২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়
বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। সেসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীও।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দেড় হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৬ লাখে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে জার্মানি, ব্রাজিল, ইতালি, ফ্রান্স ও রাশিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫১ কোটি ৮৩ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৬২ লাখ ৭৯ হাজার।
বুধবার (১১ মে) সকালে ওয়ার্ল্ডওমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজড়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৭০৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে সাত শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬২ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮৮ জনে।
একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৯২ হাজার ৯৫৭ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় পৌনে তিন লাখ। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ২৭৯ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৪৪৯ জন এবং মারা গেছেন ২০২ জন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সময়ে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ হাজার ৯০৭ জন এবং মারা গেছেন ২৭৯ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৭টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)।