ঢাকা ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বুড়িমারী থেকে দুই আন্তঃনগর ট্রেন চলাচলের দাবিতে হাতীবান্ধায় মশাল মিছিল

বুড়িমারী থেকে লালমনি এক্সপ্রেস ও বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন দুইটি সরাসরি যাত্রার দাবিতে মশাল মিছিল করেছে ‘বুড়িমারী টু ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদ’।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা রেলস্টেশন থেকে মশাল মিছিলটি বের হয়ে মেডিকেল মোড়ের গোল চত্বর এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা জানান, দেশের মানচিত্রে দীর্ঘতম জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম লালমনিরহাট। প্রায় একশত কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ ও সড়কপথ জুড়ে বিস্তৃত এ জেলার পাঁচটি উপজেলা। এক প্রান্তে জেলা সদর লালমনিরহাট শহর, অপর প্রান্তে পাটগ্রাম উপজেলা। পাটগ্রামেই অবস্থিত দেশের গুরুত্বপূর্ণ ত্রি-দেশীয় বাণিজ্যকেন্দ্র বুড়িমারী স্থলবন্দর।

লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগের সদর দপ্তর হলেও, জেলার ৪টি উপজেলার যাত্রীদের আন্তঃনগর ট্রেনের পর্যাপ্ত সেবা মেলে না। বর্তমানে দুইটি আন্তঃনগর ট্রেন — লালমনি এক্সপ্রেস ও বুড়িমারী এক্সপ্রেস — থাকলেও, লালমনি এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু হয় লালমনিরহাট শহর থেকে এবং বুড়িমারী এক্সপ্রেস উদ্বোধনের পর থেকেই বুড়িমারী স্টেশন থেকে নিয়মিত যাত্রা শুরু করতে পারেনি। ফলে জেলার চারটি উপজেলা এবং বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী ও পাসপোর্টধারী যাত্রীরা আন্তঃনগর ট্রেনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন।

লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত প্রায় একশত কিলোমিটার রেলপথ পাড়ি দিয়ে ট্রেন ধরতে হয় এই অঞ্চলের মানুষকে, যা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল। এ অবস্থার পরিবর্তন চেয়ে জেলার চারটি উপজেলার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। টানা চারদিন ধরে চলছে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি। এর আগেও নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

এক পর্যায়ে রেল ভবন থেকে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি বুড়িমারী থেকে যাত্রা শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে টিকিট বিক্রির ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু যাত্রার আগেই ট্রেন চলাচল স্থগিত হয়ে যায়। এতে ক্ষুব্ধ জনগণ আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং রেলপথ অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচিতে যায়।

শনিবার সন্ধ্যার মশাল মিছিলটি হাতীবান্ধা রেলস্টেশন থেকে শুরু হয়ে মেডিকেল মোড় পর্যন্ত অগ্রসর হয়।

মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বুড়িমারী টু ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদের সমন্বয়ক এম সাহিদুজ্জামান কোয়েল, নিউজ বিজয়ের প্রকাশক সাংবাদিক মো. ফারুক হোসেন, ফিরোজ হোসেন, সামসুল আলম খান বুলেট, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মহসিন আলম, রানা, তাওহীদ প্রমুখ।

নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন :-

নিউজ বিজয়ের সম্পর্কে

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

বুড়িমারী থেকে দুই আন্তঃনগর ট্রেন চলাচলের দাবিতে হাতীবান্ধায় মশাল মিছিল

প্রকাশিত সময়:- ১২:২৩:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

বুড়িমারী থেকে লালমনি এক্সপ্রেস ও বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন দুইটি সরাসরি যাত্রার দাবিতে মশাল মিছিল করেছে ‘বুড়িমারী টু ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদ’।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা রেলস্টেশন থেকে মশাল মিছিলটি বের হয়ে মেডিকেল মোড়ের গোল চত্বর এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা জানান, দেশের মানচিত্রে দীর্ঘতম জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম লালমনিরহাট। প্রায় একশত কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ ও সড়কপথ জুড়ে বিস্তৃত এ জেলার পাঁচটি উপজেলা। এক প্রান্তে জেলা সদর লালমনিরহাট শহর, অপর প্রান্তে পাটগ্রাম উপজেলা। পাটগ্রামেই অবস্থিত দেশের গুরুত্বপূর্ণ ত্রি-দেশীয় বাণিজ্যকেন্দ্র বুড়িমারী স্থলবন্দর।

লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগের সদর দপ্তর হলেও, জেলার ৪টি উপজেলার যাত্রীদের আন্তঃনগর ট্রেনের পর্যাপ্ত সেবা মেলে না। বর্তমানে দুইটি আন্তঃনগর ট্রেন — লালমনি এক্সপ্রেস ও বুড়িমারী এক্সপ্রেস — থাকলেও, লালমনি এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু হয় লালমনিরহাট শহর থেকে এবং বুড়িমারী এক্সপ্রেস উদ্বোধনের পর থেকেই বুড়িমারী স্টেশন থেকে নিয়মিত যাত্রা শুরু করতে পারেনি। ফলে জেলার চারটি উপজেলা এবং বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী ও পাসপোর্টধারী যাত্রীরা আন্তঃনগর ট্রেনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন।

লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত প্রায় একশত কিলোমিটার রেলপথ পাড়ি দিয়ে ট্রেন ধরতে হয় এই অঞ্চলের মানুষকে, যা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল। এ অবস্থার পরিবর্তন চেয়ে জেলার চারটি উপজেলার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। টানা চারদিন ধরে চলছে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি। এর আগেও নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

এক পর্যায়ে রেল ভবন থেকে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি বুড়িমারী থেকে যাত্রা শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে টিকিট বিক্রির ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু যাত্রার আগেই ট্রেন চলাচল স্থগিত হয়ে যায়। এতে ক্ষুব্ধ জনগণ আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং রেলপথ অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচিতে যায়।

শনিবার সন্ধ্যার মশাল মিছিলটি হাতীবান্ধা রেলস্টেশন থেকে শুরু হয়ে মেডিকেল মোড় পর্যন্ত অগ্রসর হয়।

মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বুড়িমারী টু ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদের সমন্বয়ক এম সাহিদুজ্জামান কোয়েল, নিউজ বিজয়ের প্রকাশক সাংবাদিক মো. ফারুক হোসেন, ফিরোজ হোসেন, সামসুল আলম খান বুলেট, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মহসিন আলম, রানা, তাওহীদ প্রমুখ।

নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন