দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ একদফা দাবিতে সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা ১৩ দফার অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। যা শেষ হবে এদিন সন্ধ্যা ৬টায়।
ঝিনাইদহে নৌকার সমর্থকদের গাড়ি ভাঙচুর
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অবরোধের ঘোষণা দেন।
এ সময় তিনি কয়েকটি দাবির কথা উল্লেখ করেন। তারমধ্যে বর্তমান সরকারে পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানান তিনি। এছাড়াও অবাধ-সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে এ আন্দোলন বলেও জানান রিজভী।
এছাড়াও ভোটগ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি ভোট বর্জনের আহ্বানও জানান তিনি। বলেন, নির্বাচনের নামে বানর খেলায় যাবেন না। ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। নির্বাচনে কারা এমপি হবে সেই তালিকা তৈরি হয়ে গেছে।
এদিকে জামায়াতে ইসলামীও আলাদাভাবে অনুরূপ সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, এলডিপি, লেবার পার্টিসহ সমমনা দলগুলোও পৃথকভাবে এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে বলে জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়। এরপর ২৯ অক্টোবর থেকে দলটি এ পর্যন্ত ১২ দফায় পালন করেছে অবরোধ। চারবার পালন করেছে হরতাল। এছাড়াও গত ২১ ডিসেম্বর থেকে সরকারের একতরফা ভোট বর্জন ও বর্তমান সরকারকে অসহযোগিতার আহ্বান জানায় তারা। সারা দেশে পালন করে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচী।
এদিকে অবরোধের আগের রাতেই রাজধানীতে ৩টি যাত্রীবাহী বাসে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। মিরপুর, ধানমন্ডি ও গুলিস্তান এলাকায় এসব অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন