সম্প্রতি দিনাজপুরের বীরগঞ্জে জমাজমি নিয়ে পক্ষ-প্রতিপক্ষের মাঝে বিরোধের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। সোমবার দুপুরে উপজোলার দলুয়া মৌজায় উত্তর জনপদের সুনামধন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান শাহী হিমাগারের স্বত্ত্বাধিকারী আলহাজ্ব সেলিম রেজার অভিযোগে জানা যায় তার হিমাগার সংলগ্ন দক্ষিনে নির্মানাধীণ বিল্ডিংয়ের সামনে মহাসড়কের পাশে মুল্যবান জমি ঐ এলাকার সামসুজ্জামান, মাসুম বিল্লাহ, উজ্জ্বল, জামাল ও ইছাহাকের নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা ৪০/৪৫ জনের একটি ভাড়াটে গুন্ডা বাহিনী ত্রাস সৃষ্টি করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তার ভোগদখলীয় ১০৬৫ দাগের ১ একর ৬ শতাংশ জমির আংশিক জবর দখলের চেষ্টা করা সময়ে তার লোকজনের কঠোর প্রতিরোধ এবং পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়তন্ত্রন আনা হলে সামসুজ্জামান অরফে সামসুল বাহিনী সরে যেতে বাধ্য হয়।শিল্পপতি হাজী সেলিম আরও অভিযোগ করে বলেন সামসুজ্জামান ও তার বাহনী আমার শান্তিপুর্ন ভোগদখলীয় বানিজ্যিক সম্পত্তির অযৌক্তিক ওয়ারিশ সেজে, ভয়ভীতি ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে আসছে, কখনো ১০ লাখ, কখনো ২০ লাখ টাকা । বর্তমানে আমার শিল্প প্রতিষ্ঠানটি মারাত্মক হুমকির মুখে এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আমার শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভীতিকর পরিবেশে জীবন যাপন করছেন। শামসুজ্জামান ও মাসুম বিল্লাহ চিহ্নিত জামাত শিবিরের সদস্য, স্বার্থের কারনে তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নামধারী অন্যান্যরা, যা কিনা অকল্পনীয়। তিনি আরও জানান জেলা পরিষদ সদস্য রোকনুজ্জামান বিপ্লব ঐ বাহিনীর মদদ দাতা।বৃহৎ প্রতিষ্ঠান বাচিয়ে রাখতে হাজি সেলিম রেজা সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। সরজমিনে গেলে তার বক্তব্যের সাথে সহমত প্রকাশ করেছেন, ম্যানেজার মনির হোসেন, আজিজুর রহমান, আব্দুর রউফসহ অনেক আলু ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ডিএসবি অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন ও ডিএসবি হাবিবুর রহমান। অপর দিকে দখলদার বাহিনীর গ্যাং লিডার শামসুজ্জামান ও ইছাহাক আলীর সাথে কথা হলে তারা জানান শাহী হিমাগারের মালিক হাজি সেলিম রেজা একজন প্রতারক, ঐ দাগে তার ১০/১২ শতাংশের বেশী জমি নাই অথচ কৌশলে ১ একর ৬ শতাংশ জমির খারিজ করেছেন যা পরবর্তীতে খারিজ বাতিল হয়েছে।তারা জানান এক্সটেনশন বিল্ডিংয়ের নির্মান কাজ শুরু থেকেই বাধা প্রদান করে আসছি, এ ব্যপারে অনেক দেন দরবার হয়েছে কিন্তু হাজি সেলিম ও তার ভাই দেলোয়ার হোসেন কোন তোয়াক্কাই করেন না। বিষয়টি দিনাজপুর-১ আসনের মাননীয় এমপি মহোদয়ও অবগত আছেন এবং তিনি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য দুই পক্ষকে বেশ কয়েক বার তাগিদ দিয়েছেন। হাজি সেলিম ও তার ভাই আপোষ মিমাংসা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ভঙ্গ করেছেন।রাতের আধারে ভাড়াটে মাস্তান বাহিনীর সহায়তায় হাজি সেলিম তার লোকজন দিয়ে জমির উপরিস্থিত শামসুজ্জামানের টিনসেট ঘর ও সাইন বোর্ড ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে জবর দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।হাজি সেলিম একজন প্রতারক, অন্যের সম্পদগ্রাসী ও ধনাঢ্য প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় কাউকে পরোয়া না করে তিনি অবৈধ প্রভাব ঘাটিয়ে অন্যের কোটি কোটি টাকা মুল্যমান সম্পতি জবর দখল করার পায়তারা চালাচ্ছেন। সাবেক ছাত্রনেতা, প্রস্তাবিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ রোকনুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন ভুমিদস্যুতা নয় বরং অবৈধ দখলদারের হাত থেকে জমি উদ্ধারে একদল প্রতিবাদি যুবক মাঠে কাজ আরম্ভ করেছে, আমি ঠাকুরগাঁও যাওয়ার সময় পথিমধ্যে ঘটনাটি উপলব্ধি করেছি মাত্র।জানতে পারি হাজি সেলিমের কোন কাগজপত্র বা বৈধ দলিল নেই, যোগসাজশি খারিজ করলেও, তা বাতিল হয়ে গেছে।তবে মনে রাখতে হবে কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়, চাপাবাজি আর প্রভাব বিস্তার করে অন্যের জমি জবর দখলের দিন শেষ, দলিল যার, জমি তার। এ ব্যপারে অফিসার ইনচার্জ বীরগঞ্জ থানা সুব্রত কুমার সরকারের সাথে কথা হলে তিনি জানান আইন শৃংখলা পরিস্থতি স্বাভাবিক রাখতেই পুলিশ দায়িত্ব পালন করেছে। আইন শৃংখলার অবনতি ঘটালে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন