ঢাকা ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিআইও অফিসের ওমেগার ও তার স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকার বাড়িতে ত্রাণের ঢেউটিন

 
   NewsBijoy24.Com সর্বশেষ খবর পেতে টেলিগ্রাম চ্যানেল জয়েন করুন।

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে পিআইও অফিসের ওমেগার ও আয়মাপুর সরকারি প্রাথমিক স্কুল শিক্ষিকা দম্পতির বাড়িতে ত্রাণের টিন। উপজেলার মিনিগাড়ী গ্রামের মোকসেদ আলী ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুনের বাড়িতে প্রায় ৪ ব্যান্ডিল ত্রাণের ঢেউটিন দিয়ে ঘরের ছাউনি ও সিমানা প্রাচির দেওয়া হয়েছে। ক্ষেতলাল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতার্ বলছেন মোকসেদ আলীর নামে চলতি অর্থ বছরে কোন ঢেউটিন দেওয়া হয়নি। মোকসেদ পিআইও অফিসের বিল ভাউচারের কাজে নিয়োজিত আছে।
সরেজমিনে জানা দেখা যায়, ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মিনিগাড়ী গ্রামের মোকসেদ আলী প্রায় ২৬ বছর থেকে ক্ষেতলাল পিআইও অফিসে কর্মরত আছে। তার স্ত্রী ফরিদা খাতুন একই উপজেলার আয়মাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছেন।
পিআইও অফিসে কর্মরত থাকাবস্থায় সম্প্রতি মোকসেদ আলী ত্রাণের সরকারি (বিক্রির জন্য নয়) নতুন ঢেউটিন দিয়ে তার ঘরের ছাউনি ও বাড়ির সিমানা প্রাচির নির্মান করেছেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এলাকাবাসির অভিযোগ, অনেক হত দরিদ্র মানুষ যারা এসব ত্রাণ পাওয়ার যোগ্য তারা পায়নি অথচ পিআইও অফিসে কাজ করার সুবাদে কর্তাদের যোগসাজস ও স্বজনপ্রিতিতে টিন পেল মোকসেদ। অথচ তার বৌ করে সরকারি স্কুলে চাকুরী। আর আমরা যারা ক্ষতিগ্রস্থ দুস্থ্য ও হতদরিদ্র মানুষেরা দ্বারে দ্বারে ধরনা দিয়েও এসব পাইনা।
তবে কিছু ত্রাণের টিন লাগানোর কথা স্বিকার করে মোকসেদ বলেন, আমি পিআইও অফিসে ওমেগার হিসেবে মাষ্টাররোল বিল ভাউচারের কাজ সমন্বয় করি।
মোকসেদের স্ত্রী ফরিদা খাতুন বলেন, আমি প্রাইমারি স্কুলে চাকুরী করি। ঝরে আমার ঘড়ের টিন উরে গেলে আমাকে টিন অনুদান দেওয়া হয়।
অপরদিকে মোকসেদের ছেলে পিয়াদ নাসের বলেন, আমার আব্বু পিআইও অফিসে চাকুরী করে। টিনগুলো সহায়তা পেয়েছে।
ক্ষেতলাল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রুহুল আমিন পাপন বলেন, মোকসেদের নামে ২০২০-২১ ইং অর্থ বছরে কোন টিন বরাদ্দ হয়নি। সে যদি কোন অপরাধ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, মোকসেদ পিআইও অফিসের কোন কর্মচারি নয়। সে আমার অফিসের বিল ভাউচারর কাজ করে।
এ ব্যাপারে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালে আম্পানের সময় এই ঢেউটিন গুলো দেওয়া হয়েছে কিনা সেটা তদন্তের জন্য ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ইসকন নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া গুজব ছড়াচ্ছ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পিআইও অফিসের ওমেগার ও তার স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকার বাড়িতে ত্রাণের ঢেউটিন

প্রকাশিত সময় :- ০৬:৫৩:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০২২
 
   NewsBijoy24.Com সর্বশেষ খবর পেতে টেলিগ্রাম চ্যানেল জয়েন করুন।

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে পিআইও অফিসের ওমেগার ও আয়মাপুর সরকারি প্রাথমিক স্কুল শিক্ষিকা দম্পতির বাড়িতে ত্রাণের টিন। উপজেলার মিনিগাড়ী গ্রামের মোকসেদ আলী ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুনের বাড়িতে প্রায় ৪ ব্যান্ডিল ত্রাণের ঢেউটিন দিয়ে ঘরের ছাউনি ও সিমানা প্রাচির দেওয়া হয়েছে। ক্ষেতলাল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতার্ বলছেন মোকসেদ আলীর নামে চলতি অর্থ বছরে কোন ঢেউটিন দেওয়া হয়নি। মোকসেদ পিআইও অফিসের বিল ভাউচারের কাজে নিয়োজিত আছে।
সরেজমিনে জানা দেখা যায়, ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মিনিগাড়ী গ্রামের মোকসেদ আলী প্রায় ২৬ বছর থেকে ক্ষেতলাল পিআইও অফিসে কর্মরত আছে। তার স্ত্রী ফরিদা খাতুন একই উপজেলার আয়মাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছেন।
পিআইও অফিসে কর্মরত থাকাবস্থায় সম্প্রতি মোকসেদ আলী ত্রাণের সরকারি (বিক্রির জন্য নয়) নতুন ঢেউটিন দিয়ে তার ঘরের ছাউনি ও বাড়ির সিমানা প্রাচির নির্মান করেছেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এলাকাবাসির অভিযোগ, অনেক হত দরিদ্র মানুষ যারা এসব ত্রাণ পাওয়ার যোগ্য তারা পায়নি অথচ পিআইও অফিসে কাজ করার সুবাদে কর্তাদের যোগসাজস ও স্বজনপ্রিতিতে টিন পেল মোকসেদ। অথচ তার বৌ করে সরকারি স্কুলে চাকুরী। আর আমরা যারা ক্ষতিগ্রস্থ দুস্থ্য ও হতদরিদ্র মানুষেরা দ্বারে দ্বারে ধরনা দিয়েও এসব পাইনা।
তবে কিছু ত্রাণের টিন লাগানোর কথা স্বিকার করে মোকসেদ বলেন, আমি পিআইও অফিসে ওমেগার হিসেবে মাষ্টাররোল বিল ভাউচারের কাজ সমন্বয় করি।
মোকসেদের স্ত্রী ফরিদা খাতুন বলেন, আমি প্রাইমারি স্কুলে চাকুরী করি। ঝরে আমার ঘড়ের টিন উরে গেলে আমাকে টিন অনুদান দেওয়া হয়।
অপরদিকে মোকসেদের ছেলে পিয়াদ নাসের বলেন, আমার আব্বু পিআইও অফিসে চাকুরী করে। টিনগুলো সহায়তা পেয়েছে।
ক্ষেতলাল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রুহুল আমিন পাপন বলেন, মোকসেদের নামে ২০২০-২১ ইং অর্থ বছরে কোন টিন বরাদ্দ হয়নি। সে যদি কোন অপরাধ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, মোকসেদ পিআইও অফিসের কোন কর্মচারি নয়। সে আমার অফিসের বিল ভাউচারর কাজ করে।
এ ব্যাপারে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালে আম্পানের সময় এই ঢেউটিন গুলো দেওয়া হয়েছে কিনা সেটা তদন্তের জন্য ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন