ঢাকা ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, ৮ জেলায় বন্যার শঙ্কা

দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আগস্টের ভয়াবহ বন্যার ক্ষত না শুকাতেই ফের বন্যার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ভারী বর্ষণের ফলে আগামী সপ্তাহে দেশের আট জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, আবহাওয়া সংস্থাসমূহের পূর্বাভাস অনুযায়ী দেশে এবং উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতার প্রেক্ষিতে, আগামী তিনদিন চট্টগ্রাম বিভাগের নদীসমূহের পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আরও জানায়, দেশের সকল প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে, চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, মুহুরী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরি নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ ছাড়া দেশে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতার প্রেক্ষিতে আগামী তিনদিন বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে।

উল্লেখ্য, চলতি বছর বর্ষার শুরুতে জুনের দ্বিতীয়ার্ধে দেশে ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে বন্যার কবলে পড়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চল। এতে প্রায় দুই সপ্তাহ দুর্ভোগে কাটে সিলেট, সুনামগঞ্জসহ আশপাশের জেলার বাসিন্দাদের।

পরের মাসেও (জুলাই) উজানের ঢলে প্লাবিত হয় দেশের উত্তর ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের অনেক গ্রাম। কিন্তু বন্যার ভয়াবহ রূপ ধারণ করে আগস্ট মাসে। অতি ভারী বৃষ্টির মধ্যে ভারত থেকে নেমে আসা তীব্র ঢলে গত ২০ আগস্ট থেকে দেশের ১১ জেলায় (নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার) বন্যায় তলিয় যায়।

হঠাৎ এমন বন্যায় ভেসে যায় ঘরবাড়ি, স্কুল, গ্রাম, মাছের ঘের, ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট। অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দেখা দেয় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৭১ জনের।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের নয় অঞ্চলে ঝড়ের আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে সংস্থাটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, মাদারীপুর, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী এবং কুমিল্লা অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

এবার রাষ্ট্রপতির অপসারণ চাইলেন সারজিস আলম

দেশে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, ৮ জেলায় বন্যার শঙ্কা

প্রকাশিত সময় :- ০৬:৩০:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আগস্টের ভয়াবহ বন্যার ক্ষত না শুকাতেই ফের বন্যার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ভারী বর্ষণের ফলে আগামী সপ্তাহে দেশের আট জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, আবহাওয়া সংস্থাসমূহের পূর্বাভাস অনুযায়ী দেশে এবং উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতার প্রেক্ষিতে, আগামী তিনদিন চট্টগ্রাম বিভাগের নদীসমূহের পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আরও জানায়, দেশের সকল প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে, চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, মুহুরী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরি নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ ছাড়া দেশে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতার প্রেক্ষিতে আগামী তিনদিন বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে।

উল্লেখ্য, চলতি বছর বর্ষার শুরুতে জুনের দ্বিতীয়ার্ধে দেশে ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে বন্যার কবলে পড়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চল। এতে প্রায় দুই সপ্তাহ দুর্ভোগে কাটে সিলেট, সুনামগঞ্জসহ আশপাশের জেলার বাসিন্দাদের।

পরের মাসেও (জুলাই) উজানের ঢলে প্লাবিত হয় দেশের উত্তর ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের অনেক গ্রাম। কিন্তু বন্যার ভয়াবহ রূপ ধারণ করে আগস্ট মাসে। অতি ভারী বৃষ্টির মধ্যে ভারত থেকে নেমে আসা তীব্র ঢলে গত ২০ আগস্ট থেকে দেশের ১১ জেলায় (নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার) বন্যায় তলিয় যায়।

হঠাৎ এমন বন্যায় ভেসে যায় ঘরবাড়ি, স্কুল, গ্রাম, মাছের ঘের, ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট। অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দেখা দেয় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৭১ জনের।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের নয় অঞ্চলে ঝড়ের আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে সংস্থাটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, মাদারীপুর, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী এবং কুমিল্লা অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন