ঢাকা ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি নেতাদের সহায়তায় এস আলমের ১৪ গাড়ি সরানোর অভিযোগ

চট্টগ্রামে এস আলম গ্রুপের ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি বিএনপি নেতাদের পাহারায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে কালুরঘাট শিল্প এলাকায় (বিসিক) মীর গ্রুপের মালিকানাধীন একটি ওয়্যারহাউস থেকে বিলাসবহুল দামি গাড়িগুলো সরিয়ে নেয়া হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ঘোষণা দেন এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন জমি ও সম্পদ কেউ যেন না কেনেন।

ওই ঘোষণার পর ওই দিন রাতে কালুরঘাট শিল্প এলাকার একটি ওয়্যারহাউস থেকে একে একে সরিয়ে নেয়া হয় বিলাসবহুল গাড়িগুলো। এসব গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ ও অডি, পোরশে ও রেঞ্জরোভার ইত্যাদি।
এদিকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতের দিকে কালুরঘাট শিল্প এলাকায় (বিসিক) মীর গ্রুপের মালিকানাধীন একটি ওয়্যারহাউস থেকে বিলাসবহুল দামি গাড়িগুলো সরিয়ে নেয়া হয়। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, পটিয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব অহিদুল আলম চৌধুরী পিবলু এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ হোসেন নয়ন গাড়িগুলো সরিয়ে নেয়ার সময় তদারকি করেন। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের গাড়ির চালক মনসুরও এস আলমের গাড়িগুলো ওয়্যারহাউস থেকে বের করার বিষয়টি তদারকি করেন।

বিলাসবহুল গাড়িগুলো ওয়্যারহাউস থেকে বের হওয়ার পরই বিএনপি নেতা এনামসহ অন্যান্যরা ওই এলাকা থেকে সরে যান বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এমন পরিস্থিতিতে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার স্বজনদের ব্যবহৃত গাড়িগুলো সরিয়ে নেয়ার কাজে বিএনপি শীর্ষ নেতাদের সশরীরে উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিয়ে চারিদিকে শোরগোল উঠেছে।

জানা যায়, গত ৫ আগস্ট রাতে নগরের নাসিরাবাদ আবাসিক এলাকা থেকে গাড়িগুলো সরিয়ে কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জারটেক এলাকায় এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন একটি ওয়্যারহাউসে রাখা হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে বৃহস্পতিবার রাতে দামি গাড়িগুলো ওয়্যারহাউস থেকে সরিয়ে অন্যত্র রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও খবরে বলা হচ্ছে এস আলমের ওয়্যারহাউস থেকে বের করা হচ্ছে দামি গাড়ি। কিন্তু বাস্তবে তিনি গিয়েছিলেন নগরীর কালুরঘাট শিল্প এলাকায় মীর গ্রুপের ওয়্যারহাউসে।

তিনি আরও বলেন, মীর গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম এবং তিনি মামাতো-ফুপাতো ভাই। সালাম তাকে ফোন করে জানিয়েছেন বিএনপির কিছু ছেলে তার কাছে চাঁদা দাবি করেছে। তাই তিনি বিএনপি নেতা সুফিয়ানকে সঙ্গে নিয়ে কালুরঘাট শিল্প এলাকায় (বিসিক) মীর গ্রুপের মালিকানাধীন একটি ওয়্যারহাউসে যান। সেখানে গাড়িগুলো কাদের ছিল তা তিনি জানেন না। আত্মীয়তার কারণে সালামকে সহযোগিতা করতে সেখানে গিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির আটক

বিএনপি নেতাদের সহায়তায় এস আলমের ১৪ গাড়ি সরানোর অভিযোগ

প্রকাশিত সময় :- ১২:৫৯:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪

চট্টগ্রামে এস আলম গ্রুপের ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি বিএনপি নেতাদের পাহারায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে কালুরঘাট শিল্প এলাকায় (বিসিক) মীর গ্রুপের মালিকানাধীন একটি ওয়্যারহাউস থেকে বিলাসবহুল দামি গাড়িগুলো সরিয়ে নেয়া হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ঘোষণা দেন এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন জমি ও সম্পদ কেউ যেন না কেনেন।

ওই ঘোষণার পর ওই দিন রাতে কালুরঘাট শিল্প এলাকার একটি ওয়্যারহাউস থেকে একে একে সরিয়ে নেয়া হয় বিলাসবহুল গাড়িগুলো। এসব গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ ও অডি, পোরশে ও রেঞ্জরোভার ইত্যাদি।
এদিকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতের দিকে কালুরঘাট শিল্প এলাকায় (বিসিক) মীর গ্রুপের মালিকানাধীন একটি ওয়্যারহাউস থেকে বিলাসবহুল দামি গাড়িগুলো সরিয়ে নেয়া হয়। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, পটিয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব অহিদুল আলম চৌধুরী পিবলু এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ হোসেন নয়ন গাড়িগুলো সরিয়ে নেয়ার সময় তদারকি করেন। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের গাড়ির চালক মনসুরও এস আলমের গাড়িগুলো ওয়্যারহাউস থেকে বের করার বিষয়টি তদারকি করেন।

বিলাসবহুল গাড়িগুলো ওয়্যারহাউস থেকে বের হওয়ার পরই বিএনপি নেতা এনামসহ অন্যান্যরা ওই এলাকা থেকে সরে যান বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এমন পরিস্থিতিতে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার স্বজনদের ব্যবহৃত গাড়িগুলো সরিয়ে নেয়ার কাজে বিএনপি শীর্ষ নেতাদের সশরীরে উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিয়ে চারিদিকে শোরগোল উঠেছে।

জানা যায়, গত ৫ আগস্ট রাতে নগরের নাসিরাবাদ আবাসিক এলাকা থেকে গাড়িগুলো সরিয়ে কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জারটেক এলাকায় এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন একটি ওয়্যারহাউসে রাখা হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে বৃহস্পতিবার রাতে দামি গাড়িগুলো ওয়্যারহাউস থেকে সরিয়ে অন্যত্র রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও খবরে বলা হচ্ছে এস আলমের ওয়্যারহাউস থেকে বের করা হচ্ছে দামি গাড়ি। কিন্তু বাস্তবে তিনি গিয়েছিলেন নগরীর কালুরঘাট শিল্প এলাকায় মীর গ্রুপের ওয়্যারহাউসে।

তিনি আরও বলেন, মীর গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম এবং তিনি মামাতো-ফুপাতো ভাই। সালাম তাকে ফোন করে জানিয়েছেন বিএনপির কিছু ছেলে তার কাছে চাঁদা দাবি করেছে। তাই তিনি বিএনপি নেতা সুফিয়ানকে সঙ্গে নিয়ে কালুরঘাট শিল্প এলাকায় (বিসিক) মীর গ্রুপের মালিকানাধীন একটি ওয়্যারহাউসে যান। সেখানে গাড়িগুলো কাদের ছিল তা তিনি জানেন না। আত্মীয়তার কারণে সালামকে সহযোগিতা করতে সেখানে গিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন