এশিয়া কাপ থেকে আগেই বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশ। সুপার ফোরে নিয়মরক্ষার ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামে সাকিব আল হাসানের দল। ম্যাচের আগে গণমাধ্যমকে সাকিব জানিয়েছিলেন, ‘এই ম্যাচ থেকে অন্যকিছু চাই না, শুধু জিততে চাই।’আর সেটাই করে দেখিয়েছে বাংলাদেশ দল। সুপার ফোরে নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতকে ৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। তবে সাকিব ও তাওহিদ হৃদয়ের ফিফটির সঙ্গে নাসুম আহমেদের ব্যাটে ভর করে ২৬৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ। সাকিব ৮৫ বলে ৮০, হৃসয়, ৮১ বলে ৫৪ ও নাসুম ৪৫ বলে ৪৪ রান করেন।
২৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জোড়া উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খায় ভারত। রোহিত শর্মা ও তিলক ভর্মাকে সাজঘরে ফিরিয়ে নিজের অভিষেক রাঙান তানজিম হাসান সাকিব।
এরপর লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে শুরু ধাক্কা সামাল দেন ওপেনার শিবমন গিল। ৫৭ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। এরপর দলীয় ৭৪ ও ৯৪ রানে ভারতের জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান শেখ মেহেদি ও মেহেদি মিরাজ।
এরপর ক্রিজে আসা সূর্যকুমার যাদবকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন গিল। দলীয় ১৩৯ রানে ৩৪ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান যাদব।
একপ্রান্তে উইকেট হারালেও অন্যপ্রান্ত আগলে রাখেন গিল। দলীয় ১৭০ রানে ১২ বলে ৭ রান করা রবীন্দ্র জাদেজাকে আউট করেন মোস্তাফিজ। এরই মাঝে শতক পূরণ করেন গিল।
দলীয় ২০৯ রানে ১৩৩ বলে ১২১ রান করে গিল আউট হলে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ভারতকে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে থাকেন অক্ষর প্যাটেল।
শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য ভারতের ১৭ রান প্রয়োজন হয়। ইনিংসের ৪৯তম ওভারে বোলিংয়ে এসে ৫ রান খরচায় দুই উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজ। ৩৪ বলে ৪২ রান করে আউট হন অক্ষর প্যাটেল।
শেষ ওভারে ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ১২ রান। অন্যদিকে বাংলাদেশের দরকার মাত্র ১ উইকেট। ইনিংসের শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন তানজিম সাকিব।
ওভারের প্রথম তিন বল ডট দেওয়া পর চতুর্থ বলে চার রান পায় ভারত। পঞ্চম বলে দুই রান নিতে গিয়ে গিয়ে রান আউট হলে ২৫৯ রানে অলআউট হয় ভারত। ৬ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।