
কোনোভাবেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন ঠেকানো যাচ্ছে না। এবার রিজার্ভ কমে ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছে। এর মধ্যেই চলতি সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় হিসেবে আরও প্রায় ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হবে।
এতে রিজার্ভ কমে নেমে আসবে ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। যদিও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবে দেশের ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ এখন ১৯ থেকে ২০ বিলিয়নের ঘরে রয়েছে। সংস্থাটির ঋণের কিস্তি ছাড় পাওয়ার শর্ত হিসেবে নিট রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন ডলারের ওপরে থাকতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০২১ সালের আগস্টে। তবে করোনাপরবর্তী বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসছে, খরচ হচ্ছে সে তুলনায় বেশি। বাড়তি চাহিদা মেটাতে রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকালও ৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এতে করে ধারাবাহিকভাবে কমছে রিজার্ভ। সর্বশেষ গত রবিবার রিজার্ভের পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলারে। এক বছর আগে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার। ফলে এক বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ১৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
এদিকে চলতি সপ্তাহেই মার্চ ও এপ্রিল মাসের আকুর দেনাবাবদ আরও প্রায় ১ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। এটা পরিশোধ করার পর রিজার্ভ ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে আসবে। উল্লেখ্য, আকু হলো একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ বর্তমানে আকুর সদস্য। এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যেসব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পর পর আকু মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়।