ঢাকা ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস : মাউশি পরিচালক গ্রেপ্তার

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক গ্রেড-১৬ নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মাউশির শিক্ষা কর্মকর্তা মাধ্যমিক-১ এর পরিচালক চন্দ্র শেখর হালদার মিলটনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।

আজ সোমবার দুপুরে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের এই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) শাহাদাত হোসেন সোমা।

শাহাদাত হোসেন সোমা বলেন, চলতি বছরের গত ১৩ মে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ৫১৩টি অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (গ্রেড-১৬) শূন্য পদে নিয়োগের জন্য ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষায় মোট ১ লাখ ৮৩ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। মোট পরীক্ষার্থী ও পদের সংখ্যার বিবেচনায় প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে ৩৫৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। লালবাগ থানার ইডেন মহিলা কলেজ কেন্দ্রে এমসিকিউ পরীক্ষা চলার সময়ে একজন পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রের পেছনে লেখা উত্তর দেখে তাঁর উত্তরপত্র পূরণ করছিল। পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত শিক্ষিকা পরীক্ষার্থীর কাছে থাকা দুটি প্রবেশপত্র যাচাইকালে দেখেন যে, প্রবেশপত্রের পেছনে নিয়োগ পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের উত্তর হুবহু ছোট ছোট আকারে লেখা। প্রাথমিকভাবে কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারেন যে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে।

সোমা বলেন, তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও জোনাল টিম পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে। পরীক্ষা কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের উপস্থিতিতে পরীক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তাঁর নাম মো. সুমন জমাদ্দার (৩১) বলেন। পরীক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, পূর্বে থেকে ঠিক করে রাখা একটি মোবাইল নম্বর থেকে পরীক্ষা শুরুর ৪২ মিনিট পূর্বে তাঁর Whatsapp-এ প্রশ্নের উত্তর আসে।

গ্রেপ্তার পরীক্ষার্থী জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সোমা আরও জানান, পাঁচ থেকে ছয়জনের একটি চক্র এই প্রশ্নফাঁস, উত্তর তৈরি ও পাঠানোর কাজে জড়িত। পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে দুটি প্রবেশপত্র, একটি উত্তরপত্র, একটি প্রশ্নপত্র (ক-সেট) এবং পরীক্ষার্থীর ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন জব্দ করে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আসামিরা তাদের অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় উক্ত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করে অসংখ্য পরীক্ষার্থীর কাছে পাঠিয়েছেন।

সোমা জানান, গ্রেপ্তার পরীক্ষার্থীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা কর্মকর্তা (মাধ্যমিক-১) হিসেবে কর্মরত আসামি চন্দ্র শেখর হালদার মিলটনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর গ্রেপ্তার হওয়া আসামি সাইফুল ইসলামের কাছে পাঠায় মর্মে মৌখিকভাবে জানা গেছে।

এ ছাড়া প্রাথমিক তদন্তে গ্রেপ্তারকৃত আসামি মো. আহসানুল হাদি, উচ্চমান সহকারী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং অপর গ্রেপ্তারকৃত আসামি মো. নওশাদুল ইসলাম, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর দ্বয়ের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গিয়েছে। পলাতক আসামি মো. মকবুল হোসেন, ক্যাশিয়ার বদরুননেসা কলেজ এবং পলাতক আসামি আব্দুল খালেক, সরকারি তিতুমীর কলেজের বুক সেন্টারের কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলমান রয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

সংবাদটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ইতিহাসের এই দিনে: ৭ ফেব্রুয়ারি-২০২৫

পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস : মাউশি পরিচালক গ্রেপ্তার

"নিউজ বিজয়: এক দশকের মাইলফলক" প্রকাশিত সময় : ০৬:১২:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক গ্রেড-১৬ নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মাউশির শিক্ষা কর্মকর্তা মাধ্যমিক-১ এর পরিচালক চন্দ্র শেখর হালদার মিলটনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।

আজ সোমবার দুপুরে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের এই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) শাহাদাত হোসেন সোমা।

শাহাদাত হোসেন সোমা বলেন, চলতি বছরের গত ১৩ মে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ৫১৩টি অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (গ্রেড-১৬) শূন্য পদে নিয়োগের জন্য ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষায় মোট ১ লাখ ৮৩ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। মোট পরীক্ষার্থী ও পদের সংখ্যার বিবেচনায় প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে ৩৫৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। লালবাগ থানার ইডেন মহিলা কলেজ কেন্দ্রে এমসিকিউ পরীক্ষা চলার সময়ে একজন পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রের পেছনে লেখা উত্তর দেখে তাঁর উত্তরপত্র পূরণ করছিল। পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত শিক্ষিকা পরীক্ষার্থীর কাছে থাকা দুটি প্রবেশপত্র যাচাইকালে দেখেন যে, প্রবেশপত্রের পেছনে নিয়োগ পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের উত্তর হুবহু ছোট ছোট আকারে লেখা। প্রাথমিকভাবে কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারেন যে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে।

সোমা বলেন, তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও জোনাল টিম পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে। পরীক্ষা কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের উপস্থিতিতে পরীক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তাঁর নাম মো. সুমন জমাদ্দার (৩১) বলেন। পরীক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, পূর্বে থেকে ঠিক করে রাখা একটি মোবাইল নম্বর থেকে পরীক্ষা শুরুর ৪২ মিনিট পূর্বে তাঁর Whatsapp-এ প্রশ্নের উত্তর আসে।

গ্রেপ্তার পরীক্ষার্থী জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সোমা আরও জানান, পাঁচ থেকে ছয়জনের একটি চক্র এই প্রশ্নফাঁস, উত্তর তৈরি ও পাঠানোর কাজে জড়িত। পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে দুটি প্রবেশপত্র, একটি উত্তরপত্র, একটি প্রশ্নপত্র (ক-সেট) এবং পরীক্ষার্থীর ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন জব্দ করে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আসামিরা তাদের অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় উক্ত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করে অসংখ্য পরীক্ষার্থীর কাছে পাঠিয়েছেন।

সোমা জানান, গ্রেপ্তার পরীক্ষার্থীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা কর্মকর্তা (মাধ্যমিক-১) হিসেবে কর্মরত আসামি চন্দ্র শেখর হালদার মিলটনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর গ্রেপ্তার হওয়া আসামি সাইফুল ইসলামের কাছে পাঠায় মর্মে মৌখিকভাবে জানা গেছে।

এ ছাড়া প্রাথমিক তদন্তে গ্রেপ্তারকৃত আসামি মো. আহসানুল হাদি, উচ্চমান সহকারী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং অপর গ্রেপ্তারকৃত আসামি মো. নওশাদুল ইসলাম, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর দ্বয়ের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গিয়েছে। পলাতক আসামি মো. মকবুল হোসেন, ক্যাশিয়ার বদরুননেসা কলেজ এবং পলাতক আসামি আব্দুল খালেক, সরকারি তিতুমীর কলেজের বুক সেন্টারের কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলমান রয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

নিউজবিজয়/এফএইচএন