ফেসবুক থেকে-
বিচার প্রার্থনা

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

আপনার বক্তব্যে ভুল তথ্য রয়েছে। না, ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষে বাসন্তীর জাল-পরা ছবি চারণ সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন তোলেননি, তিনি রিপোর্টও করেননি। মোনাজাতউদ্দিন দৈনিক আজাদ, পূর্বদেশ হয়ে দৈনিক সংবাদে উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং জীবনের শেষ প্রান্তে এসে দৈনিক জনকণ্ঠে সিনিয়র সাংবাদিক হিসেবে যোগ দেন।
বাসন্তীর ছবিটি ছাপা হয়েছিল দৈনিক ইত্তেফাকে। বাসন্তীর ছবি ষড়যন্ত্র করে তুলেছিলেন ইত্তেফাকের ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমেদ, রিপোর্ট করেছিলেন ইত্তেফাকেরই সাংবাদিক শফিকুল কবির। এটা ছিল ইত্তেফাকের ষড়যন্ত্র। মোনাজাতউদ্দিন কখনই দৈনিক ইত্তেফাকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না।
বরং মোনাজাতউদ্দিন তাঁর লেখা ‘চিলমারীর এক যুগ’ বইয়ে বাসন্তীকে নিয়ে ইত্তেফাকের ষড়যন্ত্রের তথ্য প্রকাশ করেছেন।
গ্রামীণ সাংবাদিকতার মহান পথিকৃৎ এই সেই মোনাজাতউদ্দিন, যাকে আপনি ভালোবাসেন। ১৯৯৫-এ মোনাজাতউদ্দিনের মৃত্যুতে আপনি গভীর শোক প্রকাশ করেছিলেন, আপনি তখন বিরোধী দলীয় নেত্রী। এই সেই মোনাজাতউদ্দিন, যাকে আপনি মরণোত্তর একুশে পদকে ভুষিত করেছেন, আপনি তখন প্রধানমন্ত্রী। আপনি নিশ্চিতভাবে মোনাজাতউদ্দিনকে ভালোবাসেন। নিশ্চয়ই কেউ অসত্য তথ্য দিয়ে আপনাকে বিতর্কের মুখে ফেলে দিতে চেয়েছেন।
আমি আপনার ও আমার দীক্ষাগুরু মোনাজাতউদ্দিনের সম্মান রক্ষার স্বার্থে আপনার সমীপে অসত্য তথ্যদাতার বিচার প্রার্থনা করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
নিবেদক,
আলী আখতার গোলাম কিবরিয়া।
০৩. ০৮. ২০২২