ঢাকা ১১:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বীরগঞ্জের জিন্দাপীর গণহত্যা দিবস

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা বিরোধী হানাদার বাহিনী ও তার দোসরসহ পাকিস্তানি সেনারা উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের আরাজী চৌপুকুরীয়া গ্রামে নারোকীয় তান্ডব চালিয়ে মানুষ শুন্য গ্রাম করার জন্য শিক্ষিত, বুদ্ধিজীবী, কৃষকসহ ১৭ জনকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে একটি গর্তে চাপা দিয়ে চলে যায়।সরজমিন তদন্তে জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ১৭ মে রাত ৩ টার দিকে পাকিস্তানি সেনারা চৌপুকুরী গ্রামের ঐতিহাসিক জিন্দাপীর মাজার সংলগ্ন তৎকালীন চেয়ারম্যান তৈবুল আলম খোকার বাড়ির সামনে গাড়িগুলো দাড় করিয়ে বাড়ি বাড়ি তল্লাশী করে মহিলাদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে বাড়ির পুরুষদের ধরে এনে এক জায়গায় করে তাদের দ্বারায় মাটিতে গর্ত খুড়িয়ে গুলি করে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়।এ ঘটনায় বীরগঞ্জ সরকারি ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক, সাতোর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক ও সাতোর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়াম্যান আলহাজ মোঃ রোজাউল করিম শেখ এর পিতা আরাজী চৌপুকুরিয়া গ্রামের মৃত খলিল উদ্দীন সরকারের পুত্র মোঃ সামছুদ্দীন সরকার ভুট্টু, তার ভাই নুরুল সরকার, কাছিম উদ্দীন সরকারের পুত্র ও মৃত খলিল উদ্দীন সরকারের জামাতা ঐ অ লের এক মাত্র পল্লী চিকিৎসক ডাঃ মোঃ কায়কোবাদ সরকার সহ ১৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।চেয়ারম্যান তৈবুল আলম খোকার পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিছুল আলম বুলু জানায়, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে সে উদ্যেগ গ্রহণ করে শহীদ পরিবারবর্গ ও গণ্যমান্য ব্যক্তির সহযোগিতায় গণহত্যার স্মৃতি সংরক্ষণে জায়গাটি ইট দিয়ে ঘিরে দুটি গন কবর করে পরিনত করা হয়েছে।দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেন, দেশ স্বাধীনতা লাভের দীর্ঘ দিন পরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নৃতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার গঠনের পর ২০১৩ সালে ২৭ সেপ্টেম্বর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে জানান দেওয়ার জন্য সেখানে তিনি জেলা পরিষদের সহযোগিতায় জিন্দাপীর গণ্যহত্যা স্মৃতিস্তম্ব, লাল সবুজের সৃতিসৌধ ও জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য তৈরি করে গনহত্যায় ১৭ জন শহীদের নাম ফলক তৈরী করনে।সাতোর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দধী নাথ রায় জানায়, প্রতিবছর ১৭ মে এই গণ্যহত্যা দিনটিকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, শহীদ পরিবারের সদস্যরা ও এলাকার সর্ব সাধারণ স্মৃতিস্তম্বে শ্রদ্ধা জানিয়ে ”জিন্দাপীর গণহত্যা দিবস” পালন কওে থাকেন। সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আওতায় সহযোগী প্রতিষ্ঠান ”গনহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষনা কেন্দ্রের পক্ষে একটি টিম ২০১৮ সালে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে কয়েক দিন ঘুরে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, শহীদ পরিবার ও এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে দিনাজপুর সরকারী সিটি কলেজের অধ্যক্ষ গবেষক মোজাম্মেল বিশ^াস এর সহযোগিতায় ১৯৭১ গনহত্যা-নির্যাতন নির্ঘন্ট গ্রন্থমালার সম্পাদক মুনতাসীর মামুন ”জিন্দাপীর গণহত্যা” নামে একটি বইয়ে বাস্তব চিত্র তুলে ধরে প্রকাশ করেন।এ বিষয়ে শহীদ পরিবারের সন্তানেরা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল এর আশুহস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, তারা গনহত্যায় শহীদ পরিবার হলেও সরকারী কোন সহযোগিতা পায়নি বলে জানায়।

নিউজবিজয়/এ্ফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

লাইফ সাপোর্টে স্বামী, দোয়া চাইলেন তনি

বীরগঞ্জের জিন্দাপীর গণহত্যা দিবস

প্রকাশিত সময় :- ০৫:২২:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা বিরোধী হানাদার বাহিনী ও তার দোসরসহ পাকিস্তানি সেনারা উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের আরাজী চৌপুকুরীয়া গ্রামে নারোকীয় তান্ডব চালিয়ে মানুষ শুন্য গ্রাম করার জন্য শিক্ষিত, বুদ্ধিজীবী, কৃষকসহ ১৭ জনকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে একটি গর্তে চাপা দিয়ে চলে যায়।সরজমিন তদন্তে জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ১৭ মে রাত ৩ টার দিকে পাকিস্তানি সেনারা চৌপুকুরী গ্রামের ঐতিহাসিক জিন্দাপীর মাজার সংলগ্ন তৎকালীন চেয়ারম্যান তৈবুল আলম খোকার বাড়ির সামনে গাড়িগুলো দাড় করিয়ে বাড়ি বাড়ি তল্লাশী করে মহিলাদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে বাড়ির পুরুষদের ধরে এনে এক জায়গায় করে তাদের দ্বারায় মাটিতে গর্ত খুড়িয়ে গুলি করে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়।এ ঘটনায় বীরগঞ্জ সরকারি ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক, সাতোর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক ও সাতোর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়াম্যান আলহাজ মোঃ রোজাউল করিম শেখ এর পিতা আরাজী চৌপুকুরিয়া গ্রামের মৃত খলিল উদ্দীন সরকারের পুত্র মোঃ সামছুদ্দীন সরকার ভুট্টু, তার ভাই নুরুল সরকার, কাছিম উদ্দীন সরকারের পুত্র ও মৃত খলিল উদ্দীন সরকারের জামাতা ঐ অ লের এক মাত্র পল্লী চিকিৎসক ডাঃ মোঃ কায়কোবাদ সরকার সহ ১৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।চেয়ারম্যান তৈবুল আলম খোকার পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিছুল আলম বুলু জানায়, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে সে উদ্যেগ গ্রহণ করে শহীদ পরিবারবর্গ ও গণ্যমান্য ব্যক্তির সহযোগিতায় গণহত্যার স্মৃতি সংরক্ষণে জায়গাটি ইট দিয়ে ঘিরে দুটি গন কবর করে পরিনত করা হয়েছে।দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেন, দেশ স্বাধীনতা লাভের দীর্ঘ দিন পরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নৃতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার গঠনের পর ২০১৩ সালে ২৭ সেপ্টেম্বর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে জানান দেওয়ার জন্য সেখানে তিনি জেলা পরিষদের সহযোগিতায় জিন্দাপীর গণ্যহত্যা স্মৃতিস্তম্ব, লাল সবুজের সৃতিসৌধ ও জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য তৈরি করে গনহত্যায় ১৭ জন শহীদের নাম ফলক তৈরী করনে।সাতোর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দধী নাথ রায় জানায়, প্রতিবছর ১৭ মে এই গণ্যহত্যা দিনটিকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, শহীদ পরিবারের সদস্যরা ও এলাকার সর্ব সাধারণ স্মৃতিস্তম্বে শ্রদ্ধা জানিয়ে ”জিন্দাপীর গণহত্যা দিবস” পালন কওে থাকেন। সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আওতায় সহযোগী প্রতিষ্ঠান ”গনহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষনা কেন্দ্রের পক্ষে একটি টিম ২০১৮ সালে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে কয়েক দিন ঘুরে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, শহীদ পরিবার ও এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে দিনাজপুর সরকারী সিটি কলেজের অধ্যক্ষ গবেষক মোজাম্মেল বিশ^াস এর সহযোগিতায় ১৯৭১ গনহত্যা-নির্যাতন নির্ঘন্ট গ্রন্থমালার সম্পাদক মুনতাসীর মামুন ”জিন্দাপীর গণহত্যা” নামে একটি বইয়ে বাস্তব চিত্র তুলে ধরে প্রকাশ করেন।এ বিষয়ে শহীদ পরিবারের সন্তানেরা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল এর আশুহস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, তারা গনহত্যায় শহীদ পরিবার হলেও সরকারী কোন সহযোগিতা পায়নি বলে জানায়।

নিউজবিজয়/এ্ফএইচএন