ঢাকা ০১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বুড়িমারী রেলস্টেশনের জমি স্থানীয়দের দখলে চলছে পাথর ব্যবসা (ভিডিও)

 
   NewsBijoy24.Com সর্বশেষ খবর পেতে টেলিগ্রাম চ্যানেল জয়েন করুন।

লালমনিরহাট জেলার সীমান্তবর্তী বুড়িমারী রেলস্টেশনটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার। এই স্টেশনটি মূলত দেশের উত্তরাঞ্চলে যোগাযোগ ও বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও সম্প্রতি এলাকাটি স্থানীয়দের দখলে অবৈধ পাথর ব্যবসার কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। স্থলবন্দরের পাশে রেলওয়ের জমিতে স্থানীয়রা অবৈধভাবে জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছে, যা সরকারের রাজস্ব ক্ষতির পাশাপাশি জননিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অবৈধ দখলের চিত্র এবং প্রভাব

বুড়িমারী রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকা মূলত রেলওয়ের সম্পত্তি হওয়া সত্ত্বেও কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এই স্থানে অবৈধভাবে দখল করে পাথরের গুদাম এবং বাণিজ্যিক স্থাপনা গড়ে তুলেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এই জমিগুলোর জন্য কোনো সরকারি খাজনা না দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে। তারা মূলত নীতিমালা লঙ্ঘন করে জায়গা দখল করে নিচ্ছে, যা সরকার এবং সাধারণ জনগণের জন্য আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জননিরাপত্তা ও পরিবেশের ওপর প্রভাব

অবৈধভাবে পাথর ব্যবসা চালানোর কারণে এলাকায় বেশ কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। প্রথমত, জায়গার অবৈধ দখল ও পাথর গুদামের ফলে রেলওয়ে এবং এলাকার পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এই ধরনের স্থাপনা এলাকার নৈসর্গিক পরিবেশ ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। এছাড়া, এসব পাথর পরিবহনকারী ট্রাক ও লরির কারণে এলাকার রাস্তায় যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এলাকার সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

সরকারের রাজস্ব আয়ে প্রভাব এবং আইনগত পদক্ষেপের প্রয়োজন

এলাকার এই অবৈধ পাথর ব্যবসার কারণে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সাধারণত, সরকার এই স্থাপনা এবং ব্যবসার জন্য নিয়মিত খাজনা বা ফি পাওয়ার কথা থাকলেও তা পাচ্ছে না। এই দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ এবং তাদের কাছ থেকে বকেয়া খাজনা আদায় করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সম্ভাব্য সমাধান

বুড়িমারী রেলস্টেশন এলাকায় এই অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধের জন্য কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:

১. কঠোর উচ্ছেদ অভিযান: দখলদারদের উচ্ছেদে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা এবং স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা নিয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা।
২. নিয়মিত পর্যবেক্ষণ: রেলওয়ের সম্পত্তি রক্ষায় সিসিটিভি এবং অন্যান্য নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপন করে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা।
৩. সচেতনতা কার্যক্রম: স্থানীয়দের মধ্যে অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিয়মিত খাজনা পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া।
৪. স্থানীয় প্রশাসনের সক্রিয় অংশগ্রহণ: স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বিতভাবে দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।

উপসংহার

বুড়িমারী রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় লোকজনের দখল এবং পাথর ব্যবসা শুধুমাত্র রেলওয়ে ও সরকারের রাজস্ব আয়কেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, এটি জননিরাপত্তার জন্যও ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সম্মিলিত উদ্যোগই এই সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

নিউজবিজয়২৪ডট কম/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ছুটি ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত

বুড়িমারী রেলস্টেশনের জমি স্থানীয়দের দখলে চলছে পাথর ব্যবসা (ভিডিও)

প্রকাশিত সময় :- ০৭:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
 
   NewsBijoy24.Com সর্বশেষ খবর পেতে টেলিগ্রাম চ্যানেল জয়েন করুন।

লালমনিরহাট জেলার সীমান্তবর্তী বুড়িমারী রেলস্টেশনটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার। এই স্টেশনটি মূলত দেশের উত্তরাঞ্চলে যোগাযোগ ও বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও সম্প্রতি এলাকাটি স্থানীয়দের দখলে অবৈধ পাথর ব্যবসার কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। স্থলবন্দরের পাশে রেলওয়ের জমিতে স্থানীয়রা অবৈধভাবে জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছে, যা সরকারের রাজস্ব ক্ষতির পাশাপাশি জননিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অবৈধ দখলের চিত্র এবং প্রভাব

বুড়িমারী রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকা মূলত রেলওয়ের সম্পত্তি হওয়া সত্ত্বেও কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এই স্থানে অবৈধভাবে দখল করে পাথরের গুদাম এবং বাণিজ্যিক স্থাপনা গড়ে তুলেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এই জমিগুলোর জন্য কোনো সরকারি খাজনা না দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে। তারা মূলত নীতিমালা লঙ্ঘন করে জায়গা দখল করে নিচ্ছে, যা সরকার এবং সাধারণ জনগণের জন্য আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জননিরাপত্তা ও পরিবেশের ওপর প্রভাব

অবৈধভাবে পাথর ব্যবসা চালানোর কারণে এলাকায় বেশ কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। প্রথমত, জায়গার অবৈধ দখল ও পাথর গুদামের ফলে রেলওয়ে এবং এলাকার পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এই ধরনের স্থাপনা এলাকার নৈসর্গিক পরিবেশ ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। এছাড়া, এসব পাথর পরিবহনকারী ট্রাক ও লরির কারণে এলাকার রাস্তায় যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এলাকার সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

সরকারের রাজস্ব আয়ে প্রভাব এবং আইনগত পদক্ষেপের প্রয়োজন

এলাকার এই অবৈধ পাথর ব্যবসার কারণে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সাধারণত, সরকার এই স্থাপনা এবং ব্যবসার জন্য নিয়মিত খাজনা বা ফি পাওয়ার কথা থাকলেও তা পাচ্ছে না। এই দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ এবং তাদের কাছ থেকে বকেয়া খাজনা আদায় করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সম্ভাব্য সমাধান

বুড়িমারী রেলস্টেশন এলাকায় এই অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধের জন্য কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:

১. কঠোর উচ্ছেদ অভিযান: দখলদারদের উচ্ছেদে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা এবং স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা নিয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা।
২. নিয়মিত পর্যবেক্ষণ: রেলওয়ের সম্পত্তি রক্ষায় সিসিটিভি এবং অন্যান্য নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপন করে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা।
৩. সচেতনতা কার্যক্রম: স্থানীয়দের মধ্যে অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিয়মিত খাজনা পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া।
৪. স্থানীয় প্রশাসনের সক্রিয় অংশগ্রহণ: স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বিতভাবে দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।

উপসংহার

বুড়িমারী রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় লোকজনের দখল এবং পাথর ব্যবসা শুধুমাত্র রেলওয়ে ও সরকারের রাজস্ব আয়কেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, এটি জননিরাপত্তার জন্যও ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সম্মিলিত উদ্যোগই এই সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

নিউজবিজয়২৪ডট কম/এফএইচএন