ঢাকা ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

https://www.newsbijoy24.com/

পুকুর খননের নামে জুলুম: পীরগাছায় অসহায় প্রতিবন্ধী পরিবারের কান্না

রংপুরের পীরগাছায় এক প্রতিবন্ধী পরিবারকে উচ্ছেদ করতে ঘরের পিড়ালি ঘেঁষে এস্কেভেটর মেশিন (ভেকু) দিয়ে গভীর পুকুর খননের অভিযোগ উঠছে প্রভাবশালী আবুল কাশেম ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে। উপজেলার ইটাকুমারী ইউনিয়নের বড় হায়াত খাঁ (হাজীপাড়া) গ্রামে বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এতে করে প্রতিবন্ধী ওই পরিবারের দুটি ঘর, গাছপালা ও বার্থরুমের সেপ্টিট্যাংক যে কোন ধ্বসে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। ভূক্তভোগী ওই পরিবারটিকে চাঁপে রেখে এ ধরনের ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।
অভিযোগে জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃত নাজির হোসেনের ছেলে হেকমত আলীর নিকট থেকে বিগত ২০০৭ সালে দলিলমূলে ১৭ শতাংশ জমি ক্রয় করে বাক প্রতিবন্ধী রজব আলী। সেই দলিলে স্বাক্ষী হন হেকমত আলীর অপর ভাই আবুল কাশেম। তখন প্রতিবন্ধী পরিবারকে এক দাগে ১৭ শতক জমি দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। পরে তিনি ওই জমিতে মাটি ভরাট করে তার দুই ছেলে রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলামকে নিয়ে সেখানে বসবাস করতে থাকেন। গত ৭ মাস আগে জমি পরিমান করতে গিয়ে প্রতিবন্ধী রজব আলীর পরিবার জানতে পান যেখানে বসবাস করছেন সেখানে সাড়ে ৫ শতক এবং পিছনে একটি গর্তের মধ্যে সাড়ে ১১ শতক জমি রয়েছে। এরপর দাতা হেকমত আলীর ভাই আবুল কাশেম ও তার দুই ছেলে নুরনবী এবং নুর আলম মিয়া জমি ছেড়ে দিতে চাঁপ প্রয়োগ করতে থাকে। অসহায় পরিবার সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে বিচারের জন্য ঘুরতে থাকে। এদিকে গতকাল বুধবার সকাল থেকে প্রতিবন্ধী রজব আলীর ঘরের পিড়ালি ঘেঁষে এস্কেভেটর মেশিন (ভেকু) দিয়ে গভীর পুকুর খনন করে। এতে রজব আলীর বার্থরুমের সেপ্টিট্যাংক বেড়িয়ে যায় এবং যে কোন মুহুর্তে দুটি ঘর ও গাছপালা ভেঙ্গে যেতে পারেন। এ অবস্থায় ওই পরিবারটি উদিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
প্রতিবন্ধীর রজব আলীর স্ত্রী রুবি বেগম বলেন, জমি কেনার সময় আবুল কাশেম স্বাক্ষী ছিল।
আজ তারাই আমাকে ভিটে ছাড়া করতে চাইছে। রজব আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম বলেন,বাবা প্রতিবন্ধী। আমরা ছোট ছিলাম। তাই তারা এখন আমাদের উচ্ছেদের জন্য ঘরের পিড়ালি ঘেঁষে পুকুর খনন করছে। তারা প্রভাবশালী তাই আমরা কিছু বলিনি এবং বাঁধাও দেইনি।
আমরা ন্যায় বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল কাশেম ও তার ছেলে নুরনবী মিয়া বলেন, তারা দুই দাগে জমি কিনেছে। দুই দাগে বাড়ি করুক। ঘরের পিড়ালি ঘেঁষে পুকুর খননের বিষয়ে জানতে চাইলে নুরনবী মিয়া বলেন, অনেক বার বলার পরও তারা শোনেননি। তাই বাধ্য হয়ে এ কাজ করেছি।
নিউজবিজয়২৪ডট কম/এফএইচএন

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

এবার মোবাইল ইন্টারনেট নিয়ে সুখবর দিলো বিটিআরসি

পুকুর খননের নামে জুলুম: পীরগাছায় অসহায় প্রতিবন্ধী পরিবারের কান্না

প্রকাশিত সময় :- ০৮:৪৯:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

রংপুরের পীরগাছায় এক প্রতিবন্ধী পরিবারকে উচ্ছেদ করতে ঘরের পিড়ালি ঘেঁষে এস্কেভেটর মেশিন (ভেকু) দিয়ে গভীর পুকুর খননের অভিযোগ উঠছে প্রভাবশালী আবুল কাশেম ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে। উপজেলার ইটাকুমারী ইউনিয়নের বড় হায়াত খাঁ (হাজীপাড়া) গ্রামে বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এতে করে প্রতিবন্ধী ওই পরিবারের দুটি ঘর, গাছপালা ও বার্থরুমের সেপ্টিট্যাংক যে কোন ধ্বসে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। ভূক্তভোগী ওই পরিবারটিকে চাঁপে রেখে এ ধরনের ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।
অভিযোগে জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃত নাজির হোসেনের ছেলে হেকমত আলীর নিকট থেকে বিগত ২০০৭ সালে দলিলমূলে ১৭ শতাংশ জমি ক্রয় করে বাক প্রতিবন্ধী রজব আলী। সেই দলিলে স্বাক্ষী হন হেকমত আলীর অপর ভাই আবুল কাশেম। তখন প্রতিবন্ধী পরিবারকে এক দাগে ১৭ শতক জমি দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। পরে তিনি ওই জমিতে মাটি ভরাট করে তার দুই ছেলে রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলামকে নিয়ে সেখানে বসবাস করতে থাকেন। গত ৭ মাস আগে জমি পরিমান করতে গিয়ে প্রতিবন্ধী রজব আলীর পরিবার জানতে পান যেখানে বসবাস করছেন সেখানে সাড়ে ৫ শতক এবং পিছনে একটি গর্তের মধ্যে সাড়ে ১১ শতক জমি রয়েছে। এরপর দাতা হেকমত আলীর ভাই আবুল কাশেম ও তার দুই ছেলে নুরনবী এবং নুর আলম মিয়া জমি ছেড়ে দিতে চাঁপ প্রয়োগ করতে থাকে। অসহায় পরিবার সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে বিচারের জন্য ঘুরতে থাকে। এদিকে গতকাল বুধবার সকাল থেকে প্রতিবন্ধী রজব আলীর ঘরের পিড়ালি ঘেঁষে এস্কেভেটর মেশিন (ভেকু) দিয়ে গভীর পুকুর খনন করে। এতে রজব আলীর বার্থরুমের সেপ্টিট্যাংক বেড়িয়ে যায় এবং যে কোন মুহুর্তে দুটি ঘর ও গাছপালা ভেঙ্গে যেতে পারেন। এ অবস্থায় ওই পরিবারটি উদিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
প্রতিবন্ধীর রজব আলীর স্ত্রী রুবি বেগম বলেন, জমি কেনার সময় আবুল কাশেম স্বাক্ষী ছিল।
আজ তারাই আমাকে ভিটে ছাড়া করতে চাইছে। রজব আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম বলেন,বাবা প্রতিবন্ধী। আমরা ছোট ছিলাম। তাই তারা এখন আমাদের উচ্ছেদের জন্য ঘরের পিড়ালি ঘেঁষে পুকুর খনন করছে। তারা প্রভাবশালী তাই আমরা কিছু বলিনি এবং বাঁধাও দেইনি।
আমরা ন্যায় বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল কাশেম ও তার ছেলে নুরনবী মিয়া বলেন, তারা দুই দাগে জমি কিনেছে। দুই দাগে বাড়ি করুক। ঘরের পিড়ালি ঘেঁষে পুকুর খননের বিষয়ে জানতে চাইলে নুরনবী মিয়া বলেন, অনেক বার বলার পরও তারা শোনেননি। তাই বাধ্য হয়ে এ কাজ করেছি।
নিউজবিজয়২৪ডট কম/এফএইচএন