ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিভিন্ন সময়ে খবরের শিরোনামে থাকেন টালিউড অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। কোনো কোনো সময় বিতর্ক উস্কে দিতেও যেন পছন্দ করেন এই নায়িকা! এত আলোচনা-সমালোচনার পরও সোশ্যাল মিডিয়ায় সব সময় সক্রিয় থাকতে দেখা যায় তাকে।
এরইমধ্যে গুঞ্জন চাউর হয়েছে নুসরাত জাহান ‘নিখোঁজ’! হ্যাঁ, এমন পোস্টারেই সয়লাব হাড়োয়া বিধানসভার চাপাতলা পঞ্চায়েত এলাকা।ক্ষমতাসীনদের দ্বন্দ্বের জেরেই এ ধরনের পোস্টার লাগানো হয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতারা। দেগঙ্গা ব্লকের হাড়োয়া বিধানসভার চাপাতলা পঞ্চায়েতটি বসুরহাট লোকসভার অন্তর্গত। সোমবার এ পঞ্চায়েতের কেয়াডাঙা ও চাপাতলা এলাকায় অভিনেত্রী-সংসদ সদস্য নুসরাত জাহানের নামে ‘নিখোঁজ’ এবং ‘সন্ধান চাই’ পোস্টার দেখা যায়। কোনো পোস্টারের নিচে লেখা সাধারণ জনগণ, আবার কোনোটায় লেখা প্রতারিত জনগণ। ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূলের একাংশের দাবি, ঘটনাটি নুসরাতের ওপর এলাকাবাসীর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এ প্রসঙ্গে দেগঙ্গার চাপাতলা পঞ্চায়েতের প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী বলেন, গত ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বসুরহাটের সংসদ সদস্য ছিলেন নুরুল ইসলাম। এলাকার উন্নয়নসহ সব কাজে সাধারণ মানুষ থেকে তৃণমূলের কর্মীরা তাকে কাছে পেয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে তৃণমূল সংসদ সদস্যকে পাওয়াই যায় না। সম্ভবত সে কারণেই এলাকার মানুষ এ ধরনের পোস্টার লাগিয়েছে। তবে বিষয়টি জানার পরেই দলের কর্মীদের দিয়ে পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয় বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে নুসরাতের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাদের দাবি, এটি বিরোধীদের কাজ। কোনো ইস্যু না থাকার কারণেই বিরোধীরা এ ধরনের কুৎসা রটাচ্ছেন। এলাকার উন্নয়নে নুসরাতের ভূমিকা রয়েছে। স্থানীয় নেতাদের সঙ্গেও তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। তৃণমূলের চাপাতলা অঞ্চলের সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক বলেন, বিষয়টি শুনেছি। যারাই কাজটি করুক না কেন, অন্যায় কাজ হয়েছে। এদিকে তারকা সংসদ সদস্যের অনুপস্থিতির অভিযোগে ক্ষুব্ধ বসুরহাটের সন্দেশখালী, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, বসিরহাট উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভার তৃণমূলের একাংশও। তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের একাংশের অভিযোগ, তিনি ধূমকেতু। বসুরহাটে শুধু প্রচার করতে আসেন। করোনাকালে বসিরহাটে তাকে দেখা যায়নি। গত বছর আমফানের সময়ও মানুষ তাকে পাশে পায়নি। তবে এ নিয়ে এখনও অভিনেত্রীর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
নিউজ বিজয় /নজরুল