ঢাকা ০৫:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরান-ইসরাইল সংঘাত

দাবিতে অনড় জবি শিক্ষার্থীরা, উপদেষ্টার সাক্ষা‌ৎ না পেলে আন্দোলন চলবে

রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে বিক্ষোভরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা না করে সড়ক ছাড়বেন না।

বুধবার রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।

মাহফুজ আলম বলেন, এ মিছিলটা হঠাৎ পুরান ঢাকা থেকে কাকরাইল পর্যন্ত চলে এসেছে, আমরা জানি না। আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলেছি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যখন আন্দোলন করবেন আপনারা অবশ্যই তাদের সঙ্গে প্রথমে ডায়ালগ করার চেষ্টা করবেন, প্রথমে কোনোভাবেই ফোর্স ইউজ করবেন না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের একটা ট্রমা আছে, আমরা যারা অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছি, আমি মনে করি, প্রতিটা পদে যারা নেতারা আছেন, আমি দেখলাম শিক্ষকরা ওদের কাছে পরাজিত হয়েছে এবং শিক্ষকরা তাদের কাছে অসহায়। শিক্ষকদের কোনো মরাল অথরিটি তাদের ওপরে নাই। এটা আমার জন্য দেখা দুঃখজনক ছিল। আমি শুনেছি কয়েকজন শিক্ষকও এ ঘটনায় আহত হয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মাহফুজ বলেন, যেকোনো আন্দোলন সরকার শুনতে রাজি আছে, বসতে রাজি আছে, কথা বলতে রাজি আছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকটের বিষয়ে অবগত।

তিন দফা দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে পদযাত্রা করা জবির আন্দোলনকারীরা কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন।

পুলিশের বাধায় একদফা ছত্রভঙ্গ হওয়ার কিছু সময় পর আবার তারা সেখানে জড়ো হয়েছেন। রোদ-বৃষ্টি তোয়াক্কা না করে রাতেও আন্দোলনে অনড় রয়েছেন তারা। সড়কে অবস্থান নিয়ে সেখানে বিক্ষোভ করছেন।

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস না আসা পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে তাদের সঙ্গে শিক্ষকরাও রয়েছেন।

বুধবার রাত ৮টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা কাকরাইল মসজিদ মোড় ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।

তিন দফা দাবি নিয়ে এদিন দুপুরে ক্যাম্পাস থেকে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও দপ্তর যমুনা অভিমুখে ‘লং মার্চ’ শুরু করে। বিক্ষোভ মিছিলটি শাঁখারি বাজার, রায়সাহেব বাজার, তাঁতি বাজার, বংশাল মোড় হয়ে গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজারের সামনে এলে পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়ে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ওই ব্যারিকেড ভেঙে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে এলে আবারও পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। সেখানেও তাদের ঠেকাতে পারেনি পুলিশ। এরপর একে একে সচিবালয়, শিক্ষা ভবন, হাই কোর্ট, মৎস্য ভবনের মোড়ের বাধা উপেক্ষা করে কাকরাইল মসজিদের সামনে আসেন তারা।
নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন :-

নিউজ বিজয়ের সম্পর্কে

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার মা-বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

No description available.

দাবিতে অনড় জবি শিক্ষার্থীরা, উপদেষ্টার সাক্ষা‌ৎ না পেলে আন্দোলন চলবে

প্রকাশিত সময়:- ১২:১৭:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে বিক্ষোভরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা না করে সড়ক ছাড়বেন না।

বুধবার রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।

মাহফুজ আলম বলেন, এ মিছিলটা হঠাৎ পুরান ঢাকা থেকে কাকরাইল পর্যন্ত চলে এসেছে, আমরা জানি না। আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলেছি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যখন আন্দোলন করবেন আপনারা অবশ্যই তাদের সঙ্গে প্রথমে ডায়ালগ করার চেষ্টা করবেন, প্রথমে কোনোভাবেই ফোর্স ইউজ করবেন না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের একটা ট্রমা আছে, আমরা যারা অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছি, আমি মনে করি, প্রতিটা পদে যারা নেতারা আছেন, আমি দেখলাম শিক্ষকরা ওদের কাছে পরাজিত হয়েছে এবং শিক্ষকরা তাদের কাছে অসহায়। শিক্ষকদের কোনো মরাল অথরিটি তাদের ওপরে নাই। এটা আমার জন্য দেখা দুঃখজনক ছিল। আমি শুনেছি কয়েকজন শিক্ষকও এ ঘটনায় আহত হয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মাহফুজ বলেন, যেকোনো আন্দোলন সরকার শুনতে রাজি আছে, বসতে রাজি আছে, কথা বলতে রাজি আছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকটের বিষয়ে অবগত।

তিন দফা দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে পদযাত্রা করা জবির আন্দোলনকারীরা কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন।

পুলিশের বাধায় একদফা ছত্রভঙ্গ হওয়ার কিছু সময় পর আবার তারা সেখানে জড়ো হয়েছেন। রোদ-বৃষ্টি তোয়াক্কা না করে রাতেও আন্দোলনে অনড় রয়েছেন তারা। সড়কে অবস্থান নিয়ে সেখানে বিক্ষোভ করছেন।

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস না আসা পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে তাদের সঙ্গে শিক্ষকরাও রয়েছেন।

বুধবার রাত ৮টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা কাকরাইল মসজিদ মোড় ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।

তিন দফা দাবি নিয়ে এদিন দুপুরে ক্যাম্পাস থেকে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও দপ্তর যমুনা অভিমুখে ‘লং মার্চ’ শুরু করে। বিক্ষোভ মিছিলটি শাঁখারি বাজার, রায়সাহেব বাজার, তাঁতি বাজার, বংশাল মোড় হয়ে গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজারের সামনে এলে পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়ে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ওই ব্যারিকেড ভেঙে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে এলে আবারও পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। সেখানেও তাদের ঠেকাতে পারেনি পুলিশ। এরপর একে একে সচিবালয়, শিক্ষা ভবন, হাই কোর্ট, মৎস্য ভবনের মোড়ের বাধা উপেক্ষা করে কাকরাইল মসজিদের সামনে আসেন তারা।
নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন