ঢাকা ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুরে বৃষ্টির অভাবে আমন চাষীরা পড়েছে বিপাকে

দিনাজপুরে বৃষ্টির অভাবে আমন চাষীরা পড়েছে বিপাকে

দিনাজপুরে ১৩টি উপজেলায় বৃষ্টির অভাবে কৃষকেরা আমন ধানের চারা রোপণ করতে পারছে না। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠে পানি নেই। অনেক জমি পানির অভাবে ফেটে যাচ্ছে। কৃষকেরা আমণ মৌসুমে আমনের চারা রোপণ করতে পারছে না। আষাঢ় মাস প্রায় শেষ হতে চললেও পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপণ করতে হিমশিম খাচ্ছে। আষাঢ় মাসে অধিক বৃষ্টির কারণে আমন ধানের চারা রোপণের মোক্ষম সময় হলেও এবার বৃষ্টির পানির অভাবে কৃষকরা পড়েছে বিপাকে। ফলে বৃষ্টির অভাবে আষাঢ় মাসে আবাদি জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। অথচ আষাঢ় ২৭ তারিখ পার হলেও বৃষ্টির দেখা মিলছে না। আকাশে মেঘের ভেলা ভেসে বেড়ালেও বৃষ্টি হচ্ছে না। আর মাঝে মাঝে যে বৃষ্টি হচ্ছে চাহিদার তুলনায় এতই নগণ্য যে, জমি ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়ায় সাথে সাথেই ওই পানি শুষে নিচ্ছে মাটি। ফলে কৃষকদের মাঝে শুরু হয়েছে হাহাকার। অর্থশালী কৃষকরা শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি তুলে আমন ধান রোপণ শুরু করলেও গরিব চাষিরা পড়েছে বেকায়দায়।দিনাজপুর সদর উপজেলার খোদমাধবপুর গ্রামের কৃষক স্বদেশ ও সিদ্দিক বলেন, আষাঢ় মাস আসলে পানিতে জমি থইথই করে কিন্তু এবার পানির অভাবে জমি ফেটে গেলেও এখন পর্যন্ত পানির দেখা পাই নাই। এভাবে যদি চলে তাহলে তো জমি পড়ে থাকবে, আবাদ করা যাবে না। বিছন যে গাড়বো সেই পানিও দিতে হচ্ছে শ্যালো মেশিন দিয়ে। বৃষ্টির অভাবে আমন আবাদ নিয়ে শঙ্কা। দিনাজপুর সদর উপজেলাসহ বিরল, কাহারোল ও বীরগঞ্জসহ ১৩ উপজেলার কৃষকরা জানান। পানির অভাবে রোপণ করতে পারছেন না। এ বছরই শুধু নয়, গত কয়েক বছর ধরেই আবহাওয়া এমন বিড়ম্বনায় ফেলছে। শ্যালো মেশিনে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করলে খরচ অনেক বেড়ে যায়। বোরোর মতো আমনের ফলনও হয় না। আবার সে তুলনায় ধানের দামও পাওয়া যায় না।দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আষাঢ় মাস প্রায় শেষের দিকে কিন্তু জমিতে পানি নেই। প্রচণ্ড রোদে মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। আর যারা আগাম চাষ দিয়ে রেখেছেন, ওই সব জমিতে কাদার পরিবর্তে ধুলো উড়ছে কোথাও এক ফোটা পানি নেই। এ অবস্থায় কীভাবে আমন রোপণ করব দুশ্চিন্তায় পড়েছে। বৃষ্টির অভাবে জমিতে পানি নেই। এবার আমনের আবাদ ১৫ দিন পিছিয়ে যেতে পারে এতে কৃষকরা লাভবান হবেন বলে জানান তিনি।দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, দিনাজপুরে চলতি আমন মৌসুমে ২ লাখ ৫৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য ইতোমধ্যেই ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। তীব্র খরার কারণে জমিতে পানি না থাকার কথা স্বীকার করে তিনি জানান, জুলাই থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত আমন রোপণের সময়। এখনই আমন রোপণের উপযুক্ত সময় চলছে। তবে এ অ লের কৃষকরা আগস্ট মাসেই আমন চারা রোপণ করে থাকেন।তিনি জানান, আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এসময়ের মধ্যে বৃষ্টিপাত না হলে কৃষকদের বিকল্প উপায়ে সেচ দিয়ে জমিতে আমন রোপণের পরামর্শ দেয়া হবে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

সংবাদটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

নামাজের সময়সূচি: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

দিনাজপুরে বৃষ্টির অভাবে আমন চাষীরা পড়েছে বিপাকে

"নিউজ বিজয়: এক দশকের মাইলফলক" প্রকাশিত সময় : ০৬:৫৭:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জুলাই ২০২২

দিনাজপুরে ১৩টি উপজেলায় বৃষ্টির অভাবে কৃষকেরা আমন ধানের চারা রোপণ করতে পারছে না। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠে পানি নেই। অনেক জমি পানির অভাবে ফেটে যাচ্ছে। কৃষকেরা আমণ মৌসুমে আমনের চারা রোপণ করতে পারছে না। আষাঢ় মাস প্রায় শেষ হতে চললেও পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপণ করতে হিমশিম খাচ্ছে। আষাঢ় মাসে অধিক বৃষ্টির কারণে আমন ধানের চারা রোপণের মোক্ষম সময় হলেও এবার বৃষ্টির পানির অভাবে কৃষকরা পড়েছে বিপাকে। ফলে বৃষ্টির অভাবে আষাঢ় মাসে আবাদি জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। অথচ আষাঢ় ২৭ তারিখ পার হলেও বৃষ্টির দেখা মিলছে না। আকাশে মেঘের ভেলা ভেসে বেড়ালেও বৃষ্টি হচ্ছে না। আর মাঝে মাঝে যে বৃষ্টি হচ্ছে চাহিদার তুলনায় এতই নগণ্য যে, জমি ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়ায় সাথে সাথেই ওই পানি শুষে নিচ্ছে মাটি। ফলে কৃষকদের মাঝে শুরু হয়েছে হাহাকার। অর্থশালী কৃষকরা শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি তুলে আমন ধান রোপণ শুরু করলেও গরিব চাষিরা পড়েছে বেকায়দায়।দিনাজপুর সদর উপজেলার খোদমাধবপুর গ্রামের কৃষক স্বদেশ ও সিদ্দিক বলেন, আষাঢ় মাস আসলে পানিতে জমি থইথই করে কিন্তু এবার পানির অভাবে জমি ফেটে গেলেও এখন পর্যন্ত পানির দেখা পাই নাই। এভাবে যদি চলে তাহলে তো জমি পড়ে থাকবে, আবাদ করা যাবে না। বিছন যে গাড়বো সেই পানিও দিতে হচ্ছে শ্যালো মেশিন দিয়ে। বৃষ্টির অভাবে আমন আবাদ নিয়ে শঙ্কা। দিনাজপুর সদর উপজেলাসহ বিরল, কাহারোল ও বীরগঞ্জসহ ১৩ উপজেলার কৃষকরা জানান। পানির অভাবে রোপণ করতে পারছেন না। এ বছরই শুধু নয়, গত কয়েক বছর ধরেই আবহাওয়া এমন বিড়ম্বনায় ফেলছে। শ্যালো মেশিনে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করলে খরচ অনেক বেড়ে যায়। বোরোর মতো আমনের ফলনও হয় না। আবার সে তুলনায় ধানের দামও পাওয়া যায় না।দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আষাঢ় মাস প্রায় শেষের দিকে কিন্তু জমিতে পানি নেই। প্রচণ্ড রোদে মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। আর যারা আগাম চাষ দিয়ে রেখেছেন, ওই সব জমিতে কাদার পরিবর্তে ধুলো উড়ছে কোথাও এক ফোটা পানি নেই। এ অবস্থায় কীভাবে আমন রোপণ করব দুশ্চিন্তায় পড়েছে। বৃষ্টির অভাবে জমিতে পানি নেই। এবার আমনের আবাদ ১৫ দিন পিছিয়ে যেতে পারে এতে কৃষকরা লাভবান হবেন বলে জানান তিনি।দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, দিনাজপুরে চলতি আমন মৌসুমে ২ লাখ ৫৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য ইতোমধ্যেই ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। তীব্র খরার কারণে জমিতে পানি না থাকার কথা স্বীকার করে তিনি জানান, জুলাই থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত আমন রোপণের সময়। এখনই আমন রোপণের উপযুক্ত সময় চলছে। তবে এ অ লের কৃষকরা আগস্ট মাসেই আমন চারা রোপণ করে থাকেন।তিনি জানান, আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এসময়ের মধ্যে বৃষ্টিপাত না হলে কৃষকদের বিকল্প উপায়ে সেচ দিয়ে জমিতে আমন রোপণের পরামর্শ দেয়া হবে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন