২০২৬ সালের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে লিমার ন্যাসিওনাল স্টেডিয়ামে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে আতিথ্য দেয় স্বাগতিক পেরু। বুধবার ভোরের আরেক ম্যাচে ব্রাজিলকে হারের তেতো স্বাদ দেয় উরুগুয়ে। কিন্তু পেরু তা পারেনি। বৈশ্বিক ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসির জোড়া গোলে পেরুর বিপক্ষে সহজ জয় পায় আলবিসেলেস্তেরা। ঘরের মাঠে আর্জেন্টিনা কাছে ২-০ গোলে হারে স্বাগতিক দলটি।
মাঠে ফিরেই নিজের জাত চেনালেন লিওনেল মেসি। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে একাদশে ছিলেন না এলএমটেন। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। তবে পেরুর বিপক্ষে শতভাগ ফিট থাকায় মেসিকে শুরুর একাদশেই নামিয়ে দেন স্ক্যালোনি। আর একাদশে জায়গা পেয়েই জোড়া গোল করে দলকে জেতালেন। মেসির দুইটি গোলই এসেছে প্রথম হাফে।
ম্যাচের আক্রমণাত্মক খেলা দিয়ে শুরু করতে চেয়েছিল পেরু। লক্ষ্য ছিল শুরুতেই গোল দিয়ে আর্জেন্টিনাকে বিভ্রান্ত করে দেয়া। পেরুর কোচ হুয়ান রেইনোসোর সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায় আর্জেন্টিনার পাল্টা আক্রমণে।
আর্জেন্টিনার হয়ে জোড়া গোল করে মেসি গড়েছেন আরেক ইতিহাস। লাতিন অঞ্চলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এখন সর্বোচ্চ গোলের মালিক মহাতারকা। লাতিন ফুটবলারদের মধ্যে তার গোল এখন ৩১। এরআগ পর্যন্ত উরুগুয়ের বন্ধু সাবেক ক্লাব সতীর্থ লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে রেকর্ডটি ভাগাভাগি করে আসছিলেন কিংবদন্তি মেসি।
সুয়ারেজকে ছাড়িয়ে যান ম্যাচের ৩২ মিনিটে। নিকোলাস গঞ্জালেজের বাড়ানো বলে বক্সের ডান দিক থেকে বাম পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ৪২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেসি। এনজো ফের্নান্দেসের থেকে বল পেয়ে নিখুঁত শটে বল জালে জড়ান ৩৬ বর্ষী মেসি।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৭ মিনিটে আরও একবার বল জালে জড়ান মেসি। ভিএআর মনিটরে রিপ্লে দেখে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। তাতে হ্যাটট্রিক হাতছাড়া হয়ে যায়।
এই জয়ে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চার ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লাতিন টেবিলে শীর্ষ ধরে রাখল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। চার ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল আছে তিনে। ব্রাজিলের বিপক্ষে ঘরের মাঠে জয় পাওয়া উরুগুয়ে চার খেলায় সমান ৭ পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে এগিয়ে উঠে এসেছে দুইয়ে। চার ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে নয় নম্বরে আছে পেরু।