বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত কমলেও মৃত্যু বেড়েছে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৬৩০ জনের, যা আগের দিনের চেয়ে বেশি। এর আগে বুধবার (২৫ মে) মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৪৬৪ জনের। মঙ্গলবার (২৪ মে) মারা যান ৯৪০ জন।
এ ছাড়া বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ লাখ ৮৮ হাজার ৪৩১ জন। আর বুধবার শনাক্ত হয়েছিল ৬ লাখ ২১ হাজার ৭৯ জন।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ কোটি ৯৭ লাখ ৩৬ হাজার ৫৩৯ জন। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ লাখ ৬ হাজার ২৪৮। আর মোট সুস্থ হয়েছেন ৫০ কোটি ২ লাখ ৪৭ হাজার ৭৩০ জন।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ৩৪০ জন। এছাড়া মোট মৃত্যু হয়েছে ১০ লাখ ৩০ হাজার ৪১৫ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৪ কোটি ৩১ লাখ ৪৪ হাজার ২৬০ জন সংক্রমিত হয়েছেন। দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫ লাখ ২৪ হাজার ৫০৭।
আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত ৩ কোটি ৮ লাখ ৪৬ হাজার ৬০২ জন এবং মোট মারা গেছেন ৬ লাখ ৬৬ হাজার ১১২ জন।
তালিকার চতুর্থ অবস্থানে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৯৪ লাখ ১৩ হাজার ৩৭১ জন। আর সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৬ জন।
তালিকার পঞ্চম অবস্থানে থাকা জার্মানিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৬২ লাখ ৫ হাজার ২ জন। অন্যদিকে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ২৬ জন।
এছাড়া তালিকায় যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ, রাশিয়া সপ্তম, দক্ষিণ কোরিয়া অষ্টম, ইতালি নবম ও তুরস্ক দশম অবস্থানে রয়েছে। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৪৩তম।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৭টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)।