বিশেষ প্রতিনিধি লালমনিরহাট :- 
Newsসমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এম,পি বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের এমন কোন সেক্টর নেই যে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেনি। প্রতিটি সেক্টরকে উন্নয়নের চরম শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন। এক সময়ের অচেনা বাংলাদেশকে উন্নয়ন করে রোল মডেলে পরিনত করেছে।
তিনি বৃহস্পতিবার (২ জুন) লালমনিরহাট আদিতমারী উপজেলার সরকারী আদিতমারী জিএস মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে তিন দিন ব্যাপী কৃষি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভার্চুয়ালে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষি মেলায় উদ্ভোধন উপলক্ষে মন্ত্রী আরও বলেন,আমাদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ অর্থনীতিকে বেগবান গতিশীল করতে দেশের কৃষিখ্যাতে কৃষকের উন্নয়নের জন্য কৃষি বিভাগকে আরও ব্যাপক কাজ করতে হবে। বর্তমান সরকারের আমলে কৃষি বিপ্লব রুপ ধারন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে কৃষকদের কারণে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে পরিনত হয়েছে। দেশে এখন খাদ্যের অভাব নেই। এক সময়ের তলাবিহীন ঝুড়ির দেশকে উপচে পড়া দেশে পরিনত করেছে। কৃষক ভাইদের জন্য সর্বক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদানের ফলে আজকে কৃষিখ্যাতে উৎপাদন ও বৃদ্ধি অনেকগুন বেড়ে গেছে। কৃষির উন্নয়ন ব্যহত করতে বিএনপি জামাতরা ঝড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। উন্নয়নের বাধা যাতে না আসে সে জন্য দেশের উন্নয়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সর্বোপরি কৃষি প্রণোদনা যাতে গ্রামের প্রত্যন্ত লের কৃষকরা পায় সেই দিকে কর্মকর্তাদের দৃষ্টি রাখার আহবান জানান।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জি,আর সারোয়ারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আলীনুর রহমানের স ালনে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ তৌফিক আহমেদ, প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মোশারফ হোসেন,কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন, প্রশাসনিক প্রধান শওকাত আরা সিদ্দিকা,জেলা স্কাউট সম্পাদক মোজাম্মেল হক, সমাজসেবা কর্মকর্তা রওশন আলী মন্ডল,সমবায় অফিসার ফজলে এলাহী,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সুলতান হোসেন প্রমুখ।
এর আগে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে সরকারী আদিতমারী জি,এস স্কুল এ্যান্ড কলেজ মাঠে এসে শেষ হয়। ৩দিন ব্যাপী মেলায় ১২টি স্টল বসেছে। এছাড়াও আলোচনা সভায় ২ শতাধিক কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
