
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলাতে পাঁকা সড়কের একই রাস্তায় দুটি কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ায় যান চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।
জানাযায়, বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর ইউপির নূনুজ হাটখোলা বাজারের তিন মাথা মোড়ের কালভার্ট ও নুনুজ মাদ্রাসার পার্শের কালভার্টটি ভেঙ্গে পড়ায় চরম বিপাকে পড়েছে পথচারী ও ওই এলাকার জনসাধারণ। এই রাস্তার ভাঙা কালভার্টের উপর দিয়ে দিনে-রাতে চলাচলের সময় ঘটেছে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনা । ভেঙ্গে পড়া স্থানে নেই কোন বিপদ সংকেত। গ্রামের লোকজন গাছের ডালপালা ফেলে সতর্ক করেছে এতেও দুর্ঘটনা কমছে না। ফলে দুইটি কালভার্ট যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
দূর্ঘটনার আশংকা নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ছাত্র-ছাত্রী সহ আশেপাশের সকল জনগনকে এই ভাঙ্গা কালভার্ট দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে । তাই অতি দ্রুত নতুন কালভার্টের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পাহাড়পুর ইউপির ননুজ হাটখোলা বাজারের তিন মাথার কালভার্ট টি মাঝখানে ভেঙ্গে পড়েছে। একই রাস্তার সামনে ননুজ মাদ্রাসার নিকটে ছোট কালভার্ট টি প্রায় পুরোটাই ভেঙ্গে পড়েছে। দূর থেকে গর্তটি অনুমান না হওয়ার ফলে রাস্তায় চলাচলের সময় অনেক অজানা মানুষ ও যানবহান প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। দূর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয় লোকজন গর্তের মাঝে কাঠের গুল দিয়ে রেখেছে ।
ননুজ হাটখোলা বাজারের তাজেম উদ্দিন বলেন, ৩৫ দিন পূর্বে ননুজ হাটখোলা বাজারের কালভার্টটিমাঝখানে ভেঙ্গে পড়ে যায়। একই রাস্তার ননুজ মাদ্রাসার নিকটের ছোট কালভার্টটিও প্রায় ১৫দিন হলো পুরোটাই ভেঙ্গে গেছে। আমাদের ইউপিতে ইটভাটা বেশি হওয়ায় এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত ইট,মাটি বহণকারী ট্রাক্টর গুলো লাগাতার চলাচলে কালভার্ট দুটি ফেটে ভেঙ্গে দেবে যায়।
ইট বহণকারী ট্রাক্টর চালক মোজাম্মেল বলেন, একই রাস্তায় দুটি কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে এ সড়ক দিয়ে আর কোনো প্রকার যানবহান চলাচল করতে পারছে না। ১০ কি.মি. পথ ঘুরে বিকল্প পথ দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে ।
রাজপুর এলাকার মজিদ জানান, এ রাস্তা দিয়ে জয়পুরহাট, জামালগঞ্জ,পাহাড়পুর,মিঠাপুর ও গোবরচাঁপা যাতায়াতের একমাত্র সহজ পথ। এ রাস্তা দিয়ে কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুইটি দাখিল মাদ্রাসার ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী যাতায়াত করেন।নুনুজ রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরে দুটি কালভার্ট ভেঙে পড়ে আছে। কালভার্ট দুটি নতুন করে নির্মাণের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে বলা হলেও তিনি এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেননি।
এ ব্যাপারে পাহাড়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু হাসনাত মিজানুর রহমান কিশোর বলেন, গ্রামীন এলজিইডির সড়কের মাঝে ননুজ গ্রামের দুটি কালভার্টই পুরাতন ছিল,এলজিডির বরাদ্দকৃত স্বল্প অর্থের মাধ্যমে ব্রীজ দুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। পুরাতুন ব্রীজ হওয়াতে কালভার্ট দুটি ভেঙে পড়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে অবগত করা হয়েছে।নতুন দুটি কালভার্ট তৈরির ব্যপারে জানানো হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, আমরা খবর পেয়ে ভাঙা দুটি কালভার্ট পরিদর্শন করেছি। অতি দ্রুত কালভার্ট দুটি নতুন করে নির্মাণ করা হবে।