পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী আগামী শুক্রবার (৩ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা।
এদিন ব্যবসা শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও দেশের সাতটি বিভাগে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিস থেকে পাওয়া তথ্যমতে, ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন প্রায় ২ লাখ ৯০ হাজার ৩৪৮ শিক্ষার্থী। আসন সংখ্যা ৬ হাজার ৩৫টি। প্রতি আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৪৮ জন। ‘ক’ ইউনিটের ১ হাজার ৮৫১ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৭১০ জন। ‘খ’ ইউনিটের ১ হাজার ৭৮৮ আসনের বিপরীতে ৫৮ হাজার ৫৫১ জন, ‘গ’ ইউনিটে ৯৩০ আসনের বিপরীতে ৩০ হাজার ৬৯৩ জন, ‘ঘ’ ইউনিটে ১ হাজার ৩৩৬ আসনের বিপরীতে ৭৮ হাজার ২৯ জন এবং ‘চ’ ইউনিটে ১৩০ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৭ হাজার ৩৫৭ জন।
ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৩ জুন ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হয়ে ৪ জুন কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিট, ১০ জুন বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিট এবং ১১ জুন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ১৭ জুন চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান) বেলা ১১টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষা উপলক্ষে এরইমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন। আজকের মধ্যে আসন বিন্যাস প্রকাশ করা হবে। দেশের সাতটি বিভাগে পাঠানোর জন্য প্রশ্নও সম্ভবত প্রস্তুত।
এদিকে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার পরিবেশ কিছুটা হলেও বিঘ্নিত হয়েছে এবং আবারো সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন অনেকেই। ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে অতিশিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার উপাচার্যকে স্বারকলিপি দিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, এটি শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নয়, এটি জাতীয় পরিক্ষার সমপর্যায়ে। দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করবেন। আমরা প্রত্যেকটি ছাত্র সংগঠন, ছাত্র এবং নাগরিকদের কাছে ইতিবাচক সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। কোনো পক্ষ থেকে অপতৎপরতা, নেতিবাচক কর্মকাণ্ড আশা করি না। কেউ বিঘ্ন ঘটালে কঠোর অবস্থানে যাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।