লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা এসএস মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই প্রতিষ্ঠানের বিএমটি কলেজ শাখা জাতীয় করন বঞ্চিত হওয়ায় শিক্ষক কর্মচারীরা তথ্য গোপন সহ নানান অনিয়মের অভিযোগ তুলেন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ব্যাখ্যায় প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম প্রধান বলেন, তথ্য গোপন নয়, জাতীয় করনের ক্ষমতা মন্ত্রণালয়ের।
জাতীয় করণ বঞ্চিত হাতীবান্ধা এসএস হাই স্কুল এন্ড টেকনিক্যাল কলেজের কলেজ শাখার শিক্ষক কর্মচারীরা গত ২৬ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম প্রধান এর বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে কলেজ শাখা বাদ দিয়ে শুধু মাধ্যমিক স্তর জাতীয় করন করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম প্রধান সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, উপজেলার ঐতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাতীবান্ধা এসএস উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ২০০২ সালে হাতীবান্ধা এসএস উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান তৈরী করে সে সময়ের প্রতিষ্ঠান সভাপতি সহ স্থানীয়রা এবং ২০০৪ সালের মে মাসে সেটি স্বতন্ত্র উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে এমপিও ভুক্তি হয়। ৪ সেপ্টেম্বর ২০০৪ সালে তৎকালীন প্রধান শিক্ষকের আবেদনের প্রেক্ষিতে নাম পরিবর্তন হয়ে হাতীবান্ধা এসএস হাই স্কুল এন্ড টেকনিক্যাল কলেজ নামে অনুমোদন দেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ড।
২০১৭ সালের ১৬ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী প্রতিষ্ঠানটি সরকারি করণের ঘোষণা করলে সেখানে বিএমটি কলেজ শাখাটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান ও মূল প্রতিষ্ঠান হাতীবান্ধা এসএস উচ্চ বিদ্যালয়ের সাথে এর কোন সংশ্লিষ্টার দালিলিক প্রমাণ না থাকায় মূল প্রতিষ্ঠান হাতীবান্ধা এসএস উচ্চ বিদ্যালয় জাতীয় করন হয় এবং বিএমটি শাখাটি বাদ পড়ে। সরকারি অডিট টিম পরিদর্শনে এসে যাবতীয় তথ্যাদি যাচাই বাছাই করে বিএমটি শাখাটি সরকারি করনের অপশন না থাকায় জাতীয় করন হয়নি। এতে আমার কোন দায়ভার নেই। অর্থ আত্মসাৎ এর বিষয়ে তিনি জানান, জাতীয় করনের খরচ বাবদ যে টাকা নেওয়া হয়েছিল তা বিএমটি শাখাটি জাতীয় করনের আওতায় না আসায় শিক্ষক পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক চেক মূলে তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে যার প্রমাণ আমার কাছে আছে। যারা আমার নামে অভিযোগ দিয়েছেন তারা আমার চাকুরির শেষ সময়ে সম্মান ক্ষুন্ন করার পায়তারা করছেন।
প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম প্রধান আরও বলেন, ভুয়া ভিত্তির উপর হাতীবান্ধা এস এস উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। বিপুল নিয়োগ বানিজ্য করে ভুয়া ও জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করা হয়, যা আমি ২০১৩ সালে মন্ত্রণালয়ের অডিট আপত্তিতে দেখতে পাই। এমনকি ১ জন প্রভাষক ১৯৯৬ এর সরকারি গেজেটে জনবল কাঠামো নীতিমালায় অনূর্ধ্ব ৩০ বৎসর বয়সের সীমাবদ্ধতা থাকলেও শফিকুল ইসলামকে তথ্য গোপন করে ৩১ বৎসর ৪ মাস বয়সে নিয়োগ প্রদান করা হয়। এ সবের দালিলিক প্রমান পত্র সবার জ্ঞাতার্থে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পেশ করেন।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন..
নিউজবিজয়২৪ডট কম/ফারুক হোসেন