ঢাকা ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিপদসীমা ছুঁইছুঁই তিস্তার পানি; প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সে.মি নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। যে কোন সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে তিস্তার পানি। এর ফলে তিস্তার বিস্তৃণ চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে ফসলের ক্ষেত ও রাস্তাঘাট। বাড়িঘরে পানি উঠায় বিপাকে নিম্নাঞ্চলের মানুষ।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টায় তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৬ সে. মি নিচে প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। সকাল নয়টায় দুইটি পয়েন্টে পানি প্রবাহ অপরিবর্তিত থাকলেও দুপুর বারোটায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সে. মি নিচে পানি রেকর্ড করা হয় এবং কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২১ সে. মি নিচে প্রবাহ রেকর্ড করা হয়।
এর ফলে ফলে তিস্তার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গত দুইদিনে টানা বৃষ্টিতে তিস্তার চরে কৃষকের ফসল তলিয়ে গেছে। কৃষকের ধান, মরিচসহ শীতকালীন আগাম সবজি পানিতে তলিয়ে গেছে।
চরাঞ্চলে থাকা সাধারণ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ায় স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
এছাড়াও আশঙ্কা করা হচ্ছে তিস্তার বাম ও ডান তীরে নিম্নাঞ্চলে সাময়িক বন্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণ মানুষের বারিঘরে পানি প্রবেশ করায় চলাচল ও রান্না বান্না নিয়ে বিপাকে পড়েছেন প্লাবিত মানুষ। গবাদি পশুর খাদ্য নিয়েও পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। অনেকেই উচু স্থানে গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন।
আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্ধন এলাকার আব্দুর রহিম বলেন, শুক্রবার রাত থেকে পানি বাড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বারিঘরে পানি ঢুকেছে। রাস্তাতেও পানি উঠেছে। ঠিকমতো চলাচল করতেও পারছিনা।
শুক্নো খাবার খেয়ে আছি। রান্না করার কোন উপায়ও নাই।
বানভাষী মানুষদের দাবী, এখন সরকার পরিবর্তন হয়েছে, দেশে নতুন সরকার এসেছে। জেলার তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানিবন্দি থাকা পরিবারের লোকজনের দাবি, এই অন্তবরর্তিকালীন সরকারের যেন তিস্তা চলাঞ্চল বাসির জন্য তিস্তায় চিরস্থায়ী বাঁধের ব্যবস্থা করেন। নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা কমে আসায় অল্প পানিতে বন্যা ও নদী ভাঙ্গনের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আর এই সমস্যা সমাধানে তিস্তা নদী খনন বা তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন খুবই দরকার।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার রায় জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে রংপুর বিভাগের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি গত দুইদিনে সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত লালমনিরহাট জেলার তিস্তা নদীর পানি সমতল সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং জেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ছাড়াও কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

নিউজবিজয়২৪ডট কম/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

এবার রাষ্ট্রপতির অপসারণ চাইলেন সারজিস আলম

বিপদসীমা ছুঁইছুঁই তিস্তার পানি; প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

প্রকাশিত সময় :- ০৮:৪১:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সে.মি নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। যে কোন সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে তিস্তার পানি। এর ফলে তিস্তার বিস্তৃণ চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে ফসলের ক্ষেত ও রাস্তাঘাট। বাড়িঘরে পানি উঠায় বিপাকে নিম্নাঞ্চলের মানুষ।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টায় তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৬ সে. মি নিচে প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। সকাল নয়টায় দুইটি পয়েন্টে পানি প্রবাহ অপরিবর্তিত থাকলেও দুপুর বারোটায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সে. মি নিচে পানি রেকর্ড করা হয় এবং কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২১ সে. মি নিচে প্রবাহ রেকর্ড করা হয়।
এর ফলে ফলে তিস্তার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গত দুইদিনে টানা বৃষ্টিতে তিস্তার চরে কৃষকের ফসল তলিয়ে গেছে। কৃষকের ধান, মরিচসহ শীতকালীন আগাম সবজি পানিতে তলিয়ে গেছে।
চরাঞ্চলে থাকা সাধারণ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ায় স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
এছাড়াও আশঙ্কা করা হচ্ছে তিস্তার বাম ও ডান তীরে নিম্নাঞ্চলে সাময়িক বন্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণ মানুষের বারিঘরে পানি প্রবেশ করায় চলাচল ও রান্না বান্না নিয়ে বিপাকে পড়েছেন প্লাবিত মানুষ। গবাদি পশুর খাদ্য নিয়েও পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। অনেকেই উচু স্থানে গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন।
আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্ধন এলাকার আব্দুর রহিম বলেন, শুক্রবার রাত থেকে পানি বাড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বারিঘরে পানি ঢুকেছে। রাস্তাতেও পানি উঠেছে। ঠিকমতো চলাচল করতেও পারছিনা।
শুক্নো খাবার খেয়ে আছি। রান্না করার কোন উপায়ও নাই।
বানভাষী মানুষদের দাবী, এখন সরকার পরিবর্তন হয়েছে, দেশে নতুন সরকার এসেছে। জেলার তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানিবন্দি থাকা পরিবারের লোকজনের দাবি, এই অন্তবরর্তিকালীন সরকারের যেন তিস্তা চলাঞ্চল বাসির জন্য তিস্তায় চিরস্থায়ী বাঁধের ব্যবস্থা করেন। নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা কমে আসায় অল্প পানিতে বন্যা ও নদী ভাঙ্গনের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আর এই সমস্যা সমাধানে তিস্তা নদী খনন বা তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন খুবই দরকার।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার রায় জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে রংপুর বিভাগের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি গত দুইদিনে সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত লালমনিরহাট জেলার তিস্তা নদীর পানি সমতল সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং জেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ছাড়াও কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

নিউজবিজয়২৪ডট কম/এফএইচএন