ঢাকা ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১২ বছরেও চালু হয়নি ‘তিনবিঘা করিডোর এক্সপ্রেস’

বুড়িমারী আন্ত:নগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি শুধুমাত্র স্বপ্নেই দেখা যাবে!

#হউক_প্রতিবাদ_

কিছু অংশ ফেসবুক থেকে নেওয়া

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারলাম বুড়িমারী টু ঢাকাগামী প্রস্তাবিত আন্ত:নগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি আগামী ১নভেম্বর ২০২৩ চালু হতে যাচ্ছে। এর জন্য অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কিন্তু প্রস্তাবিত ট্রেনটি ঢাকা থেকে লালমনিরহাট পর্যন্ত আসবে এবং একটি সাটল ট্রেন লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারী ও বুড়িমারী থেকে লালমনিরহাট পর্যন্ত যাত্রীদের নিয়ে আসা-যাওয়া করবে, রেলওয়ে কতৃপক্ষের এ ধরনের ব্যবস্থাপনার জন্য আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কারণ অত্র এলাকার অধিকাংশ মানুষ মনেকরেন ট্রেনের এ ধরনের ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের সেবা পাওয়ার পরিবর্তে হয়রানি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। অত্র এলাকার জনগণ এ ধরনের ট্রেন চায় না। কারণ বর্তমানে অত্রএলাকার মানুষ যেভাবে রংপুর ও লালমনি এক্সপ্রেস এ ভ্রমণ কর প্রস্তাবিত এক্সপ্রেসটি এর ব্যতিক্রম নয়। বুড়িমারী টু লালমনিরহাট ট্রেন নিয়ে অতীতেও অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, বর্তমানেও তা চলমান রয়েছে। অনেকের ধারনা বুড়িমারী টু ঢাকা আন্ত:নগর এক্সপ্রেস চালু হলে ঢাকাগামী বাস ব্যবসা ধ্বস নামতে পারে। তাই এর জন্য বাস সংশ্লিষ্টের দৌরাত্ম্যের কারনে ট্রেনটি বুড়িমারী থেকে ঢাকা সরাসরি চলবেনা।
এখন আসা যাক কি কারণে ট্রেনটি বুড়িমারী থেকে চালু চালু হবে না। রেলওয়ে কতৃপক্ষের খুঁড়া যুক্তি হলো
বুড়িমারতে ট্রেন ওয়াস করার ব্যবস্থা নেই। নীলফামারীর চিলাহাটি স্টেশনেও ট্রেন ওয়াস করার ব্যবস্থা ছিলো না তাহলে দুইটি আান্ত:নগর এক্সপ্রেস কিভাবে চলে? এমনকি রংপুর এক্সপ্রেস রংপুর থেকে ঢাকা চলাচল করছে অথচ রংপুর স্টেশনে ট্রেন ওয়াস করার কোন ব্যবস্থা নেই।

আন্ত:নগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি যদি প্রস্তাবিত ব্যবস্থাপনায় বুড়িমারী টু ঢাকা চলাচল করে তবে অত্র এলাকার যাত্রীরা কি কি সমস্যা পড়তে পারে তা হলো:
১। ২/৩ দিন আগে লালমনিরহাট স্টেশন থেকে টিকেট সংগ্রহ করতে হবে।
২। আন্ত:নগর সহ অন্যান্য যাত্রীরা সাটল ট্রেনে যাতায়াতের কারণে প্রচুর গ্যদারিং হবে।
৩। অত্রএলাকার মানুষ একবার ব্যাগ ও লাগেস নিয়ে সাটল ট্রেনে উঠবে পরবর্তীতে লালমনিরহাটে গিয়ে আাবার মূল ট্রেনে উঠতে হবে যা বয়:বৃদ্ধ ও মহিলা মানুষের জন্য খুবই সমস্যা হবে।
৪। ট্রেনে সেবার মান কমবে।যাত্রীদের আরো অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে।

তাই অত্র এলাকার জনগণের দাবী, প্রস্তাবিত আন্ত:নগর এক্সপ্রেস ট্রেন বুড়িমারী টু ঢাকা সরাসরি চলাচলের ব্যাবস্থা করা এবং পাটগ্রাম স্টেশন থেকে টিকেট সংগ্রহ করে গাড়িতে উঠে বসবে এবং একই ট্রেনে নিজ নিজ গন্তব্যে ভ্রমণ করবে।
অন্যথায় এ ট্রেনের প্রয়োজন নেই।

২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসেছিলেন বহুল আলোচিত আঙ্গোরপোতা-দহগ্রামে। লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বুড়িমারী-ঢাকা রুটে আন্তঃনগর ট্রেন চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, ‘এ অঞ্চলের মানুষ যাতে সহজেই রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করতে পারেন সেজন্য বুড়িমারী-ঢাকা রুটে একটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হবে। ট্রেনটির নাম দেওয়া হবে “তিবিঘা কড়িডোর এক্সপ্রেস”।’

লালমনিরহাটের বুড়িমারীর আন্তঃনগর ট্রেনটি চালুর বিষয় লালমনিয়রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে আজ ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এই বিষয়ে কোন প্রকার নির্দেশনা আসেনি।

আরো পড়ুন>> ১২ বছরেও চালু হয়নি ‘তিনবিঘা করিডোর এক্সপ্রেস’ 

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

মণিপুরে নতুন করে ভয়াবহ সংঘাত, বন্দুকযুদ্ধ-ড্রোন-রকেট হামলায় নিহত ৬

১২ বছরেও চালু হয়নি ‘তিনবিঘা করিডোর এক্সপ্রেস’

বুড়িমারী আন্ত:নগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি শুধুমাত্র স্বপ্নেই দেখা যাবে!

