
বিশ্বজুড়ে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সঙ্গে বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত একদিনে সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাড়ে ৭ শতাধিক মানুষ। নতুন মৃত্যু নিয়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৬ লাখ ১৭ হাজার।
একই সময়ে করোনায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে সোয়া ৩ লাখে। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৪ কোটি ৯ লাখের ঘর।
এদিকে গত একদিনে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুর তালিকায় শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই রয়েছে ফ্রান্স, জাপান, রাশিয়া ও তাইওয়ান।
গত একদিনে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৮৪৬ জন এবং মারা গেছেন ১৪৫ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৯৯ লাখ ৬০ হাজার ২৩৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ৫০৭ জন মারা গেছেন।
ফ্রান্সে গত একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১০ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৯৭১ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭২ হাজার ৮৮৩ জন এবং মারা গেছেন ৩৯ জন।
রাশিয়ায় গত একদিনে নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪ হাজার ৪৩১ জন এবং মারা গেছেন ৬৪ জন। একইসময়ে ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৮৯৩ জন এবং মারা গেছেন ৪১ জন।
তাইওয়ানে গত একদিনে নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৮ হাজার ৫৫৮ জন এবং মারা গেছেন ৪৩ জন। চিলিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১১৬ জন এবং মারা গেছেন ১৩ জন।
ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত একদিনে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৪ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৫৮২ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।