এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে টানা কয়েক দিন ধরেই বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যু ছিল নিম্নমুখী। তবে বুধবার (০৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনার দাপট বেড়েছে। এ সময় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে মারা গেছে এক হাজার ৮২৭ জন। একই সময় নতুন করে এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে ৫ লাখ ৯৪ হাজার ২৭২ জন।
এর আগে মঙ্গলবার (০৩ মে) ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড় মারা যায় এক হাজার ২৮৩ জন। একই সময় নতুন করে এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪০ জন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বুধবার (০৪ মে) পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ কোটি ৪৫ লাখ ৬১ হাজার ২১৩ জন। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ লাখ ৬৫ হাজার ৫৭০ জনে। আর মোট সুস্থ হয়েছেন ৪৬ কোটি ৯১ লাখ ১৯ হাজার ৮২৯ জন।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৩২ লাখ ৪০ হাজার ১০১ জন। এ ছাড়া মোট মৃত্যু ১০ লাখ ২১ হাজার ৫৮১ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৪ কোটি ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ৪০১ জন সংক্রমিত হয়েছে। মৃত্যু ৫ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৯ জনের।
আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত ৩ কোটি ৪ লাখ ৮২ হাজার ৪২৯ জন এবং মোট মৃত্যু ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭৬৫।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ২ কোটি ৮৭ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬৫ জন। এর মধ্যে মৃত্যু ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৬২ জন।
পঞ্চম স্থানে উঠে আসা জার্মানিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত ২ কোটি ৪৯ লাখ ৪৯ হাজার ৪০৩ জন। এর মধ্যে মৃত্যু ১ লাখ ৩৬ হাজার ১৮৩ জন।
আক্রান্তের তালিকায় যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ, রাশিয়া সপ্তম, দক্ষিণ কোরিয়া অষ্টম, ইতালি নবম ও তুরস্ক দশম অবস্থানে রয়েছে। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৪২তম।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৭টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)।