ঢাকা ০১:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পি কে হালদারকে ৭ জুন পর্যন্ত কারাগারে রাখার নির্দেশ

পি কে হালদার। ফাইল ফটো

বহুল আলোচিত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের হাজার কোটি টাকা লোপাটের মূলহোতা প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) আগামী ৭ জুন পর্যন্ত কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার আদালত।

দুই দফায় ১৩ দিনের রিমান্ডের পর শুক্রবার (২৭ মে) তাকে আদালতে তোলা হয়। এদিন মামলার অগ্রগতি নিয়ে শুনানির পর আগামী ৭ জুন পর্যন্ত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

প্রথম দফায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে গত ১৭ মে পি কে হালদার ছাড়াও পরিবারের আরো ৫ সদস্যকে আদালতে তোলা হয়।

এ সময় পি কে হালদারকে হেফাজতে নেয়ার পর মামলার কতটা অগ্রগতি হয়েছে তা আদালতকে জানায় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই সঙ্গে আবারো ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে এদিন সকালে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ইডি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় পি কে হালদারকে। এ সময় সাংবাদিকরা তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি। ভারতে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে কি না সে বিষয়েও কোনো উত্তর দেননি পি কে হালদার।

আর্থিক খাতে আলোচিত পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গত ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগর থেকে গ্রেফতার করে ইডি। পরে আদালতে তোলা হলে তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

এরপর থেকেই তাদের দেয়া তথ্য অনুসারে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পি কে হালদারের অনেক সম্পদের সন্ধান পায় ইডি।

এদিকে পি কে হালদারকে কোনো রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি সাহায্য করেছিলেন কি না সে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে ইতোমধ্যেই মাঠে নেমেছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।

গ্রেফতারকৃত পি কে হালদারের কাছ থেকে তথ্য পেয়েই এমন ৪০ জনের নামের তালিকা প্রস্তুত করেছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। সেই তালিকায় রয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী। এছাড়া কয়েকজন জমির দালাল এবং ব্যাংক কর্মকর্তাও রয়েছেন।

ইতোমধ্যে দুটি বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলেছেন গোয়েন্দারা। ওই দুটি ব্যাংকের সন্দেহজনক লেনদেনের সন্ধান পেয়েছেন তারা।

নিউজবিজয়/এফএইচএ

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেসসচিব হলেন দুই সাংবাদিক

পি কে হালদারকে ৭ জুন পর্যন্ত কারাগারে রাখার নির্দেশ

প্রকাশিত সময় :- ০৩:৩২:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২

বহুল আলোচিত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের হাজার কোটি টাকা লোপাটের মূলহোতা প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) আগামী ৭ জুন পর্যন্ত কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার আদালত।

দুই দফায় ১৩ দিনের রিমান্ডের পর শুক্রবার (২৭ মে) তাকে আদালতে তোলা হয়। এদিন মামলার অগ্রগতি নিয়ে শুনানির পর আগামী ৭ জুন পর্যন্ত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

প্রথম দফায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে গত ১৭ মে পি কে হালদার ছাড়াও পরিবারের আরো ৫ সদস্যকে আদালতে তোলা হয়।

এ সময় পি কে হালদারকে হেফাজতে নেয়ার পর মামলার কতটা অগ্রগতি হয়েছে তা আদালতকে জানায় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই সঙ্গে আবারো ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে এদিন সকালে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ইডি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় পি কে হালদারকে। এ সময় সাংবাদিকরা তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি। ভারতে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে কি না সে বিষয়েও কোনো উত্তর দেননি পি কে হালদার।

আর্থিক খাতে আলোচিত পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গত ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগর থেকে গ্রেফতার করে ইডি। পরে আদালতে তোলা হলে তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

এরপর থেকেই তাদের দেয়া তথ্য অনুসারে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পি কে হালদারের অনেক সম্পদের সন্ধান পায় ইডি।

এদিকে পি কে হালদারকে কোনো রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি সাহায্য করেছিলেন কি না সে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে ইতোমধ্যেই মাঠে নেমেছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।

গ্রেফতারকৃত পি কে হালদারের কাছ থেকে তথ্য পেয়েই এমন ৪০ জনের নামের তালিকা প্রস্তুত করেছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। সেই তালিকায় রয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী। এছাড়া কয়েকজন জমির দালাল এবং ব্যাংক কর্মকর্তাও রয়েছেন।

ইতোমধ্যে দুটি বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলেছেন গোয়েন্দারা। ওই দুটি ব্যাংকের সন্দেহজনক লেনদেনের সন্ধান পেয়েছেন তারা।

নিউজবিজয়/এফএইচএ