ঢাকা ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পানিতে এক চিমটি লবণ মেশালেই যেসব উপকার পাওয়া যাবে

সারা দিনে এক চিমটি লবণ মেশানো পানি পান করা স্বাস্থ্যকর অভ্যাস হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি শরীরের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখে, হজমপ্রক্রিয়া উন্নত করে এবং দীর্ঘস্থায়ী নানা শারীরিক সমস্যার সমাধানে সহায়ক। প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন সংস্কৃতিতে লবণযুক্ত পানি পান করার প্রচলন রয়েছে। চলুন জেনে নিই, এক চিমটি লবণযুক্ত পানির উপকারিতা—
শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে
লবণে থাকা সোডিয়াম শরীরের তরলের ভারসাম্য রক্ষা করতে সহায়তা করে। এক চিমটি লবণযুক্ত পানি পান করলে শরীর দ্রুত পানি শোষণ করতে পারে, যা অতিরিক্ত ঘাম বা শারীরিক পরিশ্রমের পর বিশেষভাবে উপকারী।

ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি পূরণ করে
শারীরিক পরিশ্রমের ফলে শরীর থেকে গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রোলাইট যেমন সোডিয়াম ও পটাশিয়াম বেরিয়ে যায়। এক চিমটি লবণযুক্ত পানি এই ঘাটতি পূরণ করে, যা স্নায়ুর কার্যকারিতা, পেশির সংকোচন এবং কোষের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সাহায্য করে।
স্নায়ু ও পেশির সুস্থতা বজায় রাখে
স্নায়ুতে সঠিক সংকেত পাঠানোর জন্য এবং পেশির সংকোচন-প্রসারণের জন্য সোডিয়াম অপরিহার্য। লবণযুক্ত পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে সোডিয়াম সরবরাহ করে, যা পেশির খিঁচুনি প্রতিরোধ করে এবং স্নায়ুর কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক।

হজমশক্তি বাড়ায়
লবণ লালা উৎপাদনে সহায়তা করে এবং হজমকারী এনজাইম সক্রিয় করে, যা খাবার সহজে হজম করতে সহায়তা করে। এক চিমটি লবণযুক্ত পানি হজমশক্তি বাড়িয়ে শরীরের পুষ্টি শোষণ প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।

রক্তচাপের ভারসাম্য বজায় রাখে
অতিরিক্ত লবণ রক্তচাপ বাড়াতে পারে, তবে পরিমিত পরিমাণে লবণ গ্রহণ করলে শরীরের তরল ভারসাম্য বজায় থাকে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি রক্তের পরিমাণ ও সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
শরীরের টক্সিন দূর করে
লবণের জীবাণুনাশক গুণ শরীর থেকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও টক্সিন বের করতে সহায়তা করে। নিয়মিত এক চিমটি লবণযুক্ত পানি পান করলে দেহের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া আরও কার্যকর হয়।

ভালো ঘুম নিশ্চিত করে
লবণ স্ট্রেস হরমোন (কর্টিসল ও অ্যাড্রেনালিন) নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রাতে অল্প লবণযুক্ত পানি পান করলে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা হয়, যা স্বস্তিদায়ক ও গভীর ঘুম নিশ্চিত করতে পারে।

ত্বক ভালো রাখে
লবণে থাকা ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান ত্বকের জন্য উপকারী। খনিজসমৃদ্ধ লবণযুক্ত পানি শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে, যা ত্বককে হাইড্রেটেড, নমনীয় ও উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে।

শক্তি বাড়ায় ও ক্লান্তি দূর করে
সঠিক ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য কোষের শক্তি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এক চিমটি লবণযুক্ত পানি ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে এবং সারাদিন শক্তি ধরে রাখতে সহায়তা করে।

অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনি রোগে আক্রান্তদের জন্য এটি ক্ষতিকর। তাই পরিমিত পরিমাণে লবণযুক্ত পানি পান করা উচিত এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।

নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন :-

নিউজ বিজয়ের সম্পর্কে

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার মা-বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।
জনপ্রিয় সংবাদ

