ঢাকা ০৪:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দনেৎস্ক অঞ্চলে দেড় শতাধিক শিশু নিহত

 
   NewsBijoy24.Com সর্বশেষ খবর পেতে টেলিগ্রাম চ্যানেল জয়েন করুন।

ইউক্রেনের দনেৎস্ক অঞ্চলে রাশিয়ার হামলায় এখন পর্যন্ত দেড় শতাধিক শিশু নিহত হয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে আকস্মিক হামলা চালায় মস্কো। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে বহু বেসামরিক প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে। দেশটির অন্য যে কোনো এলাকার চেয়ে দনেৎস্ক অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি শিশু প্রাণ হারিয়েছে। পুরো দেশে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৪০ শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদিকে ডনবাস অঞ্চলে রুশ বাহিনীর আক্রমণের মুখে ইউক্রেনের সৈন্যরা প্রচণ্ড চাপের মুখে আছে বলে স্বীকার করেছে কিয়েভের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ইউক্রেনের পূর্বদিকের ডনবাস অঞ্চলের সেভারোডোনেৎস্ক এবং লিসিচানস্ক এই দুটি শহরকে ঘিরে ফেলার চেষ্টায় তীব্র বোমাবর্ষণ করছে রাশিয়া। লুহানস্কের অধিকাংশ এলাকাই এখন রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। যে এলাকাগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই সেগুলোই দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে রুশ সেনারা।
ডনবাস অঞ্চলের অর্ধেক এলাকাই লুহানস্কের অন্তর্গত এবং রাশিয়া এখন এই জায়গাটিকেই তাদের যুদ্ধপ্রয়াসের প্রধান কেন্দ্রে পরিণত করেছে। রাশিয়া যদি ডনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে তাহলে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হয়তো ইউক্রেন যুদ্ধে বিজয় ঘোষণা করতে পারেন।
পূর্ব ডনবাসে রাশিয়া ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রাম দখল করেছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীকে আত্মরক্ষামূলক অবস্থানে ঠেলে দিয়েছে। তারা এটা করতে পারছে কারণ সৈন্য, কামান, সাঁজোয়া যান, এবং বিমানবাহিনীর শক্তি সবক্ষেত্রেই সংখ্যার দিক থেকে ইউক্রেনকে পেছনে ফেলেছে রুশরা।
ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী অবশেষে কিছু সাফল্য পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এবিসি নিউজকে বলেন, ডনবাস অঞ্চলে একেকজন ইউক্রেনীয় সেনার বিপরীতে সাতজন করে রুশ সেনা আছে। কিয়েভে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওলেক্সান্দর মোতুজিয়ানিক বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী এখনো ওই দুটি শহরে যাওয়ার প্রধান রাস্তা নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে যুদ্ধ এখনো চলছে। লুহানস্ক প্রদেশের গভর্নর সেরহি হাইদাই বলেন, ওই রাস্তা লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ চলছে কিন্তু এটি এখনো সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়নি। তিনি বলেন, দিনরাত গোলাবর্ষণ, মিসাইল নিক্ষেপ ও বিমান থেকে বোমা ফেলে সেভারোডোনেৎস্ক শহরটিকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। হাইদাই আরো জানান, রুশ বাহিনী এখন এতটাই কাছে চলে এসেছে যে তারা রকেটের পাশাপাশি মর্টারও ব্যবহার করছে। এছাড়া এখান থেকে অনেকটা দূরে ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া এবং ক্রিভি রিহ শহর দুটির ওপরও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে।
নিউজ বিজয়/নজরুল

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান রুহুল কবির রিজভীর

দনেৎস্ক অঞ্চলে দেড় শতাধিক শিশু নিহত

প্রকাশিত সময় :- ০৩:৫৩:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
 
   NewsBijoy24.Com সর্বশেষ খবর পেতে টেলিগ্রাম চ্যানেল জয়েন করুন।

ইউক্রেনের দনেৎস্ক অঞ্চলে রাশিয়ার হামলায় এখন পর্যন্ত দেড় শতাধিক শিশু নিহত হয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে আকস্মিক হামলা চালায় মস্কো। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে বহু বেসামরিক প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে। দেশটির অন্য যে কোনো এলাকার চেয়ে দনেৎস্ক অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি শিশু প্রাণ হারিয়েছে। পুরো দেশে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৪০ শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদিকে ডনবাস অঞ্চলে রুশ বাহিনীর আক্রমণের মুখে ইউক্রেনের সৈন্যরা প্রচণ্ড চাপের মুখে আছে বলে স্বীকার করেছে কিয়েভের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ইউক্রেনের পূর্বদিকের ডনবাস অঞ্চলের সেভারোডোনেৎস্ক এবং লিসিচানস্ক এই দুটি শহরকে ঘিরে ফেলার চেষ্টায় তীব্র বোমাবর্ষণ করছে রাশিয়া। লুহানস্কের অধিকাংশ এলাকাই এখন রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। যে এলাকাগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই সেগুলোই দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে রুশ সেনারা।
ডনবাস অঞ্চলের অর্ধেক এলাকাই লুহানস্কের অন্তর্গত এবং রাশিয়া এখন এই জায়গাটিকেই তাদের যুদ্ধপ্রয়াসের প্রধান কেন্দ্রে পরিণত করেছে। রাশিয়া যদি ডনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে তাহলে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হয়তো ইউক্রেন যুদ্ধে বিজয় ঘোষণা করতে পারেন।
পূর্ব ডনবাসে রাশিয়া ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রাম দখল করেছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীকে আত্মরক্ষামূলক অবস্থানে ঠেলে দিয়েছে। তারা এটা করতে পারছে কারণ সৈন্য, কামান, সাঁজোয়া যান, এবং বিমানবাহিনীর শক্তি সবক্ষেত্রেই সংখ্যার দিক থেকে ইউক্রেনকে পেছনে ফেলেছে রুশরা।
ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী অবশেষে কিছু সাফল্য পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এবিসি নিউজকে বলেন, ডনবাস অঞ্চলে একেকজন ইউক্রেনীয় সেনার বিপরীতে সাতজন করে রুশ সেনা আছে। কিয়েভে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওলেক্সান্দর মোতুজিয়ানিক বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী এখনো ওই দুটি শহরে যাওয়ার প্রধান রাস্তা নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে যুদ্ধ এখনো চলছে। লুহানস্ক প্রদেশের গভর্নর সেরহি হাইদাই বলেন, ওই রাস্তা লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ চলছে কিন্তু এটি এখনো সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়নি। তিনি বলেন, দিনরাত গোলাবর্ষণ, মিসাইল নিক্ষেপ ও বিমান থেকে বোমা ফেলে সেভারোডোনেৎস্ক শহরটিকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। হাইদাই আরো জানান, রুশ বাহিনী এখন এতটাই কাছে চলে এসেছে যে তারা রকেটের পাশাপাশি মর্টারও ব্যবহার করছে। এছাড়া এখান থেকে অনেকটা দূরে ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া এবং ক্রিভি রিহ শহর দুটির ওপরও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে।
নিউজ বিজয়/নজরুল