প্রকাশিত সময় :- ০৩:১৬:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩

#হউক_প্রতিবাদ_

কিছু অংশ ফেসবুক থেকে নেওয়া

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারলাম বুড়িমারী টু ঢাকাগামী প্রস্তাবিত আন্ত:নগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি আগামী ১নভেম্বর ২০২৩ চালু হতে যাচ্ছে। এর জন্য অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কিন্তু প্রস্তাবিত ট্রেনটি ঢাকা থেকে লালমনিরহাট পর্যন্ত আসবে এবং একটি সাটল ট্রেন লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারী ও বুড়িমারী থেকে লালমনিরহাট পর্যন্ত যাত্রীদের নিয়ে আসা-যাওয়া করবে, রেলওয়ে কতৃপক্ষের এ ধরনের ব্যবস্থাপনার জন্য আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কারণ অত্র এলাকার অধিকাংশ মানুষ মনেকরেন ট্রেনের এ ধরনের ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের সেবা পাওয়ার পরিবর্তে হয়রানি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। অত্র এলাকার জনগণ এ ধরনের ট্রেন চায় না। কারণ বর্তমানে অত্রএলাকার মানুষ যেভাবে রংপুর ও লালমনি এক্সপ্রেস এ ভ্রমণ কর প্রস্তাবিত এক্সপ্রেসটি এর ব্যতিক্রম নয়। বুড়িমারী টু লালমনিরহাট ট্রেন নিয়ে অতীতেও অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, বর্তমানেও তা চলমান রয়েছে। অনেকের ধারনা বুড়িমারী টু ঢাকা আন্ত:নগর এক্সপ্রেস চালু হলে ঢাকাগামী বাস ব্যবসা ধ্বস নামতে পারে। তাই এর জন্য বাস সংশ্লিষ্টের দৌরাত্ম্যের কারনে ট্রেনটি বুড়িমারী থেকে ঢাকা সরাসরি চলবেনা।
এখন আসা যাক কি কারণে ট্রেনটি বুড়িমারী থেকে চালু চালু হবে না। রেলওয়ে কতৃপক্ষের খুঁড়া যুক্তি হলো
বুড়িমারতে ট্রেন ওয়াস করার ব্যবস্থা নেই। নীলফামারীর চিলাহাটি স্টেশনেও ট্রেন ওয়াস করার ব্যবস্থা ছিলো না তাহলে দুইটি আান্ত:নগর এক্সপ্রেস কিভাবে চলে? এমনকি রংপুর এক্সপ্রেস রংপুর থেকে ঢাকা চলাচল করছে অথচ রংপুর স্টেশনে ট্রেন ওয়াস করার কোন ব্যবস্থা নেই।

আন্ত:নগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি যদি প্রস্তাবিত ব্যবস্থাপনায় বুড়িমারী টু ঢাকা চলাচল করে তবে অত্র এলাকার যাত্রীরা কি কি সমস্যা পড়তে পারে তা হলো:
১। ২/৩ দিন আগে লালমনিরহাট স্টেশন থেকে টিকেট সংগ্রহ করতে হবে।
২। আন্ত:নগর সহ অন্যান্য যাত্রীরা সাটল ট্রেনে যাতায়াতের কারণে প্রচুর গ্যদারিং হবে।
৩। অত্রএলাকার মানুষ একবার ব্যাগ ও লাগেস নিয়ে সাটল ট্রেনে উঠবে পরবর্তীতে লালমনিরহাটে গিয়ে আাবার মূল ট্রেনে উঠতে হবে যা বয়:বৃদ্ধ ও মহিলা মানুষের জন্য খুবই সমস্যা হবে।
৪। ট্রেনে সেবার মান কমবে।যাত্রীদের আরো অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে।

তাই অত্র এলাকার জনগণের দাবী, প্রস্তাবিত আন্ত:নগর এক্সপ্রেস ট্রেন বুড়িমারী টু ঢাকা সরাসরি চলাচলের ব্যাবস্থা করা এবং পাটগ্রাম স্টেশন থেকে টিকেট সংগ্রহ করে গাড়িতে উঠে বসবে এবং একই ট্রেনে নিজ নিজ গন্তব্যে ভ্রমণ করবে।
অন্যথায় এ ট্রেনের প্রয়োজন নেই।

২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসেছিলেন বহুল আলোচিত আঙ্গোরপোতা-দহগ্রামে। লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বুড়িমারী-ঢাকা রুটে আন্তঃনগর ট্রেন চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, ‘এ অঞ্চলের মানুষ যাতে সহজেই রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করতে পারেন সেজন্য বুড়িমারী-ঢাকা রুটে একটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হবে। ট্রেনটির নাম দেওয়া হবে “তিবিঘা কড়িডোর এক্সপ্রেস”।’

লালমনিরহাটের বুড়িমারীর আন্তঃনগর ট্রেনটি চালুর বিষয় লালমনিয়রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে আজ ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এই বিষয়ে কোন প্রকার নির্দেশনা আসেনি।

আরো পড়ুন>> ১২ বছরেও চালু হয়নি ‘তিনবিঘা করিডোর এক্সপ্রেস’ 

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন