বিশ্বজুড়ে টানা কয়েক দিন ধরেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু নিম্নমুখী। আজ (রবিবার, ০১ মে) সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনার দাপট আরো কমেছে। এ সময় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে মারা গেছেন এক হাজার ৩০৩ জন। একই সময় নতুন করে এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪ লাখ ২২ হাজার ৪১৪ জন।
এর আগে শনিবার (৩০ এপ্রিল) ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে মারা যান দুই হাজার ২৫০ জন। একই সময় নতুন করে এ ভাইরাসে সংক্রমিত হন ৬ লাখ ৬৭ হাজার ৫১৫ জন।
এর একদিন আগে শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মারা যান দুই হাজার ৫৬১ জন। একই সময় নতুন করে এ ভাইরাসে সংক্রমিত হন ৬ লাখ ২৮ হাজার ৬৩৭ জন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, রবিবার (০১ মে) পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ কোটি ৩২ লাখ ৩২ হাজার ৭৪৮ জন। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ লাখ ৬০ হাজার ৪৪৫ জনে। আর মোট সুস্থ হয়েছেন ৪৬ কোটি ৭১ লাখ ১২ হাজার ৬৫৬ জন।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৩০ লাখ ৬৬ হাজার ৯০৭ জন। এ ছাড়া মোট মৃত্যু ১০ লাখ ২০ হাজার ৮৩৩ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৪ কোটি ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ১৫৭ জন সংক্রমিত হয়েছে। মৃত্যু ৫ লাখ ২৩ হাজার ৮০৩ জনের।
আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত ৩ কোটি ৪ লাখ ৪৮ হাজার ২৩৬ জন এবং মোট মৃত্যু ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৫৫১।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ২ কোটি ৮৬ লাখ ৪৫ হাজার ২৮৫ জন। এর মধ্যে মৃত্যু ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৩০ জন।
পঞ্চম স্থানে উঠে আসা জার্মানিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত ২ কোটি ৪৭ লাখ ৬১ হাজার ৬০০ জন। এর মধ্যে মৃত্যু ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯০০ জন।
আক্রান্তের তালিকায় যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ, রাশিয়া সপ্তম, দক্ষিণ কোরিয়া অষ্টম, ইতালি নবম ও তুরস্ক দশম অবস্থানে রয়েছে। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৪২তম।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৭টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)।