ঢাকা ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মুক্তি পাচ্ছেন গ্রেফতারকৃতরা

প্রত্যাহার হচ্ছে সাইবার নিরাপত্তা আইনের ১৩৪০ মামলা

সাইবার নিরাপত্তা আইনে হওয়া ‘স্পিচ অফেন্স’ সম্পর্কিত ১ হাজার ৩৪০টি মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া এসব মামলায় কেউ গ্রেফতার থাকলে তারাও আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাৎক্ষণিক মুক্তি পাবেন।

সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬’, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮’ এবং ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ এর অধীনে গত আগস্ট পর্যন্ত দেশের ৮টি সাইবার ট্রাইব্যুনালে মোট ৫ হাজার ৮১৮টি মামলা চলমান রয়েছে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিজিটাল মাধ্যমে মুক্তমত প্রকাশের কারণে হওয়া মামলাগুলোকে ‌‘স্পিচ অফেন্স’ এবং কম্পিউটার হ্যাকিং বা অন্য কোনো ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে জালিয়াতিকে ‘কম্পিউটার অফেন্স’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বর্তমানে ‘স্পিচ অফেন্স’ সম্পর্কিত মোট ১ হাজার ৩৪০টি মামলা চলমান, এর মধ্যে ৪৬১টি মামলা তদন্তকারী সংস্থার কাছে তদন্তাধীন এবং ৮৭৯টি মামলা দেশের ৮টি সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। ‘স্পিচ অফেন্স’ সম্পর্কিত মামলাগুলোর মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের অধীনে ২৭৯টি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে ৭৮৬টি এবং সাইবার নিরাপত্তা আইনের অধীনে ২৭৫টি মামলা চলমান।

বর্তমান সরকার ‘স্পিচ অফেন্স’ সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ হাজার ৩৪০টি ‘স্পিচ অফেন্স’ সম্পর্কিত মামলার মধ্যে বিচারাধীন ৮৭৯টি মামলা আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুত প্রত্যাহার করা হবে। তদন্তাধীন ৪৬১টি মামলা চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিলের মাধ্যমে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হবে।

এসব মামলায় কেউ গ্রেফতার থাকলে তিনি এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাৎক্ষণিক মুক্তি পাবেন বলেও জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

নিউজবিজয়২৪ডট কম/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

এই প্রথম বাংলাদেশে আনন্দের সঙ্গে দুর্গোৎসব পালিত হচ্ছে: গয়েশ্বর

মুক্তি পাচ্ছেন গ্রেফতারকৃতরা

প্রত্যাহার হচ্ছে সাইবার নিরাপত্তা আইনের ১৩৪০ মামলা

প্রকাশিত সময় :- ০৬:১৭:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাইবার নিরাপত্তা আইনে হওয়া ‘স্পিচ অফেন্স’ সম্পর্কিত ১ হাজার ৩৪০টি মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া এসব মামলায় কেউ গ্রেফতার থাকলে তারাও আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাৎক্ষণিক মুক্তি পাবেন।

সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬’, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮’ এবং ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ এর অধীনে গত আগস্ট পর্যন্ত দেশের ৮টি সাইবার ট্রাইব্যুনালে মোট ৫ হাজার ৮১৮টি মামলা চলমান রয়েছে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিজিটাল মাধ্যমে মুক্তমত প্রকাশের কারণে হওয়া মামলাগুলোকে ‌‘স্পিচ অফেন্স’ এবং কম্পিউটার হ্যাকিং বা অন্য কোনো ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে জালিয়াতিকে ‘কম্পিউটার অফেন্স’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বর্তমানে ‘স্পিচ অফেন্স’ সম্পর্কিত মোট ১ হাজার ৩৪০টি মামলা চলমান, এর মধ্যে ৪৬১টি মামলা তদন্তকারী সংস্থার কাছে তদন্তাধীন এবং ৮৭৯টি মামলা দেশের ৮টি সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। ‘স্পিচ অফেন্স’ সম্পর্কিত মামলাগুলোর মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের অধীনে ২৭৯টি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে ৭৮৬টি এবং সাইবার নিরাপত্তা আইনের অধীনে ২৭৫টি মামলা চলমান।

বর্তমান সরকার ‘স্পিচ অফেন্স’ সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ হাজার ৩৪০টি ‘স্পিচ অফেন্স’ সম্পর্কিত মামলার মধ্যে বিচারাধীন ৮৭৯টি মামলা আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুত প্রত্যাহার করা হবে। তদন্তাধীন ৪৬১টি মামলা চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিলের মাধ্যমে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হবে।

এসব মামলায় কেউ গ্রেফতার থাকলে তিনি এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাৎক্ষণিক মুক্তি পাবেন বলেও জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

নিউজবিজয়২৪ডট কম/এফএইচএন