ঢাকা ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাটগ্রাম থানা চত্বরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ২৩

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৮ জন পুলিশ সদস্য এবং বিএনপির অন্তত ১৫ জন কর্মী রয়েছেন বলে জানা গেছে।

বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাটগ্রামের বাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বিএনপির দুই কর্মী বেলাল ও সোহেলকে আটক করে উপজেলা প্রশাসন। তাদের কাছ থেকে ১ লাখেরও বেশি টাকার রিসিভ মানি উদ্ধার করা হয় এবং মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এক মাসের সাজা দেওয়া হয় বলে জানান পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস।

এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। রাতেই পাটগ্রাম থানা চত্বরে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডা থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান, বাদশা জাহাঙ্গীর, মোস্তাজির চপলসহ কয়েকজন নেতার সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে মধ্যরাতে আটককৃত দু’জনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

বিএনপির দাবি, সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি নেতা চপলসহ তাদের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, থানায় হঠাৎ আক্রমণের মুখে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় বিএনপি কর্মীরা থানার বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় পুলিশের অন্তত ৮ জন সদস্য আহত হন বলে জানান তিনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধীর কোনো দল থাকতে পারে না।

ঘটনাস্থলে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রংপুরের অতিরিক্ত ডিআইজি শরীফ উদ্দিন, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রাকিব হায়দার, পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম এবং পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন :-

নিউজ বিজয়ের সম্পর্কে

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার মা-বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।
জনপ্রিয় সংবাদ

ইতিহাসের এই দিনে: ১৫ জুলাই-২০২৫

পাটগ্রাম থানা চত্বরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ২৩

প্রকাশিত সময়:- ০৯:৫১:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৮ জন পুলিশ সদস্য এবং বিএনপির অন্তত ১৫ জন কর্মী রয়েছেন বলে জানা গেছে।

বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাটগ্রামের বাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বিএনপির দুই কর্মী বেলাল ও সোহেলকে আটক করে উপজেলা প্রশাসন। তাদের কাছ থেকে ১ লাখেরও বেশি টাকার রিসিভ মানি উদ্ধার করা হয় এবং মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এক মাসের সাজা দেওয়া হয় বলে জানান পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস।

এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। রাতেই পাটগ্রাম থানা চত্বরে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডা থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান, বাদশা জাহাঙ্গীর, মোস্তাজির চপলসহ কয়েকজন নেতার সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে মধ্যরাতে আটককৃত দু’জনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

বিএনপির দাবি, সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি নেতা চপলসহ তাদের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, থানায় হঠাৎ আক্রমণের মুখে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় বিএনপি কর্মীরা থানার বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় পুলিশের অন্তত ৮ জন সদস্য আহত হন বলে জানান তিনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধীর কোনো দল থাকতে পারে না।

ঘটনাস্থলে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রংপুরের অতিরিক্ত ডিআইজি শরীফ উদ্দিন, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রাকিব হায়দার, পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম এবং পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন।