়ুয়াকে যৌন নির্যাতনের পরে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন স্থানীয় মানুষ। গোটা দেশ মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনায় রীতিমতো ফুঁসছে। সূত্র: সংবাদপ্রতিদিন
আরও পড়ুন>>শেখ মুজিব তার কৃতকর্মের করুণ পরিণতি ভোগ করেছেন: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন