ঢাকা ০৬:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

https://www.newsbijoy24.com/category/dengue-update/

বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র

  • অনলাইন ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০১:৪২:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩
  • ২১৩ পড়া হয়েছে।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের যে সার্বিক পরিবেশ আছে তাতে আমেরিকা আমাদের দেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহী। কী ধরনের বিনিয়োগ তারা করতে পারেন, সে বিষয়ে জানতে আগ্রহী মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

আজ মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তিনি (পিটার হাস) তার প্রশংসা করেছেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কার্যক্রমেরও প্রশংসা করেছেন। দেশের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে তিনি প্রশংসা করেছেন। এতে বোঝা যায়, বাংলাদেশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য দেশগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি কী!’

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের নৌখাত ও নৌ মন্ত্রণালয় সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। কারণ এর আগে ইউএস ট্রেডের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) একটি দল ১৪ দিন আমেরিকা সফর করেছিলাম। তখন অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন ও ম্যারিটাইম নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আমরা কথা বলেছি।’

আমেরিকার বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসটিডিএ), এক্সিম ব্যাংক, তারা এখানে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সে বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর নিয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। বিশেষ করে, আমাদের যে ফায়ার ফাইটিংয়ের চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, সেগুলো মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যোগ করেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘পায়রা বন্দর নিয়ে তাদের বলেছি যে এটি নতুন একটি বন্দর, এখানে অনেক ধরনের সুযোগ আছে। যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ করতে চাইলে সেটা তারা করতে পারবে। এ নিয়ে পায়রা বন্দরকে বলব। পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হবে, কী কী সুযোগ আছে, তা তারা জানতে চাইবে।’

আর বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় যে বন্যা ও দুর্যোগ হয়, এসব বিষয়ে তারা সহযোগিতা করতে পারে, আমরাও আগ্রহ প্রকাশ করেছি।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের আন্তর্জাতিক জাহাজ ও বন্দর স্থাপনা নিরাপত্তা (আইএসপিএস) কোড আছে। আমেরিকার কোস্ট গার্ড এরইমধ্যে মোংলা সমুদ্রবন্দর পরিদর্শন করেছে। আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করছি। আমরা বিভিন্ন ধরনের ড্রেজার সংগ্রহ করছি, তার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও যুক্ত আছে। তাদের কাছ থেকেও সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করা হচ্ছে।’

বন্দরগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না, প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা অকল্পনীয়, তারা খুবই খুশি। চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় তারা সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’

নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন নৌবন্দরে যে ফায়ার ফাইটিংয়ের চ্যালেঞ্জ আছে, সেগুলো মোকাবিলায় সহযোগিতা করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। তারা আমাদের নৌখাতের অগ্রগতি নিয়ে আশাবাদী। তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতেও আগ্রহী।

মন্ত্রণালয়ের বাইরে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘না, এমনিতেই পারিবারিক আলোচনা হয়েছে। আমার পরিবার সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। রাজনৈতিক কোনো আলোচনা হয়নি।’

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

সকল সংবাদ পেতে ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন…

নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

কুড়িগ্রামের রৌমারী স্বামীর অমানবিক নির্যাতনে স্ত্রীর আত্মহত্যায় সন্দেহে লাশ মর্গে

https://i0.wp.com/www.bd-pratidin.com/assets/newDesktop/sp-img/dengu-desktop.gif?ssl=1

বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত সময় :- ০১:৪২:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের যে সার্বিক পরিবেশ আছে তাতে আমেরিকা আমাদের দেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহী। কী ধরনের বিনিয়োগ তারা করতে পারেন, সে বিষয়ে জানতে আগ্রহী মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

আজ মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তিনি (পিটার হাস) তার প্রশংসা করেছেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কার্যক্রমেরও প্রশংসা করেছেন। দেশের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে তিনি প্রশংসা করেছেন। এতে বোঝা যায়, বাংলাদেশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য দেশগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি কী!’

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের নৌখাত ও নৌ মন্ত্রণালয় সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। কারণ এর আগে ইউএস ট্রেডের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) একটি দল ১৪ দিন আমেরিকা সফর করেছিলাম। তখন অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন ও ম্যারিটাইম নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আমরা কথা বলেছি।’

আমেরিকার বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসটিডিএ), এক্সিম ব্যাংক, তারা এখানে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সে বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর নিয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। বিশেষ করে, আমাদের যে ফায়ার ফাইটিংয়ের চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, সেগুলো মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যোগ করেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘পায়রা বন্দর নিয়ে তাদের বলেছি যে এটি নতুন একটি বন্দর, এখানে অনেক ধরনের সুযোগ আছে। যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ করতে চাইলে সেটা তারা করতে পারবে। এ নিয়ে পায়রা বন্দরকে বলব। পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হবে, কী কী সুযোগ আছে, তা তারা জানতে চাইবে।’

আর বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় যে বন্যা ও দুর্যোগ হয়, এসব বিষয়ে তারা সহযোগিতা করতে পারে, আমরাও আগ্রহ প্রকাশ করেছি।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের আন্তর্জাতিক জাহাজ ও বন্দর স্থাপনা নিরাপত্তা (আইএসপিএস) কোড আছে। আমেরিকার কোস্ট গার্ড এরইমধ্যে মোংলা সমুদ্রবন্দর পরিদর্শন করেছে। আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করছি। আমরা বিভিন্ন ধরনের ড্রেজার সংগ্রহ করছি, তার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও যুক্ত আছে। তাদের কাছ থেকেও সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করা হচ্ছে।’

বন্দরগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না, প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা অকল্পনীয়, তারা খুবই খুশি। চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় তারা সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’

নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন নৌবন্দরে যে ফায়ার ফাইটিংয়ের চ্যালেঞ্জ আছে, সেগুলো মোকাবিলায় সহযোগিতা করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। তারা আমাদের নৌখাতের অগ্রগতি নিয়ে আশাবাদী। তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতেও আগ্রহী।

মন্ত্রণালয়ের বাইরে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘না, এমনিতেই পারিবারিক আলোচনা হয়েছে। আমার পরিবার সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। রাজনৈতিক কোনো আলোচনা হয়নি।’

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন