বিশ্বজড়ে কয়েকদিন আগেও মহামারি করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও আক্রান্ত নিম্নমুখী ছিল। তবে হঠাৎ করেই ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বুধবার (১৮ মে) সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৫৭৬ জন। যা আগের দিনের চেয়ে অনেক বেশি।
মঙ্গলবার (১৭ মে) ২৪ ঘণ্টায় মারা যায় এক হাজার ২৫৯ জন। এছাড়া তার আগের দিন সোমবার (১৬ মে) যায় ৯৮৯ জন। যা গত দু’দিন আগের চেয়ে আজ প্রায় দ্বিগুণ।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৬৬৫ জন। আর মঙ্গলবার (১৭ মে) শনাক্ত হয়েছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯২০ জন। আক্রান্তের এ সংখ্যা গতকালের চেয়ে আজ কম হলেও, তা দুই দিন আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার ৩৬২ জন। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ লাখ ৯২ হাজার ৪৫০। আর মোট সুস্থ হয়েছেন ৪৯ কোটি ৩৬ লাখ ৪৮ হাজার ৩৬১ জন।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৪৪ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬২ জন। এছাড়া মোট মৃত্যু হয়েছে ১০ লাখ ২৭ হাজার ২৮৫ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৪ কোটি ৩১ লাখ ২৭ হাজার ৩২ জন সংক্রমিত হয়েছেন। দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫ লাখ ২৪ হাজার ২৬০।
আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত ৩ কোটি ৭২ লাখ ৮ হাজার ২৮৬ জন এবং মোট মারা গেছেন ৬ লাখ ৬৫ হাজার ২৭৭ জন।
তালিকার চতুর্থ অবস্থানে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনায় শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৯২ লাখ ৩৩ হাজার ৩০৯ জন। আর সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৬৮ জন।
তালিকার পঞ্চম অবস্থানে থাকা জার্মানিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৫৮ লাখ ৯২ হাজার ২৫৫ জন। অন্যদিকে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৩৮ হাজার ১৮৩ জন।
যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ, রাশিয়া সপ্তম, দক্ষিণ কোরিয়া অষ্টম, ইতালি নবম ও তুরস্ক দশম অবস্থানে রয়েছে। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৪২তম।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৭টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)।