
রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে ভোর ৫টা ৪০ মিনিট থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। তবে আগুন এখনও পুরোপুরি নেভেনি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১০টা ২০ মিনিটের দিকে ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট (দক্ষিণ) ভবনের তৃতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত। ফায়ার সার্ভিসের ৩০টি ইউনিটের সদস্যরা অগ্নিনির্বাপণে কাজ করছেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সেনা, নৌ, বিজিবি, র্যাব সদস্যরা।
মো. মাইন উদ্দিন বলছেন, আগুন সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে একটু দেরিতে জানানো হচ্ছে। তবে এ আগুন নির্বাপণ করতে আরও সময় লাগবে।
তিনি বলেন, যেহেতু এখানে সব দাহ্য পদার্থ তাই আগুন পুরোপুরি নির্বাপণে আমাদের আরও সময় লাগবে। এখন আগুন পুরোপুরি নির্বাপন ও ডাম্পিং এর কাজ চলছে। যে কারণে ধোঁয়ার সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবাজারের মতোই এখানে আগুনের অবস্থা। যেকারণে এখানে পুরোপুরি নির্বাপণে সময় লাগবে।
শনিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পাওয়ার তিন মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বলছেন, বাতাসের কারণে বেশ ধোঁয়া হচ্ছে। এতে অন্ধকারে কাজ করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ধোঁয়ায় অসুস্থ ১২ দমকলকর্মীসহ ১৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাঁচ দোকান কর্মচারীকে নেওয়া হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আগুনের ধোঁয়ায় তারা অসুস্থ হন বলে জানা যায়।
ঈদের কেনাকাটা জমে ওঠায় নিউ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরাও মধ্যরাত পর্যন্ত দোকান খোলা রেখেছিলেন। সেহেরি খেয়ে যখনই ঘুমাতে যাবেন ঠিক তখনই খবর আসে আগুনের। ব্যবসায়ীরা দ্রুত এসে দোকানের মালামাল বের করার চেষ্টা করেন। তাদের ধারণা, আগুনে প্রায় দেড় হাজার দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ভয়াবহ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটলো। বঙ্গবাজারের আগুনে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যায় ৫ হাজার দোকান। সেই আগুন থেকে রক্ষা পায়নি পুলিশ সদর দফতরও। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনা, নৌ, বিমান, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা দীর্ঘ সাড়ে ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় বঙ্গবাজারের সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।