কিশোরী থেকে তরুণী হয়ে ওঠার মুহূর্তে বাংলাদেশের মেয়েটি বুঝতে পারে ঈশ্বর তার মেয়ে হওয়ার সব অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। অন্য সব অঙ্গ যথাযথ থাকলেও তার নেই যোনি এবং জরায়ু। অর্থাৎ, স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে না সে। তার কোনও যৌন জীবনও থাকবে না। বাধ্য হয়ে মেয়েটি নিজেকে গুটিয়ে নেয়। জীবন থেকে দূরে সরে যায়। চিন্তিত অভিভাবকরা বুঝতে পারেন না কি করবেন! শেষ পর্যন্ত ইউটিউব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। তরুণীটি জানতে পারে পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ডহারবারে এই জাতীয় অপারেশন হচ্ছে- পোশাকি নাম যার ভ্যাজিনোপ্লাষ্টি। ডায়মন্ডহারবারে আসে মেয়েটি। দেখা হয় ডাঃ সোমজিতা চক্রবর্তীর সঙ্গে। এরপর দুরূহ অপারেশন অন্যের যোনি ও জরায়ুর কোষ নিয়ে মেয়েটির দেহে সংস্থাপন। কয়েকমাসের মধ্যে মেয়েটি পেয়ে যায় যোনি ও জরায়ু। যৌন জীবন স্বাভাবিক হয় মেয়েটির। যদিও সারোগেসি ছাড়া সে কোনও দিন মা হতে পারবে না। কিন্তু, ক্লীব হওয়ার থেকে পূর্ণাঙ্গ নারী হওয়ার আনন্দই যে আলাদা। বাংলাদেশের মেয়েটি মনে করে ডাঃ সোমজিতা চক্রবর্তী গর্ভধরিণী না হয়েও তার দ্বিতীয় মা।
নিউজ বিজয়/নজরুল