ইতিহাসের এই দিনে: ১৫ জুলাই-২০২৫

পানিতে এক চিমটি লবণ মেশালেই যেসব উপকার পাওয়া যাবে

প্রকাশিত সময়:- ০৩:৫৫:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

সারা দিনে এক চিমটি লবণ মেশানো পানি পান করা স্বাস্থ্যকর অভ্যাস হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি শরীরের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখে, হজমপ্রক্রিয়া উন্নত করে এবং দীর্ঘস্থায়ী নানা শারীরিক সমস্যার সমাধানে সহায়ক। প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন সংস্কৃতিতে লবণযুক্ত পানি পান করার প্রচলন রয়েছে। চলুন জেনে নিই, এক চিমটি লবণযুক্ত পানির উপকারিতা—
শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে
লবণে থাকা সোডিয়াম শরীরের তরলের ভারসাম্য রক্ষা করতে সহায়তা করে। এক চিমটি লবণযুক্ত পানি পান করলে শরীর দ্রুত পানি শোষণ করতে পারে, যা অতিরিক্ত ঘাম বা শারীরিক পরিশ্রমের পর বিশেষভাবে উপকারী।

ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি পূরণ করে
শারীরিক পরিশ্রমের ফলে শরীর থেকে গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রোলাইট যেমন সোডিয়াম ও পটাশিয়াম বেরিয়ে যায়। এক চিমটি লবণযুক্ত পানি এই ঘাটতি পূরণ করে, যা স্নায়ুর কার্যকারিতা, পেশির সংকোচন এবং কোষের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সাহায্য করে।
স্নায়ু ও পেশির সুস্থতা বজায় রাখে
স্নায়ুতে সঠিক সংকেত পাঠানোর জন্য এবং পেশির সংকোচন-প্রসারণের জন্য সোডিয়াম অপরিহার্য। লবণযুক্ত পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে সোডিয়াম সরবরাহ করে, যা পেশির খিঁচুনি প্রতিরোধ করে এবং স্নায়ুর কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক।

হজমশক্তি বাড়ায়
লবণ লালা উৎপাদনে সহায়তা করে এবং হজমকারী এনজাইম সক্রিয় করে, যা খাবার সহজে হজম করতে সহায়তা করে। এক চিমটি লবণযুক্ত পানি হজমশক্তি বাড়িয়ে শরীরের পুষ্টি শোষণ প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।

রক্তচাপের ভারসাম্য বজায় রাখে
অতিরিক্ত লবণ রক্তচাপ বাড়াতে পারে, তবে পরিমিত পরিমাণে লবণ গ্রহণ করলে শরীরের তরল ভারসাম্য বজায় থাকে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি রক্তের পরিমাণ ও সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
শরীরের টক্সিন দূর করে
লবণের জীবাণুনাশক গুণ শরীর থেকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও টক্সিন বের করতে সহায়তা করে। নিয়মিত এক চিমটি লবণযুক্ত পানি পান করলে দেহের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া আরও কার্যকর হয়।

ভালো ঘুম নিশ্চিত করে
লবণ স্ট্রেস হরমোন (কর্টিসল ও অ্যাড্রেনালিন) নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রাতে অল্প লবণযুক্ত পানি পান করলে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা হয়, যা স্বস্তিদায়ক ও গভীর ঘুম নিশ্চিত করতে পারে।

ত্বক ভালো রাখে
লবণে থাকা ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান ত্বকের জন্য উপকারী। খনিজসমৃদ্ধ লবণযুক্ত পানি শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে, যা ত্বককে হাইড্রেটেড, নমনীয় ও উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে।

শক্তি বাড়ায় ও ক্লান্তি দূর করে
সঠিক ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য কোষের শক্তি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এক চিমটি লবণযুক্ত পানি ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে এবং সারাদিন শক্তি ধরে রাখতে সহায়তা করে।

অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনি রোগে আক্রান্তদের জন্য এটি ক্ষতিকর। তাই পরিমিত পরিমাণে লবণযুক্ত পানি পান করা উচিত এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।

নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন