রংপুরের পীরগাছায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুসহ তিনজন মারা গেছেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক শিশু ও রোববার চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো দুজন মারা যান। নিহতরা হচ্ছেন উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের চর ছাওলা গ্রামের শফিকুল ইমলামের ছেলে রাফি ইসলাম (৬), কৈকুড়ী ইউনিয়নের কুতুব্বাস গ্রামের মৃত শাহাব উদ্দিনের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুর রহিম বাদশা (৫৫) ও পীরগাছা সদর ইউনিয়নের নগরজিৎপুর গ্রামের ভেদু শেখের ছেলে আব্দুল গফুর মিয়া (৫২)।
থানা পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাওটানা-লাটশালা পাওয়ার প্লান্ট সড়কের তারা বাজার এলাকায় রাস্তার পাশে দাড়িয়ে ছিল শিশু রাফি ইসলাম। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি মোটর সাইকেল তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলের রাফি ইসলাম মারা যান। এসময় মোটরসাইকেল চালক লাটশালা গ্রামের আবুল কালামকে আটক করে এলাকাবাসী। অপরদিকে গত বুধবার রাতে উপজেলার বকসির দীঘি বাজার এলাকায় মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন কুতুব্বাস গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুর রহিম বাদশাসহ দুজন। তাকে রংপুর সিএমএইচএ ভর্তি করা হয়। ঘটনার ৫দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৭ টায় মারা যান আব্দুর রহিম বাদশা। এছাড়াও গত বৃহস্পতিবার রাতে অটো যোগে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার দেউতি এলাকায় অটোটিকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায় একটি মাইক্রোবাস। এসময় অটো থেকে ছিটকে পড়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন নগরজিৎপুর গ্রামের আব্দুল গফুর মিয়া। ওই দিনেই তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গতকাল রোববার সকাল ৮ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। গতকাল রোববার সকালে শিশু রাফি ইসলাম এবং বাদ আসর রহিম বাদশা ও গফুর মিয়ার জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র বলেন, পৃথক পৃথক দুর্ঘটনার বিষয় অবগত হয়েছি। চালকদের সচেতনতার অভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। সকল ঘটনায় ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।