ষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরই ভেঙে দেওয়া হয় সংসদ। এরপর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি, নেতাকর্মীরা। কেউ কেউ দেশের ভেতরেই আত্মগোপনে চলে যান। তাদেরই একজন ঢাকা-১০ আসনের সাবেক এমপি চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। শেখ হাসিনা ভারতে যাওয়ার পর থেকেই কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তার।
ঢাকাই সিনেমার এই নায়কের বেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধু ওপার বাংলার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। প্রায় অর্ধশত ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন তারা। বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখলেই ফেরদৌসের বাড়িতে ঘুরতে যান ঋতুপর্ণা। তবে আওয়ামী লীগের পতনের পর বিগত এক মাসে ফেরদৌসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি এ অভিনেত্রী। প্রিয় বন্ধুকে নিয়ে বেশ চিন্তিতও তিনি।
সম্প্রতি ঋতুপর্ণা বলেন, গত এক মাস ধরে ফেরদৌসের খোঁজ পাইনি। তার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারও বন্ধ পাচ্ছি।
অভিনেত্রী বলেন, প্রত্যেকের আলাদা আলাদা রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করার অধিকার আছে। ফেরদৌসও সেভাবে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে, সংসদ সদস্য হয়েছে। তবে ব্যক্তি ফেরদৌস খুব নরম মানুষ। অসাধারণ তার ব্যক্তিত্ব। যারা তাকে কাছ থেকে দেখেছেন, এটা স্বীকার করবেন। আমি জানার বহু চেষ্টা করেছি সে এখন কেমন আছে, কোথায় আছে। কেউ যদি আমাকে জানাতে পারেন চিন্তামুক্ত হতাম। ওর জন্য খুব কষ্ট পাচ্ছি।
নায়কের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনের মতে, ৪ আগস্ট রাত পর্যন্ত ঢাকাতেই অবস্থান করছিলেন ফেরদৌস। এর দুইদিন আগেও বিটিভিতে হাজির হয়ে টেলিভিশন চ্যানেলটির ওপর হামলা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তিনি।
তবে ৫ আগস্ট থেকে ফেরদৌসকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই নায়কের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও ৪ আগস্টের পর কোনো স্ট্যাটাস শেয়ার করতে দেখা যায়নি। এমনকি তার পিএস-এর নাম্বারও বন্ধ। গুঞ্জন উঠেছে, পরিবার নিয়ে ফেরদৌস দেশ ছেড়েছেন। যদিও এ খবরের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন